ইউপি চেয়ারম্যান
ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরে মেহেদী হাসান মিন্টু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার বেলা ১১টায় দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মিন্টু ফরিদপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর ডিগ্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
এছাড়া সে একই উপজেলার আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অবৈধ উপায়ে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলা রুজু করে।
ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক এ মামলাটি দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত ঢাকায় গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ও বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার নয়াপল্টন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গণ্ডামারার বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান ও আলোচিত বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীকে বুধবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, পুলিশের উপর হামলা, দস্যুতা, ভয়ভীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধে ২১টিরও বেশি মামলা রয়েছে। অনেক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।’
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে (কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ড্রেজিং করার জন্য নিয়োজিত একটি ঠিকাদার কোম্পানির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে লিয়াকত আলীর অনুসারীরা। এক পর্যায়ে লিয়াকতের অনুসারীরা পুলিশের উপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে এসব ঘটনায় লিয়াকত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পুলিশ মামলা করে। সেই মামলায় চট্টগ্রামের সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাকে প্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এর আগে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী এস আলম কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঠিকাদারের কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিন পান।
এদিকে, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে গণ্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
যশোরের ঝিকরগাছায় সকালে হাঁটতে বের হয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার সৈয়দপাড়া নামক এলাকার রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
নিহত শাহাজাহান আলী মোড়ল গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শেখ আনারুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান প্রতিদিনের মতো ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হন। সকালে তিনি সৈয়দপাড়া রেললাইনের উপর দিয়ে হেঁটে বাজারের দিকে আসছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে আশপাশের লোকজন রেললাইনের পাশে চেয়ারম্যানকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও স্থানীয়দের খবর দেয়।
তিনি আরও জানান, কোন ট্রেনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা কেউই বলতে পারছে না। আনুমানিকভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
মন্দিরে পূজা করতে বাধা: দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শশ্মানের মন্দিরে পূজা করতে বাধা দেওয়ায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বূড়া সাড়ডুবি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
অবরুদ্ধ দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন- ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৫ সালে ওই শশ্মান স্থাপন করা হয়। হঠাৎ করে গত কয়েক মাস ধরে শশ্মানের জমিটি নিজেদের দাবি করছেন রেজাউল হক, রেজাউনুল হক সুজন, মাইদুল হক মহল, মতিউর রহমান, সাজু ইসলাম, দুলালসহ আরও অনেকে।
এ নিয়ে মন্দির কমিটির সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার সকালে অভিযুক্তরা ওই শশ্মানের ঘর ও মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন রতন চন্দ্র বর্মন।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। অভিযুক্তরা গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামলের আত্বীয় হওয়ায় হাতীবান্ধা থনার ওসি বিষয়টি তাকে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল ফকির পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোকনকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার বিকালে ওই এলাকায় গিয়ে চাপ দিয়ে আপসের চেষ্টা করেন।
এ পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে শ্যামল ও খোকন চেয়ারম্যান হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হুমকি-ধমকি ও গালাগালি করেন। পরে হিন্দু সম্প্রাদয়ের লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নৌকা ঘাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিরু বালা বলেন, প্রথমে রেজাউল হক, রেজাউনুল হক সুজন, মাইদুল হক মহল, মতিউর রহমান, সাজু ইসলাম, দুলালসহ আরও অনেকে শ্মশানের মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন। এরপর এবার শ্যামল ও খোকন চেয়ারম্যান আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমাদের পূজা-অর্চনা করতে বাধা দেয়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে বুড়া সাড়ডুবি সার্বজনীন মহাশ্মশানের মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সবুজ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল ও খোকন মন্দিরে এসে পূজারিকে হুমকি দেয়। আমাদের পূজা-অর্চনার সামগ্রী পা দিয়ে লাথি মেরে গুঁড়িয়ে দেয়। আমরা ভয়ে পূজা-অর্চনা করতে পারছি না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
খুলনার কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্য দিলরুবা খাতুনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভুক্তভোগী দিলরুবা খাতুন আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত এক নং ওয়ার্ডের সদস্য।
দিলরুবা খাতুনের অভিযোগ, শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পর প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের লোকজন তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে তার কক্ষে ডাকেন। সেই সময় সেখানে পরিষদের আরও কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ার থেকে উঠে প্রথমে কক্ষের দরজা বন্ধ করেন। এরপর কোনো কারণ ছাড়াই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে উদ্যত হলে উপস্থিত কয়েকজন তাকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় তিনি ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলারও’ হুমকি দেন।
আরও পড়ুন: যশোরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবকের মৃত্যু
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য বলেন, রানা ও মুন্নার (চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সহোদর ভাই) সঙ্গে দিলরুবার আগে কি হয়েছে জানি না। ওই দিন প্রথমে রানা ও মুন্না দিলরুবার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। পরে চেয়ারম্যান এসে পরিষদের কলাপসিবল গেট বন্ধের নির্দেশ দেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে যান। পরে সালাম সানা নামের এক ব্যক্তি দিলরুবাকে চেয়ারম্যানের হাত থেকে রক্ষা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল বলেন, একটি প্রকল্পের কাজে অনিয়ম হয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে তার (ইউপি সদস্য) কাছে জানতে চাওয়া নিয়ে একটু-আধটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর বেশি কিছু না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের খুলনার উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী বলেন, আমদী ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কয়রা থানায় অভিযোগ করার কথা শুনেছি। অভিযোগের কপি পেলে জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল কয়রায় একটি খালের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জানকে মারধর করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যানের জিয়াউর রহমান জুয়েল। সেই সময় ভুক্তভোগী সার্ভেয়ার আক্তারুজ্জান এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নারী খুন, ভাইকে মারধর
তালগাছ উপড়ে ফেলায় ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ
সড়ক নির্মাণের অজুহাত দেখিয়ে ৩০টি তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তাদের বরখাস্তের পাশাপাশি চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতের প্রভাব হ্রাসে ৩৮ লাখ তালগাছের চারা রোপন হয়েছে: এনামুর
রবিবার (২৭ আগস্ট) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ.কে.এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। অন্যদিকে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. সোহেল।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি বলেন, তালগাছ নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে এক মাসের মধ্যে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন।
৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিতে বলেছেন আদালত।
নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরিমানাকৃত টাকা দিয়ে সেখানে তালগাছ লাগাতে এবং তা সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী কামরুজ্জামান।
সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে তালগাছ উপড়ে ফেলায় গত মে মাসে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংবাদ ও সম্পাদকীয় প্রকাশ হয়।
এতে বলা হয়, ‘উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে।’
বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে গত ৭ মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
সে অনুসারে মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার হাজির হন। আর ইউএনও প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর রুল শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কচুয়াবাসীকে রক্ষায় চেয়ারম্যানের ৫ হাজার তালগাছ রোপণের উদ্যোগ
অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে তালগাছ
চট্টগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দায়িত্বে অবহেলা এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
অভিযুক্ত মো. রুহল্লাহ চৌধুরী জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১ নম্বর চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম–১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর শ্যালক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমীন প্রধান এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এক স্কুলের ১৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি!
প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করা ও অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সম্পদের ক্ষতি করায় স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে এসব অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় বলে সরকার মনে করে। তার দ্বারা অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে সাতকানিয়ার চরতীতে মোবাইল কোর্টে জব্দকৃত বালু ও অ্যাস্কেভেটর চুরির ঘটনায় জিম্মাদার ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি।
বালু নিলাম কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে সুপারিশসহ ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ ঘরে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও সংঘর্ষ: দুই মামলায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আসামি
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু’র দায় স্বীকার
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিকালে ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসময় বাবু চেয়ারম্যান সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
জবানবন্দি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বকশিগঞ্জ পাটহাটি এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়।
তাকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে বকশীগঞ্জ থানায়।
তাদের মধ্যে মাহমুদুল আলম বাবুকে পাঁচ দিন, ৬ আসামিকে চারদিন এবং অপর ৬ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান, জাকিরুল, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মিলন, তোফাজ্জল, আইনাল, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহীহ, মকবুল ও ওহিদুজ্জামান।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের প্রত্যেককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার সন্দেহভাজন জামালপুরের সাধুরপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে পঞ্চগড় থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে বাবুসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন।
তিনি জানান, সীমান্ত পেরিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় শনিবার (১৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে বাবুসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, র্যাব পরে এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে।
এদিকে, গোলাম রব্বানীর স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন- ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নির্দেশে সংবাদ প্রতিবেদন বিষয়ে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন গোলাম রাব্বানী বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ উপজেলায় একদল সন্ত্রাসীর হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মনিরা দাবি করেন, ঘটনার আগে তার স্বামী বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন এবং চেয়ারম্যানের সহযোগীরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাককর্মী নিহত, আটক ১
ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে নামে এক কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম সাগর হোসেন (১৩)।
অভিযুক্তের নাম মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
ঘোড়াঘাট থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আবিরের পাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্রের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম তার ছেলে সাগরকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজল মিয়া ওই কিশোর ও তার মাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে কিশোর সাগরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের সময় কিশোরের মা মনোয়ারা বেগম তার ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করেন চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও ইউপি সদস্য মফিজাল।
পরে আশ্রয়ণকেন্দ্রের ঘরে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয় এবং বলা হয় অভিযুক্ত কিশোর বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে থাকে। সে অপরাধী। তাই তাকে এই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। চলে না গেলে তাকে এবং তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল ছাড়লেন ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা
এদিকে কিশোর সাগরের মা মনোয়ারা বেগম আজ মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজাল মিয়াকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, নির্যাতিত কিশোরের মা বাদী হয়ে থানায় এহাজার দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে আজ দুপুরে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর আসামি মফিজাল মিয়াকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুলকে প্রত্যাহার
ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় আটক আরও ২