আওয়ামী লীগ
বরিশালে আ.লীগ-ছাত্রলীগের হাতাহাতি, ছবি তোলায় ৩০ সাংবাদিককে অবরুদ্ধ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের সঙ্গে সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ঘটনার ছবি ধারণ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সন ও পত্রিকার ফটো সাংবাদিকদের।
অন্তত ৩০ জন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওইসব আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুনের বাসভবনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নৌকার প্রার্থীর মতবিনিময় সভা শেষে প্যাকেট বিতরণ ও বক্তব্য দেওয়া নিয়ে খোকন সেরনিয়াবাতের দুই অনুসারী জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
আরও পড়ুন: এসসিবিএ ইফতার পার্টিতে হাতাহাতির ঘটনায় বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
এই ঘটনার ভিডিও ও স্থির চিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে অন্তত ৩০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ওই দুইজনের সমর্থকরা। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আজিম শরীফ বলেন, হাতাহাতির ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের ক্যামেরার উপর থাবা বসায়। এ নিয়ে ধস্তাধস্তিও হয় আমাদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে আমিসহ আমার প্রায় ৩০-৩৫ জন সহকর্মীকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এসে আমাদের মুক্ত করে।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, নৌকার প্রার্থীকে বিব্রত করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুই পক্ষ।
হাতাহাতির বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ বলেন, কথা কাটাকাটি হয়েছে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে, আর কিছু না।
মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি
১ বছর আগে
দুর্নীতি মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
উভয়ের উপস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী একে নূর উদ্দীন আহম্মেদ।
অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে খাস জমি অবৈধভাবে দখল ও অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। ওই মামলা বর্তমানে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে রয়েছে। আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। পরে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন। এর মাধ্যমে মামলার বিচার কাজ শুরু হল।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা করেন। তিন মামলায় পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীকে আসামিকে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
এর মধ্যে একটি মামলায় তার স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ অগাষ্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি মৌজায় সরকারী ভিপি ৫ শতাংশ জমি ইজারা নেয়। ইজারা নেয়ার আবেদন পত্রে লায়লা ইরাদের সাক্ষর ছিলো।
ইজারার চুক্তি অনুযায়ী আধা-পাকা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে একেএম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল দুদক কর্মকর্তা আলী আকবর স্বামী স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ আনা হয়, একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের পরিবর্তে লায়লা আউয়াল উল্লেখ ৪৪ শতাংশ জমি উভয়ের নামে নেয়। পরে পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেয়। একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাঠি পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের পাশে বৈঠাকাঠি মৌজায় ৩ শতাংশ খাস জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে নিয়ে দ্বিতল ভবন করে মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছে। এ মামলায় একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আউয়াল দম্পতির সম্পদ জব্দের আদেশ বহাল
আউয়াল দম্পতির আগাম জামিন আপিলেও বহাল
১ বছর আগে
বরিশালে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও তার সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উলানিয়ার কালিগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সেন্টু মাঝি বলেন,‘তারেক সরদারের ২০০ লোক রামদা ও লাঠিসোটাসহ কালীগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করলে লোকজন ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তারা মিলন চৌধুরীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। আমার দোকানের ফল লুটসহ আমাকে মারধর করেছে।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিলন চৌধুরী জানান, তারেক সরদারের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা থেকে ট্রলারে উলানিয়ায় প্রবেশ করে। ফেরার পথে কালিগঞ্জ বাজারে তার নির্বাচনী কার্যালয় এবং সমর্থক মানিক মাঝির বসতঘর ও সেন্টু মাঝির ফলের দোকান ভাংচুর করেছে তারা।
অভিযুক্ত তারেক সর্দারের মামা হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, তারেক সরদার হামলা করেনি। তারেকের ওপর হামলা করেছে মিলন চৌধুরীর লোকজন। এখন মিথ্যা বলছে সাংবাদিকদের কাছে। তারেক অনেকদিন পর এলাকায় এসেছে। তাই প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে তার লোকজন।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। কারও নির্বাচনী কার্যালয় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের খবর আমার কাছে নেই। অভিযোগ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ উলানিয়ার নির্বাচনের দিন নির্ধারিত ছিল ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। তবে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থেকে একাধিক সংঘর্ষের কারণে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: নাচোলে আ’লীগের দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
২ বছর আগে