বিমান দুর্ঘটনা
বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের মৃত্যু
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার-এর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন এবং তার ব্যক্তিগত সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
তবে এই দুর্ঘটনাকে একটি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলে মনে করছেন অনেকেই।
কারণ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের মাত্র দুই মাস পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রাশিয়ার সিভিল এভিয়েশন এজেন্সি জানিয়েছে, বুধবার মস্কো থেকে তিনজন ক্রু নিয়ে প্রিগোজিন ও ছয়জন শীর্ষ লেফটেন্যান্ট একটি ব্যবসায়িক জেটে উড্ডয়নের পরপরই এটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রিগোজিনের ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রুশ মিডিয়া ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
গত ২৩-২৪ জুন বিদ্রোহের অবসান করা চুক্তিতে অভিযোগ প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছিলেন, পুতিন দীর্ঘদিন প্রিগোজিনের দিকে নজর রাখবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আসলে কী ঘটেছে আমি তা জানি না। তবে আমি অবাক হইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ায় খুব কম কাজই পুতিনের ইশারা ছাড়া হয়।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ!
প্রিগোজিন সমর্থকরা প্রো-ওয়াগনার মেসেজিং অ্যাপ চ্যানেলে দাবি করেছেন, বিমানটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়েছে।
কীভাবে তা করা হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়েছেন তারা।
তদন্তকারীরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ লাশগুলো নিয়ে গেছে।
জানা গেছে, লাশগুলো খুব খারাপভাবে পুড়ে গেছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনারের সদর দপ্তরে একটি বড় ক্রসের আকারে আলো জ্বালানো হয়েছে।
প্রিগোজিনের সমর্থকরা তার স্মরেণে একটি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক প্রিগোজিনের মৃত্যুকে পুতিনের ২৩ বছরের শাসনকালে তার কর্তৃত্বের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ করার শাস্তি বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের একজন সিনিয়র ফেলো তাতিয়ানা স্ট্যানোভায়া টেলিগ্রামে বলেছিলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার কারণ যাই হোক না কেন, সবাই এটিকে ক্রেমলিনের প্রতিশোধ বলে মনে করবে।’
স্ট্যানোভায়া টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ‘প্রিগোজিনের মৃত্যু পুতিনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক বাহিনীর সম্ভাব্য বিদ্রোহকারীদের জন্য দেওয়া একটি শিক্ষা হতে পারে।’
গত ২৩ জুন ওয়াগনার সেনাদের শুরু করা বিদ্রোহ ২৪ ঘণ্টারও কম সময় স্থায়ী হয়েছিল। প্রিগোজিনের ভাড়াটে সৈন্যরা দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে প্রবেশ করে এবং একটি গুলিও না চালিয়ে সেখানকার সামরিক সদর দপ্তর দখল করে।
এরপর ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যরা মস্কো অভিমুখে রওনা দেয়, যেটিকে প্রিগোজিন শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘মার্চ অব জাস্টিস’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
পুতিন এই বিদ্রোহকে ‘বিশ্বসঘাতকতা’ এবং ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ বলে নিন্দা করেছিলেন এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ৩টি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিল জার্মানি
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্ততায় পুতিন ও প্রিগোজিন একটি চুক্তি করেছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রিগোজিন ও তার ভাড়াটে সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপরাধে আনা ফৌজদারি মামলাগুলো তুলে নিয়ে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। বিনিময়ে প্রিগোজিন বিদ্রোহের অবসান করে বেলারুশে চলে যাবেন।
বিদ্রোহ সত্ত্বেও প্রিগোজিনের ভাড়াটে সৈন্যরা আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, প্রিগোজিন তার প্রথম ভিডিও প্রকাশ করেন।
যেখানে তিনি জানান তিনি আফ্রিকার কোনো একটি জায়গা থেকে কথা বলছিলেন।
ভিডিওতে তিনি বলছিলেন, ওয়াগনার ‘সব মহাদেশেই রাশিয়াকে আরও ক্ষমতাবান করবে এবং আফ্রিকাকে আরও মুক্ত করে তুলবে।’
প্রিগোজিনের বিদেশি কার্যকলাপ রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে বিরক্ত করেছে।
তারা আফ্রিকায় ওয়াগনার সৈন্যদের বদলে রাশিয়ান সামরিক কর্মী পাঠাতে চাচ্ছিলেন।
১ বছর আগে
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা: ৬০ জনের লাশ হস্তান্তর
নেপালের কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৭২ জনের মধ্যে ৬০ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইয়েতি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত: নেপালে জাতীয় শোক পালন
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া আরও ১০টি লাশের মধ্যে ছয়টি শনাক্ত করা হয়েছে, শিগগিরই তাদের স্বজনদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করা হবে। বাকি চারজনকে এখনও শনাক্ত করা হয়নি।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) পশ্চিমে পোখারার রিসোর্ট শহরে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৭০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
উদ্ধারকারীরা এখনও সেই স্থানে দুটি লাশের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
টুইন ইঞ্জিনের এটিআর ৭২-৫০০ বিমানটি হিমালয়ের পাদদেশে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে আসার সময় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনাস্থলটি রানওয়ে থেকে প্রায় ১.৬ কিলোমিটার (১ মাইল) বা প্রায় ৮২০ মিটার (২৭০০ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত।
তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও বলেছে যে বিমানবন্দরের ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: নেপালের পার্লামেন্টের সামনে যুবকের আত্মহননের চেষ্টা
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
১ বছর আগে
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
পোখরা, নেপাল, ১৭ জানুয়ারি (ইউএনবি)-নেপালের কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর শুরু করেছে। এছাড়া বিশ্লেষণের জন্য বিমানের ডেটা রেকর্ডার ফ্রান্সে পাঠাচ্ছে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী তা নির্ধারণ করার চেষ্টা চলছে।
হিমালয়ের পাদদেশে নতুন খোলা পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে যাওয়ার সময় রবিবার ফ্লাইটটি একটি খাদে পড়ে যায়। এসময় বিমানে থাকা ৭২ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়।
অনুসন্ধানকারীরা সোমবার ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার খুঁজে পেয়েছেন এবং ৩০০ মিটার গভীর (৯৮৪-ফুট-গভীর) উপত্যকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে চিরুনি অভিযান চালায় নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে। মঙ্গলবার সকালেও একজনের লাশ পাওয়া যায়।
বিমানের প্রস্তুতকারক এটিআর-এর সদর দপ্তর টুলুসে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরাউলা বলেছেন, ভয়েস রেকর্ডারটি স্থানীয়ভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। তবে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারটি ফ্রান্সে পাঠানো হবে।
ফরাসি বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে এটি তদন্তে অংশ নিচ্ছে এবং এর প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে ছিল।
নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের চালিত টুইন-ইঞ্জিন এটিআর ৭২-৫০০টি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) পশ্চিমে রিসর্ট শহর পোখরাতে ২৭ মিনিটের ফ্লাইটটি সম্পন্ন করছিল।
তবে এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনে হচ্ছে যে এটা টার্বোপ্রপ বিমানবন্দরের কাছে যাওয়ার সময় কম উচ্চতায় একটি স্টলে গিয়েছিল, কিন্তু কেন তা স্পষ্ট নয়।
বিমানটিতে ১৫ বিদেশি নাগরিক ও চারজন ক্রু সদস্যসহ ৬৮ জন যাত্রী ছিল। বিদেশিদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান, দুইজন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে।
পোখরা হল অন্নপূর্ণা সার্কিটের প্রবেশদ্বার এবং হিমালয়ের একটি জনপ্রিয় হাইকিং ট্রেইল।
মঙ্গলবার বিকালে পোখরার সেতি নদীর তীরে একটি শ্মশানের তুলসী ঘাটে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল। তারা দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ত্রিভুবন পাউডেল (৩৭) নামক সাংবাদিক এবং স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকের জন্য শোক জানাতে এসেছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় হাসপাতালের বাইরে শত শত আত্মীয় ও বন্ধুরা জড়ো হয়েছিল।
অনেকে একে অপরকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, যখন কেউ কেউ ময়নাতদন্তের গতি বাড়ানোর জন্য কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানাচ্ছিলেন, যাতে তারা তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক স্মিথ, যিনি বোয়িং ৭৫৭ এবং ৭৬৭ বিমান চালান এবং ‘পাইলটকে জিজ্ঞাসা করুন’ নামে একটি কলাম লেখেন, তিনি সতর্ক করে বলেন যে দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনও অনেক বিবরণ জানা যায়নি।
তিনি একটি ই-মেইলে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘একটি সম্ভাবনা হল একটি ইঞ্জিনের ব্যর্থতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
বিমানের অবতরণের স্মার্টফোনের ভিডিও করা দিওয়াস বোহোরা বলেন, বিমানটি হঠাৎ বাম দিকে না আসা পর্যন্ত এটিকে অন্যান্য বিমানের মতোই সাধারণ অবতরণ মনে হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি এটা দেখেছি এবং আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম ... আমি ভেবেছিলাম যে আজ এটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে এখানে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, আমিও মারা যাব।’
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি: বাংলাদেশে ভারতীয় সহযোগিতা 'দৃশ্যমান', বললেন নসরুল
দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি এটিআর৭২, যা সারা বিশ্বের এয়ারলাইনগুলো সংক্ষিপ্ত আঞ্চলিক ফ্লাইটের জন্য ব্যবহার করে।
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে একটি ফরাসি ও ইতালীয় অংশীদারিত্বে নির্মিত হয় এটি। বিমানের এই মডেলটি বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
এর আগে তাইওয়ানে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দু'টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার মধ্যে একটি এটিআর৭২-৫০০ ও এটিআর৭২-৬০০ বিমান।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে একটি ট্রান্সএশিয়া এটিআর ৭২-৫০০ ফ্লাইট তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যে মনোরম পেঙ্গু দ্বীপপুঞ্জে অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়। একই তাইওয়ানিজ এয়ারলাইন পরিচালিত একটি এটিআর ৭২-৬০০।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাইপেইতে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এসময় এর একটি ইঞ্জিন ব্যর্থ হয় এবং দ্বিতীয়টি ভুলবশত বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া ২০১৬ সালে ট্রান্সএশিয়া সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ করার পর ব্যবসাও বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিমান কোম্পানির মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানিয়েছেন, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ছয়টি এটিআর৭২-৫০০ প্লেনের বহর রয়েছে।
নেপালে মাউন্ট এভারেস্টসহ বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটির অবস্থান। এবং দেশটির বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে।
ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশনের এভিয়েশন সেফটি ডাটাবেস অনুসারে, ১৯৪৬ সাল থেকে নেপালে ৪২টি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রবিবারের দুর্ঘটনাটি ১৯৯২ সালের পর নেপালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। সেসময় একটি বিমান কাঠমান্ডুতে অবতরণের চেষ্টা করার সময় একটি পাহাড়ে ধাক্কা দেয় এবং এতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে থাকা ১৬৭ জন যাত্রীর সবাই প্রাণ হারান।
নিরাপত্তার মান দুর্বল উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৩ সাল থেকে নেপালের এয়ারলাইন্সকে ২৭টি দেশের ওপর দিয়ে উড়তে নিষেধ করেছে।
২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন নেপালের এভিয়েশন সেক্টরে উন্নতির কথা উল্লেখ করেছে।
কিন্তু, ইইউ এর প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি করে আসছে।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত: নেপালে জাতীয় শোক পালন
১ বছর আগে
বিমান দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত: নেপালে জাতীয় শোক পালন
পোখরায় বিমান দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৬ জানুয়িারি) জাতীয় শোক পালন করেছে নেপাল।
রবিবার দেশটিতে একটি বিমান ৭২ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে এই প্রাণহাণির ঘটনা ঘটে। এতে ৬৮ জন নিহত হন।
দেশটির কাস্কি জেলার একজন জেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা টেক বাহাদুর কেসি বলেছেন, সোমবার সকালে দুটি লাশ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৬৮ জনে পৌঁছেছে।
তবে বিমান কী কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
দিওয়াস বোহোরা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী তার বারান্দা থেকে প্লেনের অবতরণের ফুটেজ রেকর্ড করেছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি বিমানটিকে নিচু হয়ে উড়তে দেখেন, এরপর হঠাৎই এটি তার বাম দিকে চলে যায়।
বোহোরা বলেন, ‘আমি এটা (দুর্ঘটনা) দেখেছি এবং আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম ... আমি ভেবেছিলাম যে আজ এটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে এখানে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, আমিও মারা যাব।’
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সেটি বিমানবন্দরের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছিল।
এক বিবৃতিতে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের টুইন-ইঞ্জিন এটিআর ৭২ বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) পশ্চিমে পোখরা পর্যন্ত ২৭ মিনিটের ফ্লাইট পরিচালনা করছিল।
বিমানটি ১৫ জন বিদেশি নাগরিকের পাশাপাশি চারজন ক্রু সদস্য সহ ৬৮ জন যাত্রী বহন করছিল। বিদেশিদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান, দুইজন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে।
পোখরা একাডেমি অব হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স, ওয়েস্টার্ন হাসপাতালে লাশগুলো রাখা হয়েছে।
জেলার পুলিশের মুখপাত্র জ্ঞান খাকদা বলেছেন, ৩১টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট শেষ করার পরে পরিবারের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশিদের লাশ এবং যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের আরও তদন্তের জন্য কাঠমান্ডুতে পাঠানো হবে।
রবিবার, টুইটারে ছবিতে দেখা যায় যে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক দশমিক ছয় কিলোমিটার (প্রায় এক মাইল) দূরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ার ঢেউ দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিষ্ণু তিওয়ারি দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন।
তিনি জানান, ঘন ধোঁয়া এবং আগুনের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।
তিওয়ারি বলেন, ‘শিখাগুলো এতই উত্তপ্ত ছিল যে আমরা ধ্বংসস্তূপের কাছে যেতে পারিনি। আমি একজন লোককে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনেছি, কিন্তু শিখা এবং ধোঁয়ার কারণে আমরা তাকে সাহায্য করতে পারিনি।’
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন।
দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল বিমানবন্দরে ছুটে যান এবং দুর্ঘটনার তদন্তে একটি প্যানেল গঠন করেন।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধারের জন্য নেপালি সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা এখনও দুই দক্ষিণ কোরিয়ার যাত্রীর ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং ঘটনাস্থলে কর্মী পাঠিয়েছে।
নেপালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সি নোভিকভ বিমানটিতে থাকা চার রুশ নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আর্জেন্টিনার নিউকুয়েন প্রদেশের গভর্নর ওমর গুতেরেজ তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন যে ফ্লাইটে একজন আর্জেন্টিনার যাত্রী ছিলেন।
পোখরা হল অন্নপূর্ণা সার্কিটের প্রবেশদ্বার ও হিমালয়ের একটি জনপ্রিয় হাইকিং ট্রেইল। এ শহরের নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কার্যক্রম শুরু করেছে।
দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি এটিআর৭২, যা সারা বিশ্বের এয়ারলাইনগুলো সংক্ষিপ্ত আঞ্চলিক ফ্লাইটের জন্য ব্যবহার করে।
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে একটি ফরাসি ও ইতালীয় অংশীদারিত্বে নির্মিত হয় এটি। বিমানের এই মডেলটি বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
এর আগে তাইওয়ানে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দু'টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার মধ্যে একটি এটিআর৭২-৫০০ ও এটিআর৭২-৬০০ বিমান।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে একটি ট্রান্সএশিয়া এটিআর ৭২-৫০০ ফ্লাইট তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যে মনোরম পেঙ্গু দ্বীপপুঞ্জে অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়। একই তাইওয়ানিজ এয়ারলাইন পরিচালিত একটি এটিআর ৭২-৬০০।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাইপেইতে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এসময় এর একটি ইঞ্জিন ব্যর্থ হয় এবং দ্বিতীয়টি ভুলবশত বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৫ সালের দুর্ঘটনার ফুটেজ নাটকীয়ভাবে ধারণ করা হয়েছে।
এতে দেখা যায় যে বিমানটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে একটি ট্যাক্সিকে আঘাত করে। এতে ৪৩ জন নিহত হয় এবং কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য তাইওয়ানি-নিবন্ধিত সমস্ত এটিআর ৭২ বিমানগুলোকে ফ্লাইট না চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এছাড়া ২০১৬ সালে ট্রান্সএশিয়া সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ করার পর ব্যবসাও বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: পোখরায় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে নিহত ৬৮
বিমান কোম্পানির মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানিয়েছেন, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ছয়টি এটিআ৭২-৫০০ প্লেনের বহর রয়েছে।
নেপালে মাউন্ট এভারেস্ট সহ বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটির অবস্থান। এবং দেশটির বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে।
ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশনের এভিয়েশন সেফটি ডাটাবেস অনুসারে, ১৯৪৬ সাল থেকে নেপালে ৪২টি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রবিবারের দুর্ঘটনাটি ১৯৯২ সালের পর নেপালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। সেসময় একটি বিমান কাঠমান্ডুতে অবতরণের চেষ্টা করার সময় একটি পাহাড়ে ধাক্কা দেয় এবং এতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে থাকা ১৬৭ জন যাত্রীর সবাই প্রাণ হারান।
নিরাপত্তার মান দুর্বল উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৩ সাল থেকে নেপালের এয়ারলাইন্সকে ২৭টি দেশের ওপর দিয়ে উড়তে নিষেধ করেছে।
২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন নেপালের এভিয়েশন সেক্টরে উন্নতির কথা উল্লেখ করেছে।
কিন্তু, ইইউ এর প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি করে আসছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ জার্মানিতে শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
গুয়াতেমালার রেইন ফরেস্টের নিচে ২ হাজার বছর পুরনো মায়া শহর আবিষ্কৃত
১ বছর আগে
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নেপালের পোখারায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল প্রচন্ড এর কাছে লেখা এক শোকপত্রে তিনি বলেন, ‘নেপালের পোখারায় আজকের দুঃখজনক যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বেশিরভাগ নেপালি ও কয়েকজন বিদেশিসহ ৭২ জন আরোহী বহনকারী ওই বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় সকলের মৃত্যু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আলাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি আরও বলেন, ‘গভীর শোকের এই মুহুর্তে আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা দুর্ঘটনাকবলিত পরিবারগুলোর সঙ্গে থাকবে যারা তাদের পরিবারের প্রিয় সদস্য ও বন্ধুদের হারিয়েছেন।
যাতে নেপালের শোকাহত জনগণ এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার প্রার্থনা করি।’
আরও পড়ুন: সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
পিরোজপুর আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলিয়ান গায়িকা মারিলিয়া মেনডোসা নিহত
ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা ও ল্যাটিন গ্রামি জয়ী মারিলিয়া মেনডোসা শুক্রবার কনসার্টে যাওয়ার পথে বিমান দুর্ঘটনা নিহত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৬ বছর।
মেনডোসার প্রেস অফিস তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে জানায়, এ সময় মেনডোসা ছাড়া আরও চার জন মারা যান।
বিমানটি মেনডোসার হোমটাউন গৈনিয়া ও কারাটিংগা শহরের মাঝামাঝি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর আগে বিকালে বিমানটির দিকে হেঁটে যাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন জনপ্রিয় এই গায়িকা।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ২
মিনাস গেরৈস স্টেট সিভিল পুলিশও তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।
মেনডোসার প্রায় দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবরে ব্রাজিলের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি আর নেই
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার এক টুইট বার্তায় মেনডোসার মৃত্যু নিয়ে লেখেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে রাজি নই।’
এছাড়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোও জনপ্রিয় এই গায়িকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি সংবাদটি শোক হিসেবে নিয়েছে।’
২ বছর আগে
কেরালার বিমান দুর্ঘটনায় শেখ হাসিনার শোক
ভারতের কেরালায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের ক্ষতিপূরণ বাড়ল ৫ গুণ, বিল অনুমোদন
বিমান দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হলে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকার বদলে ১ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রিপরিষদ সোমবার ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) বিল, ২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে।
৪ বছর আগে
ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক
ইরানের রাজধানী থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।
৪ বছর আগে
ইউক্রেন বিমানের ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত
ইরানের রাজধানী তেহরানের পাশে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল।
৪ বছর আগে