ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির এবং হিন্দু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুনঃনির্মাণে শিগগিরই তহবিল বিতরণ করবে সরকার
গত বছরের দুর্গোৎসবে হামলায় নোয়াখালী, কুমিল্লা ও কক্সবাজার জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির, পূজা মণ্ডপ ও দোকান পুনঃনির্মাণে সহায়তা করতে হিন্দু সম্প্রদায়কে ৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩১টি মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিগগিরই ৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম আশরাফ সিদ্দিক বিটু স্বাক্ষরিত পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও একই ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা ও লুঠপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
জয়পুরহাটে দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ১
২ বছর আগে
রাজশাহীতে রাত ৮ টার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে রাত ৮টার পর দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহী জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত সকল নির্দেশনা প্রতিপালনসহ রাজশাহী জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলায় সকল বিপনীবিতান, শপিংমল, বিনোদনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁসহ সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ২৯ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাত ৮টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে বন্ধ থাকবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার লঙ্কান ক্রিকেটার ইসুরু উদানা করোনায় আক্রান্ত
শনিবার সকালেই জানানো হয়েছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রাজশাহী জেলার ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১২০ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এই অবস্থার মধ্যেই সন্ধ্যার পর দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত এল।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটি জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য শুক্রবার রাতেই মাইকিং করে জানানো হয়েছে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এ ছাড়া সিটি মনিটরিং করার জন্য টিমও গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ২০ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩.৩৭ শতাংশ
২ বছর আগে
বাগেরহাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ
বাগেরহাটে হাট-বাজার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমহল এবং গণপরিবহনসহ সর্বত্রই নানাভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাইছে না। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৪৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এসময় ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ২০৮ জন। আর এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১৪৪ জন।
হাট-বাজারসসহ সর্বত্রই মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও সেই নির্দেশনা মানার বালাই নেই। মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ হিসেবে মানুষের অজুহাতের শেষ নেই। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে জেলা প্রশাসনেরপ্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে হলে অবশ্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
পড়ুন: রাজশাহীতে করোনা শনাক্ত ৫৮.৬০ শতাংশ
এদিকে বাগেরহাটে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বুধবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বুথগুলোতে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন ১২ হাজারের উপরে মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৬ জনকে প্রথম ডোজ, ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪২ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৩ হাজার ৩১১ জনকে সুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক শিক্ষার্থীদের এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৬ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৬৭ হাজার ১৮৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৪৬.০৫ শতাংশ। সংক্রমণ রোধ করতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। জেলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন ৬৪.০৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৪৩.২৩ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ ১.৩২ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ১১৩.৩২ শতাংশ ভ্যকাসিন দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩.৩২ শতাংশ বেশি দেয়া হয়েছে।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৫ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে
করোনা রোগীদের ৭০-৮০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে