শেখ মুজিব
শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর ঘটনাকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেললেও জিয়াউর রহমান পরে তা আবার টাঙিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান উপলক্ষে দলটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আপারা এটি করতে পারেন, কিন্তু সময় সবসময় একইভাবে চলে না। সবার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই আমি মনে করি, তার (মুজিবের) ছবি সরিয়ে ফেলা উচিত হয়নি।’
রিজভী আরও বলেন, জাতীয় জীবনে ব্যক্তির অবদান ইতিহাস শেষ পর্যন্ত বিচার করবে এবং যে কারও অবদান ও অপকর্মের মূল্যায়ন ও পরিমাপ করা জনগণের দায়িত্ব হওয়া উচিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা নই, তাই আমরা মনে করি, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দরবার হল থেকে ৭১-পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের ফ্যাসিবাদী ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে আমরা তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। তবে যতদিন মানুষের জুলাই মাসের চেতনা বেঁচে থাকবে ততদিন তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে: মাহফুজ আলম
১ সপ্তাহ আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পেল রানার অটোমোবাইলস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২ পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।
এ সময়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপিসহ অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার-২০২০’ পেতে ১৯১টি আবেদন
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য বেসরকারি শিল্পখাত অনেক অবদান রেখে যাচ্ছে।
তিনি আশা করেন, আগামী চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও আমাদের এই সকল শিল্পখাতের হাত ধরে আসবে।
পুরস্কার গ্রহণ শেষে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতির এই পুরস্কার আমাদের প্রেরণা। এই পুরস্কার আমি আমার সকল কর্মীকে উৎসর্গ করলাম। যারা নিরলস পরিশ্রম করে রানার অটোমোবাইল পিএলসিকে এই পুরস্কার এনে দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এবং শিল্প উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানকে শিল্প খাতের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ দেওয়া হয়েছে।
এবার বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়ে এ পুরস্কার জিতেছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি।
রানার গ্রুপ বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যা ২০০০ সাল থেকে সুনাম ও সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে।
রানার গ্রুপের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস পিএলসি ২০১১ সাল থেকে ময়মনসিংহের ভালুকায় দেশের সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বমানের নিজস্ব মোটরসাইকেল কারখানায় বাংলাদেশি রানার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেল এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও বিপণন করছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠান
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠান
দেশের শিল্প খাতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামী মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) প্রধান অতিথি হিসেবে এই পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাজধানীর আব্দুল গনি সড়কে অবস্থিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের হাতে স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট, টাকা ও সম্মাননা পত্র তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি মনোনিত হয়।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ
এই বছর হস্ত ও কারু শিল্প ক্যাটাগরিতে কোনো প্রতিষ্ঠান মনোনিত হয়নি।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে বিএসআরএম স্টিলস্ লিমিটেড।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে নিতা কোম্পানী লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে নোমান টেরি টাওয়াল মিলস্ লিমিটেড।
ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে হযরত আমানত শাহ স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড, দ্বিতীয় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং তৃতীয় হয়েছে টেকনো মিডিয়া লিমিটেড।
মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে, গ্রিন জেনেসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতেও শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে সামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস্।
হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং দ্বিতীয় হয়েছে সুপার স্টার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেড।
প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা ও ২৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা ও ২০ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা ও ১৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে: শিল্প মন্ত্রণালয়
স্বর্ণের ক্রেস্টগুলো ১৮ ক্যারেট মানের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত। এ ছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকেই সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
ডাচাই বাছাইয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বার্ষিক টার্নওভার, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন, স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সামাজিক দায়িত্ব পালন, নিষ্কণ্টক ভূমি ও ভূমির পরিকল্পিত ও দক্ষ ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রের অবদান বিবেচনা করা হয়েছে।
পুরস্কারের জন্য শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান মনোনয়নে কয়েকটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ আবশ্যক। এর মধ্যে শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে স্থাপিত হতে হবে। শিল্প ক্ষেত্রে আবেদনকারী শিল্পপতি বা উদ্যোক্তার সামগ্রিক অবদান সন্তোষজনক হতে হবে ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ বা আমদানি বিকল্প বা রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর অবদান রাখতে হবে।
এ ছাড়া, নিয়মিত কর পরিশোধ করতে হবে। কোনো ফৌজদারি অপরাধের জন্য কোনো ট্রাইব্যুনাল বা আদালত কর্তৃক ৬ মাস বা তদধিক সময়ের জন্য কোনো উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিককে দণ্ডিত করলে এবং দণ্ডভোগের পর ন্যূনতম ২ বছর সময় অতিক্রান্ত না হলে কিংবা তার বিরুদ্ধে কোনো ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে উক্তরূপ কোনো মামলা চলমান থাকলে, সেই শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। ঋণ খেলাপি, সরকারি বিল খেলাপি, কর খেলাপি, অর্থ পাচারকারী, সরকারি জায়গায় অবৈধ দখলদার ও পরিবেশ দূষণকারী শিল্প উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানও এই সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয় না। উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান একবার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হলে, একই ক্যাটাগরিতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার আবেদন বিবেচনা করা হয় না।
আরও পড়ুন: কেএসআরএমের শিপইয়ার্ড বন্ধ করে দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
বঙ্গমাতার ত্যাগ ও অকুণ্ঠ সমর্থনেই শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গমাতার নীরব আত্মত্যাগ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু, আর বঙ্গবন্ধু থেকে হয়ে উঠেছিলেন জাতির পিতা।’
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজেই লিখেছেন, আমার জীবনের দুটি বৃহৎ অবলম্বন; প্রথমটি হলো- আত্মবিশ্বাস, আর দ্বিতীয়টি হলো- আমার স্ত্রী আকৈশর গৃহিণী।’
বঙ্গমাতার চারিত্রিক দৃঢ়তা সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দিনের পর দিন কারাগারে কাটিয়েছেন, তবে ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারে বেড়ে ওঠা দৃঢ়চেতা বঙ্গমাতা নিজে যেমন ভেঙ্গে পড়েননি তেমনি বঙ্গবন্ধুকে সাহস যুগিয়েছেন এবং সুপরামর্শ দিয়েছেন।’
বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না থেকেও তাঁর যে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ছিল তা অনেক প্রাজ্ঞ, বর্ষীয়ান নেতার মধ্যেও খুঁজে পাওয়া যায় কঠিন।” তিনি বলেন, “বঙ্গমাতা কোমল স্নেহে ও কঠোর অনুশাসনে সন্তানদের সুযোগ্য করে গড়ে তুলেছিলেন।’
বঙ্গমাতার চিন্তাধারা অত্যন্ত পরিপক্ক ও দূরদর্শী ছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখনই জেলে যেতেন, তখনই তাঁকে লেখার জন্য বঙ্গমাতা তাগিদ দিতেন, সেই সাথে খাতা পৌঁছে দিতেন। বঙ্গমাতার কারণেই আমরা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর লিখিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজ নামচা’, আর এগুলো এখন আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ।’
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর মনের কথা অকপটে ঘোষণার ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার মূল্যবান পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম করেছে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
স্মরণসভায় বঙ্গমাতার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা আত্মীয়-স্বজনকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। আত্মীয়-স্বজনকে দেখাশোনা করাসহ সবসময় তাদের খোঁজ খবর তিনি রাখতেন।’
কাজী আকরাম বলেন, ‘বঙ্গমাতা অত্যন্ত অতিথি পরায়ণ ছিলেন এবং তিনি মানুষকে নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতে ভালোবাসতেন। বঙ্গমাতা অনেক রাজনীতিবিদের চেয়েও অনেক দূরদর্শী ছিলেন বলে কাজী আকরাম উদ্দিন উল্লেখ করেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পথ প্রদর্শক ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ পেইন্টিং পরিদর্শন নৌপ্রতিমন্ত্রীর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈচিত্র্যময় এবং বহুমাত্রিক জীবন নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ স্ক্রল পেইন্টিং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ পরিদর্শন করেছেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এই পেইন্টিং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
সর্ববৃহৎ এই স্ক্রল পেইন্টিং দু’সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্ববৃহৎ এই স্ক্রল পেইন্টিং এর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ শীর্ষক সর্ববৃহৎ স্ক্রল পেইন্টিং দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য পেইন্টিং এর শিল্পী বিকাশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সারাদেশে এধরনের পেইন্টিং প্রদর্শনী আয়োজনের আহ্বান জানান।এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, স্ক্রল পেইন্টিংয়ের শিল্পী শাহ্জাহান আহমেদ বিকাশ, জাতীয় জাদুঘরের সচিব গাজী ওয়ালিউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব:মহাজীবনের পট’ শীর্ষক পেইন্টিংটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ ফুট। যেখানে বঙ্গবন্ধুর বৈচিত্র্যময় এবং বহুমাত্রিক জীবনের অসংখ্য ছবির পেইন্টিং রয়েছে।এসময় শিল্পী শাহ্জাহান আহমেদ বিকাশ প্রতিমন্ত্রীকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব:মহাজীবনের পট’ শীর্ষক স্ক্রল পেইন্টিংয়ের একটি রেপ্লিকা উপহার দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পায়রা বন্দর অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে: প্রতিমন্ত্রী খালিদ
২ বছর আগে
দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
দেশে বর্তমানে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই এই ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। চলতি মাসে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গুণিতক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এ সময় ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। প্রকৃত ফলাফল সম্পর্কে আমরা এ মাসেই আপনাদের অবগত করব।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার উদ্দেশ্য কোভিড-১৯ এর জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিনোমের সঙ্গে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি কোভিড-১৯ জিনোমের ডাটাবেজ তৈরি করা। এ প্রতিবেদন বিএসএমএমইউ-এর চলমান গবেষণার ছয় মাস ১৫ দিনের ফলাফল, আমরা আশা করি পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে হালনাগাদ করা ফলাফল জানাতে পারব।
২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীর সংখ্যা বেশি
ডা.শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত সারা দেশব্যাপী রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৭৬৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর নেজো ফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
আরও পড়ুন: ফের ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি
বিএসএমএমইউ’র গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়স সীমাকেই কোভিড-১৯ এর জন্য ইমিউন করছে না, সে হিসেবে শিশুদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
ষাটোর্ধ্বদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি
তিনি বলেন, গবেষণায় পাওয়া গেছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
এই গবেষক জানান, গত বছরের জুলাইয়ে কোভিড-১৯-এর জিনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণ গবেষণায় দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এক শতাংশ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ, এক শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্স এ প্রাপ্ত ডাটা অনুযায়ী ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, একটি করে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন- আলফা বা ইউকে ভ্যারিয়েন্ট ও বেটা বা সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট এবং অন্য একটি স্যাম্পল এ শনাক্ত হয় ২০বি ভ্যারিয়েন্ট, যা সার্স কভ-২ এর একটি ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসি ও ২ বিভাগীয় কমিশনার করোনায় আক্রান্ত
তিনি বলেন,ওমিক্রন ভাইরাস ডায়াগনোসিসের জন্য আরটিপিসিআর-এর মাধ্যমে তিনটি জিন- এস, এন২, বি দেখা হয় (বিবিসরি গবেষণা)। এর মধ্যে এস জিনটি ডিটেকটেড না হলে ওমিক্রনের সম্ভাবনা বেশি, কিন্তু উইজো গাইডলাইন্স অনুসারে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কনফার্ম করতে হবে।
ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন অনেক বেশি ইনফেকশন ছড়াচ্ছে
তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে অনেক বেশি ইনফেকশন ছড়াচ্ছে বলে প্রতীয়মান। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের জেনেটিক কোড এ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি ডিলিশন মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। স্পাইক প্রোটিনের বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওমিক্রন সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।
তৃতীয়বারের মত সংক্রমিত রোগীও পাওয়া গেছে
তিনি বলেন, আমাদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোনো কোনো ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর দুই ডোজ টিকা দেয়া ছিল। তৃতীয়বারের মত সংক্রমিত রোগীও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি রোগী থেকে সংগৃহিত স্যাম্পলে আমার জিনোম সিকোয়েন্স করে পেয়েছি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। যেহেতু ওমিক্রন সংক্রমণে মৃদু উপসর্গ হয়েছে, সেটা হাসপাতালে ভর্তি রোগীতে ওমিক্রন না পাওয়ার কারণ হতে পারে।
এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন,পাশাপাশি মৃদু উপসর্গের রোগীদের মধ্যে টেস্ট না করার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের প্রাপ্ত ফলাফলের চেয়েও অনেক বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী আনডিটেক্টেড অবস্থায় আছে বলে মনে করছি।
আরও পড়ুন: ২২ বিচারক করোনায় আক্রান্ত, প্রশিক্ষণ কর্মশালা স্থগিত
সবশেষে তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক করোনা ভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক এবং তা মারাত্মক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশনের আমাদের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। তাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও টিকা গ্রহণ করতে হবে।
করোনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের গবেষণায় সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। প্রধান গবেষক ছিলেন ডা. লায়লা আনজুমান বানু, অধ্যাপক, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি ও চেয়ারম্যান, এনাটমি বিভাগ, বিএসএমএমইউ।
এছাড়া গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. জিন্নাত আরা ইয়াসমীন, সহযোগী অধ্যাপক, এনাটমি বিভাগ, ডা. বিষ্ণু পদ দে, সহকারী অধ্যাপক, প্যাথলজি বিভাগ, ডা.মো. মহিউদ্দিন মাসুম, সহকারী অধ্যাপক, এনাটমি বিভাগ, ডা. ইলোরা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ডা. আবিদা সুলতানা, রেসিডেন্ট, ফেইজ- বি, এনাটমি বিভাগ, নাহিদ আজমীন, এমফিল, থিসিস, এনাটমি বিভাগ, অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ভাইরোলজি বিভাগ, সোয়েব হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, জিনোম রিসার্চ সেন্টার, বিএসএমএমইউ, শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, জিনোম রিসার্চ সেন্টার, বিএসএমএমইউ, অমল গনপতি, ফ্ল্যাবোটমিষ্ট, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার, বিএসএমএমইউ।
২ বছর আগে