পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
উভয়ের উপস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী একে নূর উদ্দীন আহম্মেদ।
অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে খাস জমি অবৈধভাবে দখল ও অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। ওই মামলা বর্তমানে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে রয়েছে। আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। পরে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন। এর মাধ্যমে মামলার বিচার কাজ শুরু হল।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা করেন। তিন মামলায় পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীকে আসামিকে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
এর মধ্যে একটি মামলায় তার স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ অগাষ্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি মৌজায় সরকারী ভিপি ৫ শতাংশ জমি ইজারা নেয়। ইজারা নেয়ার আবেদন পত্রে লায়লা ইরাদের সাক্ষর ছিলো।
ইজারার চুক্তি অনুযায়ী আধা-পাকা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে একেএম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল দুদক কর্মকর্তা আলী আকবর স্বামী স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ আনা হয়, একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের পরিবর্তে লায়লা আউয়াল উল্লেখ ৪৪ শতাংশ জমি উভয়ের নামে নেয়। পরে পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেয়। একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাঠি পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের পাশে বৈঠাকাঠি মৌজায় ৩ শতাংশ খাস জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে নিয়ে দ্বিতল ভবন করে মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছে। এ মামলায় একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।