দালালচক্র
কক্সবাজারে কটেজ থেকে চারজন উদ্ধার, ‘দালালচক্রের’ ১১ সদস্য আটক
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনের বন্দিদশা থেকে রবিবার রাতে চারজনকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসময় ১১জন ‘দালাল’কে আটক করা হয়েছে।
কলাতলীর শিউলি কটেজ থেকে এই বন্দীদের আটক করা হয় এবং বিভিন্ন স্থান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দালালদের আটক করা হয়।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দুইজন শিশু ও দুইজন যুবক রয়েছে। শিশু দুটির বাড়ি কক্সবাজার বাসটার্মিনাল এলাকার দক্ষিণ ডিককুল ও দুই যুবকের বাড়ি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সাতকানিয়া।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে দালালসহ আটক ৯
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, ‘দালালরা ভুল বুঝিয়ে কটেজ জোনের শিউলি কটেজে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন পর্যটককে আটকে রাখার খবর পায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এই খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বন্দি চারজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে পিছনের গোপন পথ দিয়ে পালিয়ে যায় অপরাধীরা।’
তিনি আরও জানান, ‘সারারাত কটেজ জোনের বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১জন দালালকে আটক করা হয়।’
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকতা বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের দুইজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে রাত কাটানোর জন্য সস্তা কক্ষ খুঁজতে কটেজ জোনে যায়। সেখানে পথিমধ্যে দালালের খপ্পরে পড়ে তারা। দালালরা কম দামের কক্ষের কথা বলে শিউলি কটেজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে আরও অধিক দাম দাবি করে। তা না দেয়ায় তাদের কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কটেজ জোন কেন্দ্রিক একটি গড়ে ওঠা অপরাধীরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এর মধ্যে পর্যটক হয়ররানি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, অসামাজিক কার্যকলাপসহ আরও নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’
এসব অপরাধী আইনের আওতায় আনতে ট্যুরিস্ট পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
২ বছর আগে
ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে দালাল, প্রতারক ও চাঁদাবাজ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ডিবি পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
আটকরা হলেন, শেখ রিপন (৩৮), মোসা. ঝর্ণা বেগম (৪০), মোসা. লিপি আলী (৩০), মোসা. চম্পা আক্তার (২০), মোসা. বিনা আক্তার (৩০) ও মোসা. হেলেনা বেগম (৪৫)। তাদের বাড়ি ফরিদপুরে বিভিন্ন এলাকায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের কর্মরত বিভিন্ন ইউনিটের স্টাফরা তাদের হাসপাতালে আসা রোগীদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে তাদের এই কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়া তারা নিজেদের হাসপাতালের স্টাফ বা মাস্টার রোলে চাকরি করে বলে দাপটের সঙ্গে পরিচয় দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের নারী হত্যা মামলায় দম্পতি গ্রেপ্তার
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
২ বছর আগে