ধামইরহাট
নওগাঁয় ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত
নওগাঁর ধামইরহাটে ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের গোবড়াপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুফল চন্দ্র (৩২) পত্নীতলা উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের খেলনা গ্রামের কমল চন্দ্রের ছেলে।
ধামইরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, আজ সকালে সুফল চন্দ্র ট্রাক্টর চালিয়ে ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের গোবড়াপাড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
খবর পেয়ে পত্নীতলা ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
১০ মাস আগে
নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
নওগাঁর ধামইরহাটে অগভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার দুপুর একটার দিকে ধামইরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড জয়জয়পুর গ্রামের পূর্ব মাঠ চুনপুকুরায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই কৃষক হলেন- জয়জয়পুর গ্রামের মোতাব্বের হোসেন মনা এবং একই গ্রামের কৃষি শ্রমিক সামছুন মুরমু।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, জয়জয়পুর গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন তার জমিতে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার নামে একটি শ্যালো টিউবওয়েল (এসটিডব্লিউ) বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ওই টিউবওয়েলে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে যান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্যরা। সংযোগটি প্রদানের সময় কৃষক দুলাল হোসেন, তার ছেলে মোতাব্বের হোসেন মনা, আব্দুল্লাহ আল রাফি ও কৃষি শ্রমিক সামছুন মুরমু টিউবওয়েলের ঘরের টিনের ছাউনি মেরামতের জন্য চালার ওপর কাজ করছিলেন।
ওই মুহূর্তে তাদের অজান্তেই আকস্মিক বিদ্যুতের তারে সংযোগ দেয় পল্লী বিদ্যুতের সদস্যরা। এ সময় চালার ওপর থাকা কয়কজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোতাব্বের হোসেন মনা এবং সামছুন মুরমুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া আহত মনার বাবা দুলাল হোসেন ও তার ছোট ভাই রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ধামইরহাট জোনের উপমহাব্যবস্থাপক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুলাল হোসেনের নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দুলাল হোসেনের নলকূপ ঘরের টিনের ছাউনির কাজ শেষ হলে সংযোগ দেওয়ার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ বিদ্যুৎ পোলের কাছে বিকট শব্দে নলকূপে বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ চলে আসে। এতে এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ছাত্রলীগ কর্মীর
১ বছর আগে
নওগাঁয় পৃথক বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ জনের
নওগাঁয় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) জেলার পোরশা ও ধামইরহাট উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুয়ারপাল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল জব্বার (৩০) এবং ধামইরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৈশর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মুমিনুল রহমান (২২)।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল পশু চিকিৎসকের
পোরশা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাত থেকেই হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছিল। ভোরবেলা বৃষ্টিতে ভিজে পুনর্ভবা নদীতে মাছ ধরতে যান আব্দুল জব্বার ও মেহেদী হাসানসহ পশ্চিম দুয়ারপাল গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক।
নদীতে নেমে মাছ ধরার সময় সকাল ৬টার দিকে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হয়। আহত হন মেহেদী হাসান।
পরে স্থানীয়রা মেহেদীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
আব্দুল জব্বারের লাশ তার স্বজনরা নিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, ধামইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। বৃষ্টির মধ্যে কালুপাড়া বিলে আমন ধান রোপণের জন্য পাওয়ার টিলার দিয়ে জহিরুল ইসলাম নামের একজনের জমি প্রস্তুত করছিলেন মুমিনুল রহমান।
বেলা ১২টার দিকে তাদের দুজনের ওপর বজ্রপাত এসে পড়লে ঘটনাস্থলেই কৃষক মুমিনুলের মৃত্যু হয় এবং জমির মালিক জহিরুল ইসলাম আহত হন।
তিনি আরও বলেন, মুমিনুলের লাশ তার স্বজনরা নিয়ে যান। আহত অবস্থায় জহিরুলকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয়রা ভর্তি করা হয়। বর্তমানে জহিরুল সুস্থ আছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ৩
দেশের তিন জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
১ বছর আগে
ধামইরহাটে ৩৫ কোটি টাকা মূল্যে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার
নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুর খননের সময় প্রায় ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের একটি কষ্টিপাথরের নারায়ণ মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের কুলফৎপুর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খননকালে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া প্রাচীন মূর্তিটি আদালতের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় কষ্টিপাথরের ২টি শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, চাঁনকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে উমার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল ইসলাম হেলাল কুলফৎপুর গ্রামের মাঠে নিজ পুকুর সংস্কার করেন।
এ সময় মঙ্গলবার রাতে কষ্টিপাথরের মূর্তিটি দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তিনি পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
তিনি আরও বলেন, ৪৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৩৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি। যার আনুমানিক মূল্য ৩৫ কোটি টাকা।
ধারণা করা হচ্ছে, অতি প্রাচীন এ মূর্তিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ছিল। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্ত থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার
দুই লাখ টাকা মূল্যের কষ্টিপাথর জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ৪ আরোহীর মৃত্যু
নওগাঁর ধামইরহাটে বালুবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় একই মোটরসাইকলের চার আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে এবং বাকি দুজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) হাসপাতালে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ধামইরহাট উপজেলার নানাইচ গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আবু সুফিয়ান (১৮), একই গ্রামের মোজ্জাম্মেল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৩০), জাহানপুর গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২৮) ও একই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে সজল হোসেন (৩৫)।
পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা সবাই সবজি ব্যবসায়ী। রবিবার ধামইরহাট উপজেলা সদর বাজারে হাটবার ছিল। হাটে মালামাল বেচাকেনা শেষে একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় একটি মোটরসাইকেলে করে চার জন বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধামইরহাট বাজার থেকে জয়পুরহাট-ধামইরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের হরতকীডাঙ্গা বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিছন দিক থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলের পিছনে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে দুজন ট্রাকের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ধামাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে আজ সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রাকিবুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় রাত ১০ টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ধামইরহাট উপজেলার শল্পি বাজার এলাকায় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে, ট্রাকের চালক ও চালকের সহযোগী পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা কৃষক লীগ নেতার মৃত্যু
২ বছর আগে