সূর্য
পঞ্চগড়ে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ
পঞ্চগড়ে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। গত দুদিন ধরে এখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে থাকলেও আজ আবারও নিচে নেমে এসেছে।
রবিবার সকালে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রোদের কারণে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও বিকাল থেকেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করছে। গরম কাপড় পরে লোকজন বের হচ্ছেন। রাতে কুয়াশা পড়ছে কোনো কোনো সময় শীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে রাতের শীতে এই এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীত, বিপাকে হতদরিদ্ররা
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, রবিবার সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সকাল ৯টায় কিছুটা তাপমাত্রা কমে রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ ভাগ। বাতাসের গতি ছিল ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের দেখা নেই ৩ দিন
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ। সকালে ও সন্ধ্যার পর প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনই বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। নর্থ সার্কুলার রোডে কাপড়ের দোকান ও মার্কেট থাকায় সেখানে মানুষের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও বেড়েছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করছেন পছন্দমতো শীতের কাপড় কিনতে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে অন্যান্য বছর ভ্রাম্যমাণ হকার্স মার্কেট বসলেও এবার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে মানুষ ভিড় করছে।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভালো মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মতো শীত থাকলে বেচা-কেনা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে ৬ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে কুড়িগ্রামে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। এই ঠান্ডায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালাচ্ছেন।
এছাড়া কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সারাদিন আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত ছয় দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
আদর্শ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আজ সাত, আট দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ায় বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কম। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি।
১১ মাস আগে
সূর্যের দেখা মিলছে না, পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ
হিমালয়ের হিমেল বাতাসে পঞ্চগড় জেলায় হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের প্রকোপ কমছে না। রবিবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। গোটা জেলা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার এখানে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে গেলেও অনেকেই কাজ না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবারও দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
এছাড়া একটানা শীতের প্রকোপে বাড়ছে শীত ও শীতজনিত রোগ বালাই। হাসপাতালগুলোতে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। বেড না পেয়ে অনেক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। হাসপাতালগুলোর বহিঃবিভাগেও রোগীর চাপ বেড়েছে। স্বল্প জনবল নিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
২ বছর আগে