আবেদনপত্র
শূন্য ৫ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের আবেদনপত্র বিতরণ শুরু বুধবার
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য বুধবার থেকে আবেদনপত্র বিতরণ শুরু করবে আওয়ামী লীগ।
পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসন: ১৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে ইসি
আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের আগামী ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখতে এবং আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময় ভিড় না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে প্রার্থীদের নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
১৮ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনগুলোতে উপনির্বাচনের আয়োজন করবে ইসি।
ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন এবং ১৫ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসন: ১৮ নভেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
১ বছর আগে
শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
কোন কিছু হারিয়ে ফেলা বা নষ্ট করার বিষয়টি যদি অদরকারি কোন কিছুর উপর দিয়ে যায়, তবে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া বস্তুটি যদি হয় অতীব মূল্যবান, তখনই যত ঝামেলা। শিক্ষার সার্টিফিকেট প্রত্যেকের জীবনেই অনেক শ্রমসাধ্য একটি বস্তু। দুর্ঘটনাক্রমে এই মহামূল্যবান কাগজটিও অনেককে হারিয়ে কিংবা নষ্ট করে ফেলতে দেখা যায়। প্রতিটি মানুষই জীবনে ভুল থেকে শিখে। এরপরেও সে ভুল যাতে না হয় বা অসাবধানতা বশত একবার হয়ে গেলে কি করণীয় তা জেনে রাখা উচিত। তাই চলুন জেনে নিই শিক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়সমূহ।
শিক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে করণীয়
থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি)
সর্বপ্রথম কাজ হলো যে স্থানে হারিয়েছে তার নিকটস্থ থানায় গিয়ে রিপোর্ট করা। এ সময় জিডির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যেমন- হারিয়ে যাওয়া সার্টিফিকেটের প্রদানকৃত তথ্যসমূহ (যতটুকু মনে থাকে), প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার।
জিডি লেখা শেষ হলে এর একটি কপি জিডিকারিকে দেয়া হয়। এটি পরে বিভিন্ন জায়গায় দরকার হতে পারে বিধায়, হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই এর কয়েকটি ফটোকপি করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
জিডির এক কপি সঙ্গে নিয়ে চলে যেতে হবে দেশের সবচেয়ে প্রচলিত পত্রিকা অফিসে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তাদের পত্রিকায় সার্টিফিকেট হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু প্রকাশিত হবে। তাই এ সময় যে তথ্যগুলো দেয়া উচিত, তা হলো- জিডি নাম্বার, সার্টিফিকেটে উল্লেখিত পরীক্ষার নাম, বোর্ডের নাম, পাশের সাল, যার সার্টিফিকেট হারিয়েছে তার নাম, এবং কীভাবে হারিয়েছে তার বিস্তারিত। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হলে পত্রিকা থেকে তা কেটে রাখতে হবে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য।
শিক্ষাবোর্ড বরাবর সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন
অনলাইনে সার্টিফিকেট তোলার ফি জমা
সার্টিফিকেট আবেদনের জন্য প্রথমেই সার্টিফিকেট ফি জমা দিতে হবে। আর এর জন্য একমাত্র মাধ্যম অনলাইনে সোনালী সেবা। কোন ধরনের নগদ অর্থ, পোস্টাল অর্ডার কিংবা ট্রেজারি চালান এখন আর গৃহীত হয়না।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে সোনালী সেবায় পাওয়া যাবে ফি জমা দেয়ার ফর্ম। সেটি পূরণ করে সেভ করলে ফি জমা দেয়ার ফর্ম পাওয়া যাবে। সেটি প্রিন্ট করে সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিলে দুটি জমা রশিদ প্রদান করা হবে- একটি ফি প্রদানকারীর অংশ, আরেকটি বোর্ডের জন্য।
আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
শিক্ষাবোর্ডে আবেদনপত্র জমা
যে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সার্টিফিকেট পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এবার সেখানে যাবার পালা। শিক্ষাবোর্ডের তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্রে যোগাযোগ করে সার্টিফিকেট তোলার জন্য আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর সেখানে চাওয়া প্রতিটি তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান পূর্বক পূরন করতে হবে আবেদন পত্রটি।
আবেদন পত্রের সবার উপরে ইআইআইএন নাম্বারটি পাওয়া যাবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটের হোম পেইজের ইন্সটিটিউট ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া আবেদনকারির পরীক্ষা সংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত বৃত্তান্তের পাশাপাশি সোনালি সেবা নাম্বার দিতে হয়, যেটি পাওয়া যাবে সোনালি ব্যাঙ্ক থেকে সরবরাহকৃত আবেদনকারির জমা রশিদে।
আবেদনপত্রটি নিয়মিত ও অনিয়মিত উভয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
আবেদনপত্রটি চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়ে গেলে শিক্ষা বোর্ডে জমা দেয়ার সময় এর সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সেগুলো হলো- জিডির কপি, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটির কর্তন করা অংশ, এবং বোর্ডের জন্য নির্ধারিত টাকা জমা দেয়ার রশিদ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সার্টিফিকেট কোন কারণে আংশিক বা সম্পূর্ণ নষ্ট হলে জিডি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
শিক্ষা সনদ তুলতে প্রয়োজনীয় খরচ
শিক্ষাবোর্ড থেকে শিক্ষা সনদের দ্বি-নকল তোলার জন্য ফি ৫০০ টাকা। ত্রি এবং চৌ-নকলের জন্য খরচ হবে ৭০০ টাকা।
পরিশিষ্ট
শিক্ষা সনদপত্র বা সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে সর্বোৎকৃষ্ট করণীয় হলো পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন। সার্টিফিকেট যখন ইস্যু করা হয় তখনি উচিত অফসেট কাগজে এর বেশ কয়েকটি অনুলিপি করে রাখা। আর শিক্ষা সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলোর জন্য এমন জায়গা বাছাই করা উচিত যেখানে কাগজগুলোর কোন ভাবে বিনষ্ট হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। একটি প্রতিষ্ঠানে যেমন তার ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিষদ থাকে, তেমনি নিজের ঘরেও নিজের কাগজপত্রগুলো সযত্নে রাখার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তবেই কাগজগুলো হারিয়ে যাওয়ার পরিণামে সময় ও অর্থ অপচয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
২ বছর আগে