খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদী তীরের সরকারি জায়গায় স্থাপিত ১৪ অবৈধ ইটভাটাসহ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রবিবার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এতে দুটি ইট ভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানাসহ পাঁচটি ইট ভাটাকে নদীর জায়গায় স্থাপিত স্থাপনা ও স্তুপকৃত ইট ও মাটি আগামী তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে বাধা কাটল
অভিযানে আটলিয়ার বরাতিয়া এলাকার শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন নুর জাহান ব্রিকস-২ ইট ভাটা লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং নদীর মাটি কেঁটে ইট প্রস্তুত করার অপরাধে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ, খর্ণিয়া এলাকায় সোহরাব হোসেনের মালিকানাধীন এ এফ এম ব্রিকস লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
এছাড়া উল্লেখিত ইট ভাটা দু’টিসহ গাজী এজাজ আহমেদের মালিকানাধীন সেতু ব্রিকস, মো. ফজলুর রহমানের মালিকানাধীন এসবি ব্রিকস ও মো. সালেহ আখতার মাহির মালিকানাধীন কেবি-২ ব্রিকসকে নদীর জায়গায় স্থাপিত স্থাপনা, স্তুপকৃত ইট ও মাটি আগামী তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ডুমুরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হামিদুল ইসলাম, এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান পুলিশ সদস্যরা ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।