বিচ্ছিন্ন
ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
ভারী বৃষ্টি ও উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফেনীর সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
জেলার সদর উপজেলা,পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া বন্যার কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় ডুবছে একের এক জনপদ। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
জানা গেছে, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় পুরোপুরি সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতার কারণে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরশুরামের স্থানীয় সাংবাদিক মহি উদ্দিন বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের কারণে ঠিকভাবে উদ্ধার কাজও করতে পারছেন না। তারমধ্যে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় চার লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখের বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ বলেন, আমাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভবন গুলোর নিচ তলায় পানি ঢুকে মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই পানি নামা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকবে। বন্যার পানি কমার আগে সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কত মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন এই হিসাব তিনি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বন্যার কবলে ৮ জেলা, বিস্তৃত হতে পারে আরও
৩ মাস আগে
আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। কিন্তু এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা নানা কারণে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে। এছাড়া কিছু সরকারি কর্মচারী আর পেশাজীবীদের নিয়ে একটা সংঘবদ্ধ দল হয়েছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সফরে গিয়ে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগকে কটাক্ষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনায় জিএম কাদের
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। তিনি অনেক কথাই বলেন। তারা এখন শক্তিশালী দল হয়েছে বলে শুনি। কিন্তু এটা দানবীয় শক্তি নাকি শুভশক্তি। যদি দানবীয় শক্তি হয় তাহলে সে শক্তিতো আমরা পছন্দ করতে পারি না। কারণ এটা জনগণের কাছে অত্যাচার করার শক্তি।
দেশে রিজার্ভ কমে গেছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশ চলছে। সামনের দিকে আরও বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা জানি, স্বাভাবিকভাবে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমদানি ব্যয় আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭-৮ বিলিয়নের জায়গায় এখন ৪-৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। তারপরও ১৫ বিলিয়ন ডলার এখন আমাদের নেই। আমাদের এখন ১১ বিলিয়ন ডলার আছে কি না সন্দেহ।
তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে এগুলো আমাদের জন্য অশনি সংকেত। টাকা নড়বড়ে হয়ে গেছে ডলারের কাছে। ডলারের কাছে টাকার মান প্রতিদিনেই কমছে।
জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু আমরা সামনে কোনো মুক্তি দেখতে পারছি না। আইএমএফ যে লোন দিচ্ছে সেটি সামান্য। বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে। সামনে না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা হতে পারে। সরকারকে এসবের জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু সরকার এসব গোপন করছে। তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করেছে। প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, যেকোনো বৈদেশিক চুক্তি করা হলে তা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। তারা সংবিধান মানছে না।
নিজ দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, আমরা জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করি। জনগণের মনের কথা বলতে চাই। এটা জনগণের দল, জনগণের কল্যাণে সবসময় নিয়োজিত রেখেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
৬ মাস আগে
বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: পাটমন্ত্রী
বিএনপি মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, রাজনীতি থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সমালোচনার জন্য শুধু সরকারকে বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর ও আদাবর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, বিএনপির নেতার ঘরে বসে বসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আর আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী দেশের যেকোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
বিজেএমসি'র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
৭ মাস আগে
সীতাকুণ্ডে ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ১৪ বগি বিচ্ছিন্ন, ৩ ঘণ্টায় চলাচল স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সীতাকুণ্ডে ইঞ্জিনের বাফার (ক্লিপ) ভেঙে ১৪টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে উপজেলার উত্তর এয়াকুব নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে মেরামতের পর বিকাল ৫টার দিকে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুর্বত্তদের আগুনে পুড়ল পিকআপ
ট্রেনের যাত্রীরা বলেন, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে আসার পর সীতাকুণ্ডে চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ বিকট শব্দে ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় যাত্রীরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ইঞ্জিনের বাফার (ক্লিপ) ভেঙে ট্রেনের ১৪টি বগি বিচ্ছিন্ন হলেও চালক তা বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ গজ দূরে ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যান। এরপর বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে থামান ট্রেন।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন বগিগুলো ইঞ্জিনের সহায়তায় টেনে এনে ফের জুড়ে দিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে ছিল। তবে বিকল্প পথে স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উৎপাদিত শিম যাচ্ছে ইতালিতে, নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন
সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় ত্রিপুরা সর্দার নিহত
৯ মাস আগে
বরিশালে কুপিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন, যুবক গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীতে প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহম্মেদ আকন রাধোর (২৬) একটি হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। সোমবার (০৩ জুলাই) রাতে বরিশাল জিলা স্কুলের পিছনের গেটে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার জুনায়েদ আল মামুন (২৪) নামে একজন নামধারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা জয়নাল। মামলার প্রেক্ষিতে তানভীর হাওলাদার নবীন (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নবীন নগরীর ভাটিখানা সুন্নিয়া মসজিদ এলাকার লিটন হাওলাদারের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি মামুন নগরীর বেলতলা এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুর ছেলে।
আহত রেদোয়ান আমানতগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জয়নাল আবেদীন জানান, তার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও নির্দিষ্ট কারও অনুসারী নয়।
তবে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান জানিয়েছেন রেদোয়ান তার অনুসারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নামধারী আসামি মামুন (৩০) আহত রেদোয়ানের পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মামুন ফোন করে রেদেয়ানকে জিলা স্কুলের পিছনের গেটে নিয়ে যায়।
রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মামুনসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন রেদোয়ানকে মারধর করে। পরে অজ্ঞাতরা রেদোয়ানের বাঁ হাত টেনে ধরে। তখন মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভূক্তভোগীর বাবা জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতাল থেকে রাত ১২টার দিকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা পৌঁছালেও নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় হাতটি জোড়া লাগানো যায়নি। তার হাত থেকে রক্তপাত চলমান থাকায় অবস্থা ভালো নয়। রেদোয়ান অচেতন হওয়ার আগে মামুনসহ বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছিলো।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নবীন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি রেদোয়ানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত করা হবে। এছাড়া হাত বিচ্ছিন্ন করায় ব্যবহৃত ধারালো রামদাটি উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩জন গ্রেপ্তার
ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
১ বছর আগে
ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদস্যদের ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন না করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সদর দপ্তরে পিজিআর-এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তিনি বলেন, আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
রাষ্ট্রপ্র্রধান বলেন, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল।
এছাড়া সাহাবুদ্দিন প্রতিটি পিজিআর সদস্যকে বর্তমান বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) এবং প্রযুক্তিগত বৃদ্ধিতে সময় উপযোগী এবং মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও দক্ষ হয়ে উঠতে বলেন।
তিনি বলেন, পিজিআর এর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ, যাতে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীতেও দায়িত্বের ব্যাপকতা বিবেচনা করে এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পিজিআর সদস্যরা 'চেইন অব কমান্ড'-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখবে এবং রেজিমেন্টের মর্যাদা ও মান সমুন্নত রেখে এবং অতীতের ইতিহাস ও ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
পিজিআরকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে সেনাবাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে যে কোনো দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সাফল্যের সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হবে।
পরে সভাপতি সাহাবুদ্দিন পিজিআর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে একটি চারা রোপণ করেন এবং ফটো সেশনে অংশ নেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, পিজিআর কমান্ডার, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
হজ সফরে জেদ্দায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ
প্রচণ্ড গরমে তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকায় গ্যাস ও কয়লা সংকটের কারণে সারাদেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টায় দেশে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে। যদিও এটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গ্রাহকদের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে কম চাহিদা রয়েছে।
এছাড়া বিপিডিবি’র প্রকাশিত অফিসিয়াল পরিসংখ্যান দেখা যায়, দিনে ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা পূরণের জন্য দেশে ২ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল কারণ বিপিডিবি সারা দেশে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিল।
বিপিডিবি’র একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, ‘সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ ঘাটতি বাড়তে পারে যখন চাহিদা আরও ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে উঠবে এবং এই গরমে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করতে পারে।’
তিনি এই সংকটের জন্য গ্যাস ও কয়লা সরবরাহের ঘাটতি এবং জেনারেশন ইউনিটে পানির স্তর কমে যাওয়াকে দায়ী করে বলেন, এসব কারণে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কারণে আরও ২ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেশন ইউনিট চালুর বাইরে রয়েছে।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই অথরিটির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমীর আলী বলেন, তার এলাকায় ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের চাহিদা পূরণের জন্য দিনের সর্বোচ্চ সময়ে ২০০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়।
আরও পড়ুন: নতুন রেকর্ড গড়ে বিদ্যুত উৎপাদন ১৫,৩০৪ মেগাওয়াটে
ডেসকো এলাকার ভোক্তাদের অভিযোগ, দিনভর তারা অতিরিক্ত বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
রামপুরা এলাকায় বসবাসকারী এক ডেসকো গ্রাহক বলেন, ‘আমাদের ভোর থেকে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, তার এলাকায় দিনে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ঘাটতি রয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ডিপিডিসি এলাকায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের ৪০০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং অবলম্বন করতে হয়েছিল।’
রাজধানীর বাইরের ভোক্তাদের অভিযোগ, তাদের চরম লোডশেডিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে।
মাসুদুল হক, যিনি সম্প্রতি ময়মনসিংহে তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন, গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী লোকেরা দিনে ৩ থেকে ৫ ঘন্টা বিদ্যুত পেতে পারে।
অন্যান্য গ্রামীণ এলাকা থেকেও একই ধরনের অভিযোগ আসছে।
আরও পড়ুন: সরকার আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করবে: নসরুল
১ বছর আগে
বন্যায় সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বন্যাকবলিত এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছে, বন্যায় জেলায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ। পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলার প্রতিটি উপজেলেই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ ঘরেই হাঁটু থেকে কোমর পানি। নৌকার অভাবে অনেকে ঘর ছেড়ে নিরাপদেও যেতে পারছে না। এমন অবস্থায় পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে জেলার তিন উপজেলায় সেনাবাহিনী নেমেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার দুপুর থেকে এ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে গত বুধবার থেকে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়। শুক্রবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে
জেলার প্রায় সব উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে পাঁচটি উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
উকিলপাড়া এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, সুনামগঞ্জে এর আগে এত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। জেলা শহরে সড়কে চলছে নৌকা, সড়ক যোগাযোগ হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন, সেই সঙ্গে গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সুনামগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জ জেলা। তবে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ‘পৌর শহরের সব রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। মানুষ উঁচু এলাকা খুঁজে খুঁজে আশ্রয় নিচ্ছে। এক ভয়াবহ দুর্যোগে পড়েছে জেলা শহরের বাসিন্দারা।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, ‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা সীমান্তের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৮ দশমিক শূন্য ৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা সেগুলো বিতরণ করবে।’
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
উপজেলার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ ওঠেননি।
উপজেলার সদর বাজার, সুলেমানপুর বাজার, বালিজুরি বাজার, পাতারগাঁও বাজার, কাউকান্দি বাজার, একতা বাজার, নতুন বাজার ও শ্রীপুর বাজার পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বৈর আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ নেই। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষদের সহায়তা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অঝোর বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জে, যাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘মেঘালয়ে প্রায় সাড়ে ছয়শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সুরমায় পানি বাড়তে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে আরও ৩ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন কিলোমিটার বিস্তৃত আরও তিন হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কুঁড়িপাড়া এলাকায় ও মদনগঞ্জে দুটি স্পটে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অবৈধ পাইপ ও রাইজার জব্দ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে বন্দর উপজেলায় টানা তিনদিনে বিচ্ছিন্ন করা হলো ১৫ হাজার অবৈধ সংযোগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার
২ বছর আগে
গোয়ালন্দে দা দিয়ে কুপিয়ে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন, গ্রেপ্তার ২
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে রিয়াজ শেখ (২৫) নামে এক যুবককে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প কোম্পানীর অধিনায়ক, পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী রিয়াজ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোরাপ মণ্ডল পাড়ার মো. বাবু শেখের ছেলে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. হুমায়ুন শেখ (১৮) ও মো. ফরহাদ শেখ (২৫)। হুমায়ুন গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া শামসু মাস্টার পাড়ার হাশেম শেখ এর ছেলে ও ফরহাদ একই গ্রামের মো. সালেক শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
র্যাব জানায়, গত রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে প্রেমঘটিত কারণে গোয়ালন্দের উত্তর দৌলতদিয়া শামসু মাস্টার পাড়ার মো. রিয়াজ শেখ নামের এক যুবককে কুপিয়ে এবং তার হাত বিচ্ছিন্ন করে, তাকে হত্যার চেষ্টা করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। অভিযুক্ত হুমায়ুনকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা এলাকা থেকে বুধবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে আরেক অভিযুক্ত ফরহাদকে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, হুমায়ুন স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা। তারা দীর্ঘদিন ধরে রেলস্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাই সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
র্যাব আরও জানায়, অভিযুক্ত হুমায়ুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার সঙ্গে পাশের এলাকার একটি মেয়ের প্রেম ছিল। কিন্তু ভুক্তভোগী রিয়াজের কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়াজের হাত বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করার চেষ্টা চালায় তারা।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম জানান, আসামি মো. হুমায়ুন শেখ বিভিন্ন অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। কয়েক বছর আগে সে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলায় ১৪ দিন কারাভোগ করে, বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে বলেও জানায় র্যাব-৮।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিদের রাজবাড়ীর রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রিয়াজ শেখ দৌলতদিয়া রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইনের পাশে দাড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিল। এসময় হুমায়ুন তার সহযোগীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে করে ধারালো ডাব কাটার সোল দিয়ে কোপ দেয়। এসময় রিয়াজ বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে এক কোপে কব্জির ওপর থেকে (কনুইয়ের নিচ থেকে) হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে রেললাইনের ওপর পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বর্তমানে রিয়াজ সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
২ বছর আগে