মানব
মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সন্ত্রাসবাদ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আজকের বিশ্বে গণতন্ত্র, শান্তি এবং মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ একটি। বৈশ্বিক হুমকি হওয়ায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে এ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে মামলা ব্যবস্থাপনা এবং প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওপিডিএটি-এর সহযোগিতায় ঢাকায় আয়োজিত ছয়মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও প্রসিকিউটরগণ অংশ নেন।বক্তৃতার প্রারম্ভে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি বন্দুকধারীর গুলিতে নিরপরাধ ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহতদের স্মরণে কিছু সময় দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের আহ্বান জানালে সকলে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদের প্রস্তুতি, সহায়তা এবং উস্কানিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০০৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়া ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত অপরাধ দমনের জন্য ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। উভয় আইন অনুসারে, সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধের সুষ্ঠু ও কার্যকর বিচারের জন্য সারা দেশে সাতটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।আনিসুল হক বলেন, করোনার মহামারির সময়েও জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ’ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত চালু করা হয়েছিল। করোনার মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করেছে যা জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এবং কারাগারে বন্দীদের ভিড় কমাতে অনেক অবদান রেখেছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক ডেভিড কার্টার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা মিশেল প্রিন্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. শফি উল্লাহ (৫৫), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০), ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (১৯), তার স্ত্রী লাকী আক্তার (১৯), মো. পারভেজ (১৬), মো. জালাল (২৬) ও মো. রেদওয়ান (১৯)।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি-২।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি-২ এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের দুটি পৃথক অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার
বিজিবি জানায়, আটকদের কাছ থেকে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৭৮৪ টাকা মূল্যের কিয়াট (মিয়ানমারের মুদ্রা), ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের ১৪ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার এবং তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা মাদক চোরাচালান ও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন দেশে পাচারের কথা স্বীকার করেছে।
জব্দ করা গয়না ও কিয়াট কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হবে। এছাড়া আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসি
আহত ব্যক্তিকে আটক: জামলাপুরে ৪ এসআই বরখাস্ত, ২ কনস্টেবল প্রতাহ্যার
২ বছর আগে
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান কেবল একক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। রবিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে মানব পাচার সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো এবং তা অনুশীলনে উদ্ভূত সমস্যা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তিনদিনব্যাপী এই কর্মশালায় মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২২ জন বিচারক অংশ নেয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।আইনমন্ত্রী বলেন, মানব পাচারকে একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এই অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে এর অধীনে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। সাত বিভাগীয় শহরে সাতটি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছে। পাশাপাশি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ - ২০২২ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাও উক্ত আইন বাস্তবায়নে যথাযথভাবে কাজ করছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
মানব পাচারকে একটি ভয়ানক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের হেড অব কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে আগত বিচারক মিশেল ব্রুয়ার এবং বিচারক হিনা রাই, ইউএনওডিসি'র মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান শাখার গ্লো-অ্যাক্ট পলিসি প্রধান সামান্থা মুনোদাওয়াফা, গ্লো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানব পাচার মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি জঘন্য রূপ। এটি বিশ্বের সর্বত্র ঘটে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন, শুধু আইন দিয়ে এ অপরাধ দমন বা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে মানব পাচার, প্রাসঙ্গিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং বিচার নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় মানব পাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২৩ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মানব পাচার সংগঠিত অপরাধের একটি প্রধান রূপ হয়ে উঠেছে এবং তা সমাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এটি আধুনিক দাসপ্রথার একটি নতুন ধারা; যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্যাতন ও শোষণের শিকার করে পাচারকারীরা লাভবান হয়।
আরও পড়ুন: সরকার আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানব পাচারের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মানব পাচারের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশেষ আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেগুলোতে বিচারক এবং প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি কাজ করছে। মানব পাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা- উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ইউএসএআইডি-এর এফএসটিআইপি অ্যাক্টিভিটির চিফ অব পার্টি লিজবেথ জোনেভেল্ড ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সরকার আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারে না: আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে