নাইটক্লাব
ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ২৫
রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ভারতের গোয়া রাজ্যের একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় পর্যটকসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পরপর উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকায় অবস্থিত ওই নাইটক্লাবে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত আজ (রবিবার) জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই ক্লাবটির রান্নাঘরের কর্মী। এ ছাড়া তিন থেকে চারজন পর্যটকও রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডে আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত আছেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার সময় ক্লাবটির নাচের ফ্লোরে অন্তত ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। আতঙ্কের কারণে অনেকেই নিচতলার রান্নাঘরের দিকে ছুটে গেলে কর্মীদের সঙ্গে তারাও আটকা পড়েন।
আগুন ইতোমধ্যে নির্বাপণ করা হয়েছে এবং সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাটির খবরে আরও বলা হয়েছে, আরপোরা নদীর তীরে অবস্থিত ক্লাবটির প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ ছিল অত্যন্ত সরু। এর ফলে ফায়ার সার্ভিসের টিমকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে পানি সরবরাহকারী ট্যাংকার রাখতে হয়। ঘটনাস্থলে যাতায়াতের পথ খুব বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায়।
স্থানীয় গ্রাম পরিষদের কর্মকর্তা রোশন রেডকার পিটিআইকে বলেন, ক্লাবটি নির্মাণের অনুমোদন না থাকায় বেশ আগেই এটি ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
আগুন লাগার সঠিক কারণ এবং ভবনটি নির্মাণে অগ্নিনিরাপত্তা ও নির্মাণবিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মোদি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্য সরকার ‘সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা’ করছে।
২২ দিন আগে
স্পেনের একটি নাইটক্লাবে আগুনে ১৩ জনের মৃত্যু
স্পেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুরসিয়ার একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ জনের মৃত্যু ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে জনপ্রিয় টেটার নাইটক্লাবে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্পেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইএফই।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
মুরসিয়ার ফায়ার সার্ভিসের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দমকল কর্মীরা নাইটক্লাবের ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। সম্ভাব্য ধসে পড়া এড়াতে পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবাগুলো ক্লাবের অভ্যন্তরীণ অংশ সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করেছে এবং লাশগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া সিটি কাউন্সিল মুরসিয়ার অঞ্চল জুড়ে তিন দিনের শোক ঘোষণা করে সরকারি ভবনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখতে বলেছে।
৮১৯ দিন আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় নাইটক্লাবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলীয় শহর ইস্ট লন্ডনের একটি নাইটক্লাবে রবিবার ভোরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এ যুবকদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তারা শীতকালীন স্কুল পরীক্ষার সমাপ্তি উদযাপন করতে পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি ডিসপ্যাচ জানিয়েছে, আঘাতের কোনো দৃশ্যমান চিহ্ন ছাড়াই মৃতদেহগুলো টেবিল ও চেয়ারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সিয়ান্দা মানানা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশ; নিহত বেড়ে ২৩
তিনি বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ জানতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্ত করতে যাচ্ছি। নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
পুলিশ মিনিস্টার ভেকি সেল রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ জন নিহত, আহত এক ডজনের বেশি
ক্লাবের মালিক সিয়াখাঙ্গেলা এনদেভু স্থানীয় ব্রডকাস্টার ইএনসিএকে বলেছেন, রবিবার সকালে তাকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।
তিনি বলেন, ‘আসলে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে আমি এখনো অনিশ্চিত। তবে সকালে যখন আমাকে ডাকা হয়েছিল তখন আমাকে জানানো হয় জায়গাটি অতিরিক্ত পূর্ণ ছিল এবং কিছু লোক জোর করে টাভেরনে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।’
১২৮২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় নাইটক্লাবে সংঘর্ষের পর আগুন, নিহত ১৯
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের সোরং শহরের একটি নাইট ক্লাবে দুই দলের সংঘর্ষের পরে আগুন লেগে ১৯ জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার দেশটির পুলিশের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র আহমেদ রামাদান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুই গ্রুপের সদস্যরা একে অপরের ওপর ছুরি, তীর এবং মোলোটভ ককটেল দিয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে সোমবার রাতে সংঘর্ষে লিপ্ত গোষ্ঠীর এক সদস্য রয়েছে। এছাড়া ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পরে ১৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ৭৭ বছর পর ভারতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিখোঁজ বিমানের সন্ধান
সোরং শহরের পুলিশ প্রধান আরি নিয়োতো সেতিয়াওয়ান বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে একই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে প্রথমে শনিবার রাতে সংঘর্ষ হয়। এরপর সোমবার রাতে নাইটক্লাবে সংঘর্ষ হয়।
সেতিয়াওয়ান বলেন, আমরা তাদের ডেকে মধ্যস্থতা করি। কিন্তু তারা গভীর রাত পর্যন্ত সংঘর্ষ চালিয়ে যায়। সংঘর্ষের সময় পুলিশ নাইটক্লাবের দর্শকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু দমকলকর্মীরা পরে ভবনের ভেতরে একটি কক্ষে ১৮টি লাশ খুঁজে পান।
সংঘর্ষের কারণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত এ বিষয়টি অনুসন্ধানে পুলিশ এখনও তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা কাপ অব নেশনস: ক্যামেরুনে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে নিহত ৬
ভারতে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭, দগ্ধ ১৫
১৪৩৪ দিন আগে