হাত
নাটোরে ইসলামী আন্দোলন কর্মীর হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
নাটোরে এবার ইসলামী আন্দোলনের এক কর্মীকে মাদরাসা থেকে তুলে নিয়ে হাত ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষ করে নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা নুরানী মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাইদুল ইসলাম কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পণ্যবাহী নছিমন আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
এ সময় একটি সাদা মাইক্রোবাসে পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙে মাদরাসা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
আহত মাওলানা সাইদুল ইসলামের আর্তনাদে লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি তারা শুনেছেন অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু
১ বছর আগে
ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন, ভেঙে দিয়েছে হাত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে কক্ষে আটকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মুকুল আহমেদ। তিনি ইংরেজি বিভাগের দশম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বেদম মারধর করে তার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
ইংরেজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিদ মঞ্জু ও সিহাব উদ্দিন এই নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা মুকুলকে বঙ্গবন্ধু হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করেন।
মুকুল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে তিনি হলে ফেরার পথে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কারাগারে
এত রাতে ক্যাম্পাসে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা মুকুলকে বলেন, দশম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) বড় ভাইয়েরা বঙ্গবন্ধু হলে ডেকেছেন। এই কথা শোনার পর মুকুল হলে ফিরে দশম ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে এই খবর জানান।
সেই বার্তায় মুকুল উল্লেখ করেন, আমাদের ব্যাচের নামে ছোট ভাইদের ডাকা হয়েছে, অথচ আমরা জানি না। আগেও এভাবে ডেকে র্যাগিং করা হয়েছে অনেককে। তখন বিভাগের শিক্ষকদের কাছে আমাদের কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। এখন আবার ডাকা হয়েছে, আমরা জানি না, এটা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই না।
মুকুল আরও বলেন, এই কথা লেখার এক মিনিটের মধ্যে তানজিদ মঞ্জু ফোন করে শেরেবাংলা হলের দিকে যেতে বলেন। রাত ৮টার দিকে মঞ্জু তাকে নিয়ে যায় চতুর্থ তলার ৪০১৮ নম্বর কক্ষে। কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে মেসেঞ্জার গ্রুপে ওই কথা কেন লেখা হয়েছে তা জানতে চান মঞ্জু।
এরপরই মঞ্জু ও তার সহযোগী সিহাব কিলঘুষি, লাথি মারতে শুরু করে। এর একপর্যায়ে জিআই পাইপ ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়লে রাত ৩টার দিকে ওই কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে তারা চলে যায়। শুক্রবার সকালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুকুল বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না। আমাকে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হলো। এই ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে তানজিদ মঞ্জুকে একাধিকবার কল দেওয়ার পর কাজিন পরিচয়ে এক ব্যক্তি তা রিসিভ করে বলেন, মঞ্জু এলে কল দিতে বলব। তারপর আর কল করেনি। অন্যদিকে সিহাব উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে ‘রং নম্বর’ বলে কেটে দেন। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনিই সিহাব।
শেবাচিম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক মো. নাহিদ জানান, রোগীর (মুকুল) বাঁ হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ায় ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। ২১ দিন পর ব্যান্ডেজ খোলা হবে। এরপরও যদি হাড় জোড়া না লাগে তবে অস্ত্রোপচারের দরকার হবে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন বলেন, আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। এই বিষয়ে ববি প্রশাসনের এখতিয়ার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
১ বছর আগে
বরিশালে কুপিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন, যুবক গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীতে প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহম্মেদ আকন রাধোর (২৬) একটি হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। সোমবার (০৩ জুলাই) রাতে বরিশাল জিলা স্কুলের পিছনের গেটে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার জুনায়েদ আল মামুন (২৪) নামে একজন নামধারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা জয়নাল। মামলার প্রেক্ষিতে তানভীর হাওলাদার নবীন (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নবীন নগরীর ভাটিখানা সুন্নিয়া মসজিদ এলাকার লিটন হাওলাদারের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি মামুন নগরীর বেলতলা এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুর ছেলে।
আহত রেদোয়ান আমানতগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জয়নাল আবেদীন জানান, তার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও নির্দিষ্ট কারও অনুসারী নয়।
তবে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান জানিয়েছেন রেদোয়ান তার অনুসারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নামধারী আসামি মামুন (৩০) আহত রেদোয়ানের পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মামুন ফোন করে রেদেয়ানকে জিলা স্কুলের পিছনের গেটে নিয়ে যায়।
রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মামুনসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন রেদোয়ানকে মারধর করে। পরে অজ্ঞাতরা রেদোয়ানের বাঁ হাত টেনে ধরে। তখন মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভূক্তভোগীর বাবা জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতাল থেকে রাত ১২টার দিকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা পৌঁছালেও নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় হাতটি জোড়া লাগানো যায়নি। তার হাত থেকে রক্তপাত চলমান থাকায় অবস্থা ভালো নয়। রেদোয়ান অচেতন হওয়ার আগে মামুনসহ বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছিলো।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নবীন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি রেদোয়ানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত করা হবে। এছাড়া হাত বিচ্ছিন্ন করায় ব্যবহৃত ধারালো রামদাটি উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩জন গ্রেপ্তার
ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
১ বছর আগে
নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন
নড়াইলের কালিয়ায় প্রতিপক্ষের কোপে এক যুবককের হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন।
শনিবার সকালে উপজেলার চাচুড়ি বাজারের বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় কুপিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত বিচ্ছিন্নের অভিযোগ
গুরুতর আহত শারাফাত শেখ (৩৫) উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সোলেমান শেখের ছেলে এবং ঈগল পরিবহনের চাচুড়ি বাজারের কাউন্টার ম্যানেজার।
আহতরা হলেন-কালিয়া উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সোলেমান শেখের ছেলে ফুলমিয়া শেখ (৫০), নুরু মিয়া শেখের ছেলে শামীম শেখ (২৫), নিলু শেখের ছেলে পলাশ শেখ ও অলিয়ার মোল্যার ছেলে লোকমান মোল্যা (৪৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চন্দ্রপুর গ্রামের রবিউল মোল্যা ও আতাউর মৃধা পক্ষের মধ্যে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
এরই জেরে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শারাফাত শেখ চাচুড়ি বাজারের বকুলতলায় ঈগল পরিবহনের কাউন্টরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় রবিউল মোল্যা পক্ষের লোকজন শারাফাতকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এতে তার বাঁ হাতের কব্জি ও পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। এসময় তাকে বাঁচাতে যাওয়া তার ভাই ফুলমিয়া শেখ, ভাতিজা শামীম শেখসহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দু’জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয় হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ঘটনার পরপরই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোছা. সাদিরা খাতুন বলেন, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন গ্রাম্য দলাদলি আছে। আমরা নজর রাখছি আর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, সারাদেশের সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধ, যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন
১ বছর আগে
আসামির দায়ের কোপে পুলিশের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন!
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসামি ধরতে গিয়ে দায়ের কোপে মো. জনি খাঁন (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক পুলিশ সদস্য।রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আধারমানিক নালারকিল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।আহত অপর পুলিশ সদস্যের নাম শাহাদত (২৭)। তাদের বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি কবির আহমদকে গ্রেপ্তার করতে লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে একটি পুলিশি দল রবিবার সকালে তার বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবির আহমদ তার বাহিনীকে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৯তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের ধারালো দায়ের কোপে কনস্টেবল জনির বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন যায়।খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। আমাদের দুই পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আনসার ও নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
চট্টগ্রামে সস্ত্রীক সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুদকের আরও মামলা
২ বছর আগে
গোয়ালন্দে দা দিয়ে কুপিয়ে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন, গ্রেপ্তার ২
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে রিয়াজ শেখ (২৫) নামে এক যুবককে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প কোম্পানীর অধিনায়ক, পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী রিয়াজ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোরাপ মণ্ডল পাড়ার মো. বাবু শেখের ছেলে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. হুমায়ুন শেখ (১৮) ও মো. ফরহাদ শেখ (২৫)। হুমায়ুন গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া শামসু মাস্টার পাড়ার হাশেম শেখ এর ছেলে ও ফরহাদ একই গ্রামের মো. সালেক শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
র্যাব জানায়, গত রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে প্রেমঘটিত কারণে গোয়ালন্দের উত্তর দৌলতদিয়া শামসু মাস্টার পাড়ার মো. রিয়াজ শেখ নামের এক যুবককে কুপিয়ে এবং তার হাত বিচ্ছিন্ন করে, তাকে হত্যার চেষ্টা করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। অভিযুক্ত হুমায়ুনকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা এলাকা থেকে বুধবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে আরেক অভিযুক্ত ফরহাদকে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, হুমায়ুন স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা। তারা দীর্ঘদিন ধরে রেলস্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
র্যাব আরও জানায়, অভিযুক্ত হুমায়ুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার সঙ্গে পাশের এলাকার একটি মেয়ের প্রেম ছিল। কিন্তু ভুক্তভোগী রিয়াজের কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়াজের হাত বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করার চেষ্টা চালায় তারা।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম জানান, আসামি মো. হুমায়ুন শেখ বিভিন্ন অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। কয়েক বছর আগে সে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় ১৪ দিন কারাভোগ করে, বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে বলেও জানায় র্যাব-৮।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের রাজবাড়ীর রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রিয়াজ শেখ দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইনের পাশে দাড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিল। এসময় হুমায়ুন তার সহযোগীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে করে ধারালো ডাব কাটার সোল দিয়ে কোপ দেয়। এসময় রিয়াজ বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে এক কোপে কব্জির ওপর থেকে (কনুইয়ের নিচ থেকে) হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে রেললাইনের ওপর পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বর্তমানে রিয়াজ সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
২ বছর আগে
নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ, ফরিদপুরে হাসপাতাল বন্ধ
ফরিদপুরে ডেলিভারির সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার ঘটনায় আরামবাগ হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এ নিয়ে মাত্র চারদিনে ফরিদপুর শহরের দুটি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করা হলো।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১২টার দিকে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার আরামবাগ হাসপাতালে অভিযান চালান। এ সময় তারা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের আরিফুল ইসলাম সজল নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গত ১৩ জানুয়ারি আরামবাগ হাসপাতালে তার স্ত্রী মুক্তার সিজার অপারেশন করা হয়। সন্তান বের করার সময় চিকিৎসক নবজাতকের হাতের কনুইয়ের হাড়ের জয়েন্ট ছুটিয়ে ফেলেন। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর তিনি জেলা সিভিল সার্জনের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। এতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ১৬ হাজার টাকায় নবজাতক বিক্রি!
সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে অনিয়ম ও অবহেলার অভিযোগে হাসপাতালটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আরামবাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকা এবং অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত শনিবার সকালে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে এক নারীর সন্তান প্রসবের সময় ওই নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনার পর ওই হাসপাতালটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে।
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এসব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তারা অভিযান শুরু করেছেন।এ ব্যাপারে জানতে আরামবাগ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, অভিযোগটি সঠিক নয়। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তারা কোনো অভিযোগ তোলেননি। এমনকি বাসায় নেয়ার পরও অভিযোগ তোলেননি। এতো দিন পর অভিযোগ তোলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
হাসপাতাল বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে অন্য কিছু সমস্যা ছিল। এ কারণে সিভিল সার্জন সাময়িক বন্ধ রাখতে বলেছেন। আমরা সমস্যাগুলো সমাধান করে নতুন করে চালু করার ব্যবস্থা করবো।
আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
চিকিৎসক ছাড়া নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে কপাল কেটে ফেললেন নার্স-আয়া
২ বছর আগে