অবৈধ ইটভাটা
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা দুই সপ্তাহের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে আদালত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
এর আগে বায়ু দূষণরোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালে রায় দেন উচ্চ আদালত।
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়:
১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহণ করতে হবে।
২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবে।
৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনও পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।
৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।
৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।
৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।
৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।
৯.মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি কর্পোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে চলছে ৬০ ভাগ ইটভাটা: মন্ত্রী
এই ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৩১ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকার বায়ু দূষণে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সেই আদেশ অনুযায়ী গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওই প্রতিবেদন দেখে বায়ু দুষণ রোধে আদেশ বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় দেন।
এছাড়া আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আজকে যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটাতে আদালত বলছেন যথেষ্ঠ নয়। কয়েকটা গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু অবৈধ ইটভাটার উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, তাই দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার আশেপাশের পাঁচ জেলায় অবৈধ ইটাভাটা বন্ধ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। সিটি করপোরেশনকে বলেছেন পর্যাপ্ত পানি ছিটাতে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করা, যে সব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার ঢেকে রাখাসহ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
১ বছর আগে
খুলনায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান শুরু
হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও ইটভাটা মালিকরা সম্মিলিতভাবে ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর পাড়ের ১৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধসহ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে ভদ্রা ও হরি নদীর দু’পাশে ব্যক্তি মালিকানার জমির সঙ্গে নদীর চর ভরাটিয়া জমি অবৈধভাবে দখল করে এলাকার প্রভাবশালীরা বেশ কয়েকটি ইটভাটা গড়ে তোলে।
নদীর চর দখল ও এলাকার পরিবেশের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ‘ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৪টি ইটভাটার মধ্যে থাকা সরকারি নদীর জায়গা থেকে ইটভাটা উচ্ছেদ/অপসারণ করে জমি অবমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। ’কিন্ত আদালতের সেই আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না হওয়ায় ৭ ডিসেম্বর রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট খুলনা জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাব দেয়ার নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১০ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
বিচারপতি জে.বি.এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ১৪টি অবৈধ ইটভাটা অপসারণ করে নদীর জায়গা অবমুক্ত করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও ইটভাটা মালিক পক্ষ সময় চেয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক আবেদন করলে তা খারিজ করা হয়ে যায়। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে ওইসব ভাটাগুলোর মধ্যে থাকা সরকারি জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসকেবেটর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত করে সরকারি নদীর জায়গা অবমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও ইতোমধ্যে কয়েকজন ইটভাটা মালিক তাদের ভেতর থাকা সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে স্ব উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। অভিযান কার্যক্রম মনিটরিং করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম মুমিন লিংকন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল,এ) আতিকুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও পুলিশের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটা মালিকদের যৌথ উদ্যাগে উচু-চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভাঙ্গা কার্যক্রমের পাশাপাশি ইট সরিয়ে নেয়া শুরু করে। খর্ণিয়া ব্রিজ সংলগ্ন ‘নুরজাহান ব্রিক্স’র কর্তৃপক্ষ তিনদিন ধরে উঁচু চিমনি ও ক্লিন বা চুল্লি ভেঙ্গে এবং ইট সরিয়ে নিচ্ছেন। পাশে কে,বি-২ ব্রিক্স বুধবার তাদের চিমনি ভেঙ্গে নেয়াসহ ইট সরিয়ে নিচ্ছে। কে.পি.বি ব্রিক্স তাদের ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে নিচ্ছেন এবং ভাটার ভিতরে নদীর জায়গায় থাকা স্থাপনা সরাচ্ছেন। এছাড়া এস.বি ব্রিক্স, সেতু-১ ব্রিক্সও তাদের মধ্যে থাকা নদীর জায়গা ছেড়ে দিতে ক্লিন ভেঙ্গে ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। এফ.এম.বি ব্রিক্স তাদের চিমনি ভেঙ্গে সরিয়ে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নুরজাহান ব্রিক্স’র মালিক শাহাজান জমাদ্দার বলেন,’আমি হাইকোর্টর নির্দেশ মান্য করে আমার ইটভাটার মধ্যে সরকারি জমির ওপর থাকা স্থাপনা শ্রমিক দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছি’।
কে,পি,বি ব্রিক্স’র ব্যবস্থাপক মাসুদ জোয়াদ্দার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা জানার পর থেকে আমাদের ইটভাটার মধ্যে থাকা নদীর জাগয়া থেকে মাটি মিকচার মিল, শ্রমিকদের স্থাপনা এবং ক্লিনের আংশিক ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া অব্যহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইয়াসির আরেফিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইনবিধি মোতাবেক আমরা ইতোমধ্যে ওই ১৪টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া সি.এস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর জমি চিহ্নিত করে তা উদ্ধার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে নদীর জাগয়া অবৈধ দখল মুক্ত করতে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এর মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড মালিককে এ অর্থদণ্ড দেয়ার কথা জানান ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১৪০টি ইটভাটার ৯৪টি অনুমোদনহীন
তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়া মলানী আরাজি ঝাড়গাঁও গ্রামে ওই ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন মালিক আব্দুস সোবহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে ইটভাটা ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে গেলে সোবহান দোষ স্বীকার করে ইটভাটা বন্ধের কথা জানান।
এরপর তাকে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৫ ও ১৮ ধারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একইসঙ্গে চিমনি অপসারণসহ ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড নামের ওই ইটভাটার অবস্থান। সেটি পুরোপুরিভাবে অবৈধভাবে চলছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইটভাটা মালিককে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ৭ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো আদালত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অনুমোদনহীন সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ও পাঁচ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান।
এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আতাউর রহমান, র্যাব, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ইট ভাটায় ড্রাম চিমনির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও কিছু অসাধু ভাটা মালিক অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে
বাকি ব্রিকস, সাগর ব্রিকস, সৈনিক ব্রিকস, জহুরা ব্রিকস, সিফাত ব্রিকস, এসআরবি- ২ ও এসআরবি- ৩ নামের সাতটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও জানা গেছে, অভিযানে সাতটি ভাটার প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ইট ও পাঁচ লক্ষাধিক পোড়ানো ইট ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান চলমান রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযানের সরেজমিন থেকে দেখা গেছে, এক্সেভেটর দিয়ে ভাটার চারিদিকের দেয়াল ও ড্রামনি ভেঙে দেয়া হচ্ছে। কাঁচা ইটগুলো ট্রাক্টর ও পোড়ানো ইটগুলো এক্সেভেটর দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জ্বলন্ত ভাঙা ভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিভাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে অবৈধ ড্রাম চিমনি ব্যবহৃত ভাটাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ভাটায় অভিযান চালানো হবে। যদুবয়রাতে সাতটি অবৈধ ড্রাম চিমনি ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক ইট।'
এদিকে অবৈধ ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সময়োপযোগী অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে মুহূর্তেই শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমান অভিযান দেখতে। এমন অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
২ বছর আগে
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার আগামী সাতদিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ সচিবকে এ নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ‘র এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
রুলে সকল জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ও ভাটা কাঠ ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বরা হয়েছে।
আদালত অপর এক আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় কমিশনারদের এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইট ভাটায় কাঠের ব্যবহার স্থগিতকরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইট ভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এই মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে গত ১৩ নভেম্বর হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট করে। আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
৮৮ কারারক্ষী নিয়োগে জালিয়াতি: দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
২ বছর আগে
৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের বেঞ্চটি আগামী সাত দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ওই সব জেলার জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে পাশাপাশি আগামী দুই সপ্তাহের
মধ্যে অবৈধ ইটভাটার তালিকা তৈরি করে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধ’ করা অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এর অধীনে চার জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা তাদের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না- এমন বিধান থাকা সত্ত্বেও সারাদেশে এগুলোর বিস্তার অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ নভেম্বর রিটটি দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবৈধ ৫ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
২ বছর আগে
খুলনায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদী তীরের সরকারি জায়গায় স্থাপিত ১৪ অবৈধ ইটভাটাসহ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রবিবার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এতে দুটি ইট ভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ পাঁচটি ইট ভাটাকে নদীর জায়গায় স্থাপিত স্থাপনা ও স্তুপকৃত ইট ও মাটি আগামী তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে বাধা কাটল
অভিযানে আটলিয়ার বরাতিয়া এলাকার শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন নুর জাহান ব্রিকস-২ ইট ভাটা লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নদীর মাটি কেঁটে ইট প্রস্তুত করার অপরাধে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ, খর্ণিয়া এলাকায় সোহরাব হোসেনের মালিকানাধীন এ এফ এম ব্রিকস লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
এছাড়া উল্লেখিত ইট ভাটা দু’টিসহ গাজী এজাজ আহমেদের মালিকানাধীন সেতু ব্রিকস, মো. ফজলুর রহমানের মালিকানাধীন এসবি ব্রিকস ও মো. সালেহ আখতার মাহির মালিকানাধীন কেবি-২ ব্রিকসকে নদীর জায়গায় স্থাপিত স্থাপনা, স্তুপকৃত ইট ও মাটি আগামী তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ডুমুরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হামিদুল ইসলাম, এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান পুলিশ সদস্যরা ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।
২ বছর আগে
মাগুরায় ৬টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ভাটা পরিচালনা করার অপরাধে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় ছয়টি ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ বছর আগে
লালমনিরহাটে অবৈধ ইটভাটাকে লাখ টাকা জরিমানা
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ বছর আগে
চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা সাতদিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
দূষণ রোধে চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে