মাথাপিছু আয়
আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের কর মওকুফ হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
জনগনের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে তেল, ডাল, চালসহ আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর অর্পিত কর প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরাম (বিওয়াইসিএফ) এক্স ক্যাডেট ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মহামারি এবং রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব বাজারে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে কিছুটা মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হাইকোর্টে রিট
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথাপিছু আয়ের পরিমানও বেড়েছে। সে হিসেবে পণ্যের চাহিদাও বেড়েছে, তাই মূল্যের ওপর প্রভাব পড়েছে।
প্রস্তাবিত কুমিল্লা শেখ রাসেল ক্রীড়া পল্লীতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ায় এডমিনার আবু তাহের, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেশের ৪২ টি জেলা থেকে আগত ৪০০ ক্যাডেট দুই দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে থাকবেন।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
আগামী অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৬৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে: অর্থমন্ত্রী
আগামী অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ৬৯ ডলারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রবিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এসময় তিনি কিছু স্থানীয় উদ্যোগকে বিদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য দেয়া সরকারি সিদ্ধান্তের কথাও জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি না দিই, তাহলে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ বিভিন্ন দেশে যাবে।’
আরও পড়ুন: এখন মানুষের ক্রয় সক্ষমতা আছে: অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘শর্তসাপেক্ষে কিছু রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য রপ্তানি করছে তারা তাদের ধারণকৃত অর্থের ২০ শতাংশ বা তাদের নিট সম্পদের ভিত্তিতে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বলা বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্থর হওয়া বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘গত বছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি হার ছিল পাঁচ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং এ বছর আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ হবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কিছু বোঝা ভোক্তাদের বহন করতে হবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বছর আমাদের জিডিপির আকার হবে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার। এই ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার জিডিপিকে আমাদের যে জনগোষ্ঠী আছে তার সঙ্গে ভাগ দিলেই মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৭৮৫ ডলারে উন্নীত হবে। এটি হচ্ছে আমাদের এই বছরের হিসাব। আশা করি, আগামী অর্থবছরে আমাদের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে।’
তিনি জানান, সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রত্যাশা করছে। অন্যদিকে আইএমএফ জিডিপি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির তিনটি ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৮টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি আমাকেও মর্মাহত করে: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে