শীত মৌসুম
৩ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থাকে নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি এসি ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ
আসন্ন শীত মৌসুমে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাস এসি ব্যবহার না করতে তিনটি মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রণালয়গুলো হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এসব মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: এসির বাতাসে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে
এতে বলা হয়, দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এই পদক্ষেপ সেচের জন্য বিদ্যুতের সরবরাহ বৃদ্ধি, সারের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করবে।
সবার সহযোগিতা কামনা করে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে বিদ্যুৎ ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
১ মাস আগে
তেঁতুলিয়ায় সৌরভ ছড়াচ্ছে ‘টিউলিপ’
শীতের জেলা পঞ্চগড় রাঙিয়ে তুলেছে নানা রঙের টিউলিপ ফুল। সীমান্তবর্তী এই জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সারিয়ালজোত ও দর্জিপাড়া গ্রামে টিউলিপ ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। ৪০ শতাংশ জমিতে এবারই প্রথম রাজসিক সৌন্দর্য এর ফুল টিউলিপ উৎপাদন করেছেন চাষিরা।
পঞ্চগড় জেলায় শীত মৌসুমে তাপমাত্রা কম থাকায় টিউলিপ ফুল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে প্রমাণ করে দিয়েছেন তেঁতুলিয়ার শারিয়াল জোত ও দর্জিপাড়া গ্রামের চাষি মুক্তা বেগম, আনোয়ারা বেগম, সুমি আক্তার, আয়শা বেগম, মোছা. হোসনেয়ারা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মোর্শেদা বেগম ও সাজেদা বেগম। তারা সকলেই ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) নারী সদস্য।
তারা জানান, বাল্ব বা চারার দাম, শেড নেট, ফেন্সিং নেট, রাসায়নিক সার, জৈবসার, কীটনাশক ও শ্রমের মূল্য বাবদ মোট খরচ প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা। ৪০ হাজার টিউলিপ ফুল ১০০ টাকা হারে বিক্রি করতে পারলে ৪০ শতক জমি থেকে মাত্র দুই মাসে ৮ লাখ টাকা আয় করবেন চাষিরা। পরবর্তীতে বছরের অন্য সময়টাতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফুল চাষাবাদও করতে পারবেন। ফুল বাগানে ক্ষুদ্র পরিসরে বিনোদন পার্ক তৈরি করে পর্যটক ও ফুলপ্রেমিদের জন্য প্রবেশ মূল্য চালু করেছেন। এতে ফুল বিক্রি বাদেও তারা অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন।
শীতপ্রধান অঞ্চল হিসেবে পঞ্চগড়ে টিউলিপ রোপণ ও উৎপাদনে সফল হওয়ায় ভবিষ্যতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টিউলিপ রপ্তানির সম্ভাবনা জাগিয়েছেন। ফুল বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হলে আগামী বছর প্রায় ৫ একর জমিতে টিউলিপের চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রতিদিন দূর-দূরান্তের শত শত প্রকৃতিপ্রেমি শিশু কিশোর, যুবক, নারী-পুরুষ পরিবার পরিজন নিয়ে দলবেধে দৃষ্টিনন্দন টিউলিপ ফুলের অপরুপ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন এসব ফুল বাগানে। নানা ধরনের চোখ ধাঁধানো টিউলিপ দেখে স্থানীয়সহ পর্যটক সকলেই বিস্মিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২১ বছরে ৪০ বাঘের মৃত্যু
২ বছর আগে