ইউরোপীয় পার্লামেন্ট
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষই ইউক্রেন ও গাজায় সংঘাতের অবসানের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের যে কোনো স্থানে যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, যুদ্ধ ও সংঘাতে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশ পার্লামেন্টের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষই নারীর ক্ষমতায়ন, বিশেষ করে রাজনীতি, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের ক্ষেত্রে আলোচনা করেছে।
১ বছর আগে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মতামত প্রকাশিত হয়েছে, ইউএনবিকে রাষ্ট্রদূত
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য (এমইপি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ/ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসকে সম্ভববত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই এমইপিরা হলেন- ইভান শটেফানেক (ইপিপি, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র), মাইকেলা সোজড্রোভা (ইপিপি, চেক প্রজাতন্ত্র), আন্দ্রে কোভাতচেভ (ইপিপি, বুলগেরিয়া), কারেন মেলচিওর (রিনিউ, ডেনমার্ক), জাভিয়ের নার্ট (রিনিউ, স্পেন) এবং হেইডি হাউটালা (গ্রিন/ইএফএ, ফিনল্যান্ড)।
ইইউ হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কাছে এক চিঠিতে ছয়জন এমইপিও ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং চলমান সংকটের একটি টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস অবশ্য এই চিঠিকে এতে স্বাক্ষরকারী ছয় এমইপির মতামত হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেছেন, ‘আমি শুধু বলব যে এই চিঠিটিতে এতে স্বাক্ষরকারী ৬ জন এমইপির মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।’
স্বাক্ষরকারী এমইপিরা জানান, বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতায় দীর্ঘ সময়ের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জোরালো কারণ রয়েছে ইই’র।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এভাবে ইইউকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার প্রসঙ্গে শুধুমাত্র বারবার সংলাপে সীমাবদ্ধ থেকে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।’
তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ও জড়িতদের জন্য ইইএ জোনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার মতো সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন, বা এটা জিএসপিপ্লাস প্রণোদনার নিয়মিত শর্তগুলোর কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া, যেখানে অংশগ্রাহক হিসেবে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করা হতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশন এবং সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ মিলে এই বিষয়ে (এবং সম্ভবত অন্যান্য আরও কিছুক্ষেত্রে) নেওয়া উদ্যোগের ফলাফল সম্পর্কে আরও জানতে পারলে খুশি হব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চায় বাংলাদেশ
কোনো দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে সংবিধানের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রস্তাব পাইনি: শাহরিয়ার
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ও ইইউ দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ইইউ অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
ব্রাসেলসে মঙ্গলবার ও বুধবার (২ ও ৩ মে) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক কমিশনার জুটা উরপিলাইনেন, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার মিজ ইলভা জোহানসন, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কমিশনার জেনেজ লেনারসিচ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড ল্যাঞ্জ, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড ম্যাকঅ্যালিস্টার এবং মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাংলাদেশকে একটি সাফল্যের গল্প বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি: বিশ্বকে 'ট্র্যাকে ফিরে' পেতে ইইউকে সহায়তা করার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ প্রধান
অপরদিকে স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ইইউ-এর ভূমিকা বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সামাজিক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইবিএ-এর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইইউকে অবহিত করে ভবিষ্যতে ইইউ-এর আরও বড় ভূমিকা পালনের আশা প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া এলডিসি-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক, ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের অধীনে অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রিন ট্রানজিশন, দক্ষ অভিবাসন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়গুলো বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্ককে আরো সুসংহত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি হিসেবে অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত শুরুর আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ পক্ষ।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্যেও ইইউ-এর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে।
বৈঠকে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বেলজিয়াম ও ইইউতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ব্রাসেলসে চারদিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।
এ সফরে ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ইউরোপীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে মতবিনিময় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের মতো বিপর্যয় এড়াতে দরকার নিয়ন্ত্রিত আরএমজি শিল্প: ইইউ
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ইইউ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারক-বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
১ বছর আগে
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইস্যুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির একটি প্রতিনিধি দল সোমবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
হেইডি হাউতালা এমইপি বাংলাদেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সফরে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রধানত বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা ইইউ এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক অনুসরণ করতে আগ্রহী যা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (এমইপি) সদস্যদের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন মন্ত্রী ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে দেখা করবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় পক্ষই জিএসপি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দল ব্যক্তিমালিকানাধীন কারখানা পরিদর্শন করবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করবেন।
পড়ুন: ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
২ বছর আগে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি আর নেই
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলি ৬৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে তিনি ইতালির অ্যাভিয়ানোর একটি হাসপাতালে মারা যান। তার মুখপাত্র রবার্তো কুইলোর বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ইতালির সাবেক সাংবাদিক ও কেন্দ্র-বামপন্থী রাজনীতিবিদ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন এবং সব ধরনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বাতিল করেন।
সাসোলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় গুরুতর জটিলতার কারণে গত মাসে ইতালির একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
এর আগে সেপ্টেম্বরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সাবেক এই টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপক ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ৭০৫ আসন বিশিষ্ট ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি হন। এর আগে ২০০৯ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য হন এবং তিনি তিন দশক সাংবাদিকতা করেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল সাসোলিকে ‘আন্তরিক ও অমায়িক ইউরোপীয়’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই তার মানবিক উষ্ণতা,উদারতা,বন্ধুত্ব ও হাসি স্মরণ করছি।’
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, ‘আমি একজন মহান ইউরোপীয় ও ইতালিয়ানের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। ডেভিড সাসোলি ছিলেন একজন অমায়িক সাংবাদিক, ইইউ পার্লামেন্টের অসাধারণ প্রেসিডেন্ট ও সর্বোপরি একজন প্রিয় বন্ধু।’
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩১ কোটি ছাড়াল
নিউইয়র্কে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৯ শিশুসহ নিহত ১৯
২ বছর আগে