দুর্ঘটনার বিষয়ে ইরানের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বুধবার বলেছেন, ওই বিমানে থাকা ১৩৮ জন যাত্রী কানাডায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। যাদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অনেক শিক্ষার্থী ছিলেন যারা কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন।
ট্রুডো বলেন, তেহরানের কাছে ওই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন এবং এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ইরান নেতৃত্বাধীন তদন্তকাজে অংশ নেয়ার জন্য কানাডা সরকার তেহরানকে চাপ দিচ্ছে।
তবে ২০১২ সালে ইরানে অবস্থিত কানাডা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া এবং তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার ফলে তাদের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া কঠিন হবে বলেও জানান ট্রুডো।
ইরান ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরই ইউক্রেন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটির কারণেই সাড়ে তিন বছরের পুরোনো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন ইরানি কর্মকর্তারা।
ইরানি কর্মকর্তাদের দেয়া বিবৃতির সাথে প্রাথমিকভাবে একমত পোষণ করলেও, তদন্ত শেষ না হওয়ায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘এ দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট জবাব প্রয়োজন এবং এই বিষয়ে কানাডা খুবই উদ্বিগ্ন।’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ইরানের রাজধানী তেহরানের পাশে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন।
দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা আরোহীদের সবাই (যাত্রী, পাইলট ও ক্রু) নিহত হয়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে জানান দেশটির জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা পীর হোসেইন কুলিভান্দ।
ওই চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরানের খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের ওই দুর্ঘটনাস্থলে তদন্ত দল কাজ করছে বলে জানান ইরানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র রেজা জাফরজেদ্দাহ।
খবর পাওয়ার সাথে সাথেই জাতীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তদন্ত দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানান তিনি।