মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
পশুখাদ্যে ভেজালরোধে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
পশুখাদ্যে কেউ যাতে ভেজাল দিতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মৎস ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, জেলা প্রশাসকদের মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর সংস্থাসমূহে তাদরর সহযোগিতার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রান্তিক সীমা থেকে শুরু করে ক্যাপিটাল পর্যন্ত আমাদের মাছ মাংস দুধ, ডিম উৎপাদন, বিপণন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যতো কর্মকাণ্ড আছে সেই কর্মকাণ্ডে তাদের দেখভাল করা, তদারকি করার অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, কোন প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার না হয় সেজন্য তাদের অনুরোধ করেছি। কারেন্ট জাল বা অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ ধরা অথবা পশুখাদ্যে ভেজাল যাতে কেউ দিতে না পারে, মৎস উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসকল পরিকল্পনা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সে বিষয়গুলোর প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই ধারাবাহিকতা যাতে অব্যাহত রাখা যায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মিঠাপানির মাছে তৃতীয় স্থানে, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের বিস্ময় সৃস্টি করে সর্বোচ্চ উৎপাদনে। যেসকল মাছগুলো হারিয়ে গিয়েছিলো আমরা কৃত্রিম প্রজননের প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে সেই মাছগুলোকে আমরা ফিরিয়ে এনেছি। এই বিস্ময়কর সাফল্যের জায়গাটা যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি সেক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সেবিষয়গুলো আমরা তাদের দৃষ্টিতে এনেছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের কিছু প্রস্তাব ছিল। সমুদ্র উপকূলীয়বর্তী এলাকায় যেসব ভেসেজগুলোতে লাইসেন্স জরুরি না সেগুলোকে কিভাবে ডিমার্ক করা যায়, আমরা সেখানে বলেছি বাংলাদেশি সিম্বল দিয়ে আমরা তাদের ডিমার্ক করব। কোন কোন এলাকায় আধুনিক শুটকি পল্লী করা যায় কি না সে প্রস্তাব ছিল, আমরা বলেছি অবশ্যই করা যাবে। কোন কোন এলাকায় নতুন করে কোন উদ্যোগ নেয়া যায় কি না বা যেসকল এলাকায় কোন কাজ চলছে তার ধরন পরিবর্তন করা যায় কি না, প্রশাসনকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়গুলোতে আমরা বলেছি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কো-অপারেশনন থাকবে।
২ বছর আগে