শিশুকে হত্যা
ঘুমের মধ্যে ডাকায় শিশুকে হত্যা, আটক ১
ঘুমের মধ্যে ডাকায় সিলেটের বিশ্বনাথে মুখে রড ঢুকিয়ে তামিম আহমদ (৭) নামে এক শিশুকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম নাইম আহমদ (২২)।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
তামিম আহমদ নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার আইতর গ্রামের দিনমজুর জামির উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
তারা সপরিবারে বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বনাথ পৌরসভার কালিগঞ্জ বাজারের চুনু মিয়ার কলোনিতে বসবাস করে আসছে।
রিকশাচালক নাইম আহমদ নেত্রকোনার মদন থানার বড়হাঠি গ্রামের আব্দুল ছাত্তার সাচ্চু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মুখে রড ঢুকিয়ে শিশু তামিমকে হত্যা করেছে নাইম। স্থানীয়রা টের পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘাতক নাইমকে ধরে এনে শনিবার সকালে কলোনির পার্শবর্তী একটি পুকুর থেকে শিশু তামিমের লাশ উদ্ধার করে।
ঘাতক নাইমের হাত-পা বেঁধে কলোনির একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন তারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিতি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিরর মুহিবুর রহমান বাচ্চু ও কালিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং সাবেক মেম্বার দবিরুল ইসলামকে খবর দেন এলাকাবাসী। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ও আটক ঘাতককে নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েন থানায় পুলিশ না থাকায়। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে কলোনির মালিককে খবর দিয়ে এনে তার জিম্মায় রেখেছেন।
অভিযুক্ত নাইম বলেন, ‘ড্যান্ডি সেবন করে আমি বাসায় ঘুমাচ্ছিল। তখন শিশু তামিম বার বার জানালা দিয়ে আমাকে ডাকছিল। বিরক্ত হয়ে রাগের মাথায় তাকে মুখে রড ঢুকিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেই।’
শনিবার বিকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তামিমের লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আর অভিযুক্ত নাইম কলোনির মালিক চুনু মিয়াসহ এলাকার মুরব্বিদের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর সার্কেল এএসপি আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: যশোরে মাথায় গুলি করে প্রবাসীকে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
৩ মাস আগে
রাজশাহীতে শিশুকে হত্যার অভিযোগ আরেক শিশুর বিরুদ্ধে
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে হত্যার পরে বস্তাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আরেক শিশুর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিবেশির বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত সুমাইয়া মাহি (৩) উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মিলন খানের মেয়ে।
অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম (১২) একই এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিহত শিশুর পরিবার জানায়, বুধবার সকাল থেকে মাহি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অভিযুক্ত মিম নিহত মাহিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে হত্যা করে ওই বাসার মধ্যেই লাশ বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখে। হিযবুল্লাহ আব্বাসের মা জাহানারা বেগম একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি বিকালে বাসায় আসলে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করে। এরই মাঝে নিহতের ভাই,বাবা ও গ্রামের লোকজন তার বাসায় খুঁজতে গেলে বিষয়টি জানতে পারে। পরে পুলিশকে খবর দিলে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ হিযবুল্লাহ আব্বাসের বাড়ির থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিমকে আটক করে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় নিহত মাহি খাতুনের গলায় তার দিয়ে বাঁধা ছিলো। এছাড়াও চাকু দিয়ে দুই পায়ের রগ কাটা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি লুকিয়ে রাখা হয় তবে পুলিশ তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৮ সালে আট বছরের এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জজ মো. নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। যা অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার মোবারকের ছেলে বাবলু, ইংরাজ মণ্ডলের ছেলে আমিনুল ইসলাম লালু, আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল হামিদ ও ফিদা মিয়ার ছেলে কাজল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হত্যা মামলা: ৫ জনের যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ মে ক্ষেতলাল উপজেলার সূর্যবান গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক ওবায়দুর রহমান ও তার স্ত্রী তাদের ছেলে তানভীরকে তার দাদী ও বোনের সঙ্গে বাড়িতে রেখে কাজে যান।
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা তানভীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ফেলে দেয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানোর পর পুকুর থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পরে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
রংপুরের পীরগাছায় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে রিয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে -২ এর বিচারক মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) এবং ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সালাউদ্দিন তালুদ (২০)। এরমধ্যে রাসেল আদালতে উপস্থিত থাকলেও সালাউদ্দিন পলাতক।
এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পরান গ্রামের আব্দুর রহিমের শিশু কন্যা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির সামনে রাস্তায় প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। এরপর
রিয়ার বাবার কাছে মুঠোফোনে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা!
এদিকে মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রিয়ার বাবা আব্দুর রহিম। পরবর্তীতে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রিয়ার বাবা।
মামলার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি রাসেলকে গ্রেপ্তারসহ তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে রাসেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারসহ মুক্তিপণ চাওয়ার জন্য ব্যবহৃত মুঠোফোন ও জুসের বোতল উদ্ধার করা হয় এবং জনৈক রাসেল তালুকদারের বাড়ি সংলগ্ন আব্দুল হক মিস্ত্রীর টয়লেট থেকে রিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সালাউদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, অর্থের লোভে রিয়াকে অপহরণ করে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর শ্বাসরোধে হত্যার করে তার লাশ টয়লেটে গুম করা হয়।
তবে মামলার এজাহারে রাসেল মিয়া ও সালাউদ্দিনের নাম না থাকায় তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ জুন ওই দুজনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান।
সাত বছরের বেশি সময় ধরে মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এর রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রায়ে এজাহারনামীয় আসামিদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য বাদীকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে খালাসপ্রাপ্তদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান।
আরও পড়ুন: রংপুরে মেয়েকে জবাই করে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
২ বছর আগে