আমৃত্যু
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে এবার আমৃত্যু গণঅনশন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে এবার আমৃত্যু গণঅনশন শুরু করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখা।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে লড়াইয়ের মূলমন্ত্র ছিল বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল ও যৌক্তিক সংস্কার করা। সেজন্য অনেককে রক্ত দিতে হয়েছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর সেই কোটা নিয়ে আবারও অনশনে বসতে হচ্ছে যা হতাশা ও লজ্জার বিষয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ, পরামর্শ চাইলন জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে
তাদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটার জন্য বঞ্চিত হচ্ছে গরীব কৃষক ও শ্রমিকের সন্তান। তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে চিরতরে অযৌক্তিক পোষ্য কোটার কলঙ্ক থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের আমৃত্যু অনশনে বসা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদ হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি রয়েছে, তা গোড়া থেকে উপড়ে দিতে আমরা অনশনে বসেছি। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের প্রাণের দাবি ছিল—মেধা দিয়েই আমাদের মূল্য যাচাই হবে, কোনো কোটা দিয়ে নয়। কিন্তু অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এমন অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি জাবিতে বিদ্যমান থাকা আমাদের জন্য লজ্জার। এমনকি আমাদের ভাইবোনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রশাসনের জন্যও লজ্জার। অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
সংগঠক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘জুলাইয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য আবু সাইদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য ভাইবোন শহিদ হয়েছেন। এত রক্ত কোটা পদ্ধতি বাতিলের জন্য দেওয়া হলো, এরপরও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অযৌক্তিক পোষ্য কোটা রয়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।’
আরও পড়ুন: জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
অনশনে বসা শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, ‘পৌষ্য কোটার মতো বৈষম্য আর নেই। আমরা বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি। অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গলার কাঁটা নামক পোষ্য কোটা চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে, যা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যত্যয় ঘটায়।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বিদ্যমান। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এই পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছি। যেহেতু এই কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই, সেহেতু এটি সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না; এটি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে।’
৭৫ দিন আগে
রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
রাঙ্গামাটিতে এক শিশুকে বলাৎকারের দায়ে এক যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নিার্যাতন দমন ট্রাইব্যুলাল এর বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
তিনি জানান, বলাৎকারের ঘটনায় শিশুর বাবার দায়ের করা মামলায় যুবক মো. ওমর সাদেক রিয়াদ ওরফে ওমর ফারুককে দোষি সাব্যস্ত করে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সাইুফুল ইসলাম অভি।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী শফিউল আলম মিয়া, আইনজীবী রাশেদ ইকবাল এবং আইনজীবী কামাল হোসেন সুজন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে রাঙ্গামাটি শহরের শান্তিনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় ওমর সাদেক রিয়াদ ওরফে ওমর ফারুক ওই কিশোরকে বলাৎকার করেন।
এরপর কিশোরের বাবা ওই বছরের ১০ অক্টোবর রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন এবং জেল হাজতে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
৫০৯ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- হরিপুর উপজেলার মরাধর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আকমল (১৯), মাইনুল হকের ছেলে হাসেম আলী (২০) ও সাজ্জাদ আলীর ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৩৪)।
এছাড়া বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি হলেন মো. আব্দুল করিম।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় জানান,২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার চিকনি গ্রামে তিনশ’ বোতল ফেন্সিডিলসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
আইনজীবী আরও জানান, ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
৯৩১ দিন আগে
আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবো: আইভী
টানা তৃতীয় বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জিতে আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সোমবার দুপুরে নিজ বাড়ি চুনকা কুটিরে বসে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এই জয় জনগণের, এই জয় শেখ হাসিনার। আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবো।’
আইভী বলেন, এই শহরের মানুষের সঙ্গে সাধারণভাবে মিশেছি। কখনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি। এ কারণেই আমার নেত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছিলেন। নেত্রীর এই বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জনগণ আমাকে বিজয়ী করেছে। এই বিজয় আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে উৎসর্গ করলাম।
ইভিএমে ভোট নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি ইভিএম ভোটিং স্লো না হলে ভোট কাস্টিং বেশি হতো এবং লক্ষাধিক বেশি ভোটে জয়ী হতাম। নারী ভোটাররা অনেকেই ভোট দিতে পারেনি। যে কারণে ভোট কম কাষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের জন্য যে নারায়ণগঞ্জবাসী আমাকে আবারও সুযোগ করে দিয়েছে তাদের সেবা করার জন্য, আমি কথা দিচ্ছি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের জন্য কাজ করে যাব। এছাড়া আমার দল এবং আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে ভরসা রেখেছিল সেটা যে আমার জনগণ পূর্ণ করেছে তার জন্যও আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘যেসব কাজ হাতে নিয়েছিলাম সেগুলো শেষ করব। ভালো লাগছে হ্যাটট্রিক বিজয়ী হয়ে। কৃতজ্ঞতাটা আসছে মনের ভেতর থেকে। এ শহরের মানুষ আমাকে বিমুখ করেনি। আমি যেমন বলেছিলাম আমি এক লাখ ব্যবধানে পাশ করব। কিন্তু যদি ভোট কাস্টিং আরও বেশি হতো তাহলে সেই এক লাখ পূরণ হতো। ইভিএমে প্রথম ভোটে কাস্টিং কম হয়েছে। তবু আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সবাইকে নিয়ে নগর গড়তে চাই।’
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার কাকা (তৈমূর) আগেও আমাকে অনেক কথা বলেছে, সহযোগিতা করেছেন। উনিও নারায়ণগঞ্জের মানুষ। উনি আমাকে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন। কাকাও বলেছে জয়-পরাজয় যা হয় হবে। আমি উনাকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। উনি নারায়ণগঞ্জের কল্যাণের কথা বলেছেন, আমিও বলেছি।
আরও পড়ুন: আইভীর হ্যাটট্রিক জয়
সুষ্ঠু ভোট হলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত: আইভী
শামীম ওসমান প্রসঙ্গে আইভী বলেন, যে কেউ আমার সঙ্গে উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন। সবার কথাই আমি গ্রহণ করব। প্রত্যাশা অনেক বেশি। মানুষ যেই প্রত্যাশা রাখে সেগুলো পূরণ করব। আর চ্যালেঞ্জ থাকবেই, আগেও মোকাবেলা করেছি আগামীতেও করব।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি টানা তৃতীয় বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারকে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটে হারিয়েছেন।
১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
এর আগে ২০১১ সালের প্রথম নির্বাচনে এবং ২০১৬ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও আইভী মেয়র পদে জয়লাভ করেন।
১১৮৬ দিন আগে