এভারকেয়ার
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
প্রায় চার মাস ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
গত ৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
১০ মাস আগে
বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার বিকালে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
দলটির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই বিকালে ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে তার কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে।
চেয়ারপার্সনের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি জ্বরে ভুগছেন এবং তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৩ জুন হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় একই হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
পরে তিনি হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
১ বছর আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান।’
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি নেত্রী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
১ বছর আগে
খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
এর আগে শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর শনিবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয় এবং তারা বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি এবং মেডিক্যাল বোর্ড আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করতে এবং তার চিকিৎসার পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করতে আবার বসবে। গতকাল (শনিবার) তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।’
জাহিদ জানান, সকালে মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।
হাসপাতালে ভর্তির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগের রোগের পাশাপাশি নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা জরুরি ছিল।
চিকিৎসক বলেছেন,‘মিডিয়ায় রোগীর অসুস্থতা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। আমি শুধু বলতে পারি তিনি হার্ট, লিভার এবং কিডনির জটিলতা সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন... তাদের মধ্যে কোন কোনোটির একটু অবনতি হয়েছে। তাই চেক-আপ এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, কেবিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সরা খালেদা জিয়ার যথাযথ যত্ন নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়া কতদিন হাসপাতালে থাকতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও তার শারীরিক অবস্থার ওপর। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জাহিদ জানান, স্থানীয় চিকিৎসক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন চিকিৎসক এবং খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আরেক পুত্রবধূ ও প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান শিঁথিও হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কিছু পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আগামীকাল (রবিবার) বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
১ বছর আগে
এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তিনি ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং আরও কিছু রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, খালেদার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ফলোআপ টেস্ট করার কথা ছিল, যা প্রায় ১০ সপ্তাহ আগে ১১ জুন করা হয়েছিল।
জাহিদ বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে এটা করতে পারিনি, তাই, জরুরি ভিত্তিতে নিয়মিত চেক-আপ হিসাবে আজ (সোমবার) তাকে ওই পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। কিছু পরীক্ষা আজ করা হয়েছে এবং কিছু পরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর করা হবে।’
বুধবারের মধ্যে সব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এই চিকিৎসক।
জাহিদ বলেন, এ লক্ষ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া তার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট পরীক্ষা করে তার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার লিভার, ফুসফুস, বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড আবারও মত দিয়েছে যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিদেশে একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে তার চিকিৎসা খুবই জরুরি।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন গুলশানের বাসা থেকে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান এবং ডাক্তারি পরীক্ষা করান। তিনি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বের হন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে তার বাসায় পৌঁছান।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে ভুগছেন
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
চিকিৎসকরা তার রক্তনালীতে আরও দুটি ব্লক খুঁজে পেয়েছেন, তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে তারা সেগুলো অপসারণ করতে পারেনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
জনরোষ এড়াতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান: বিএনপি
২ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক শেষে সোমবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড আজ (সোমবার) ম্যাডামের (খালেদার) সর্বশেষ অবস্থা এবং বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছে। তারা তাকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জাহিদ জানান, হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে মেডিকেল বোর্ডের ১৯ সদস্যের মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শনিবার তার এনজিওগ্রাম করার পর মেডিকেল বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। আগামীকাল (মঙ্গলবার) তা শেষ হবে। আগামীকাল বিকাল ৫টায় আবার মেডিকেল বোর্ড বসবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা খালেদাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আন্তরিকভাবে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে চিকিৎসকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের অবস্থা ও বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে রবিবার তিনি বলেন, শনিবার করোনারি এনজিওগ্রাম টেস্টে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ধমনীতে তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে।
এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার বাম ধমনীতে প্রায় ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ‘ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়েছে।’
আরও দুটি ব্লক সম্পর্কে জাহিদ বলেন, তার কিডনি ও লিভারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকায় তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার বিকেলে তার হার্টের মূল ধমনীতে একটি রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক, ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
২ বছর আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আজ এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আজ (বুধবার) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজ (বুধবার) বিকাল ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে।’
গত বছরের ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা পজিটিভ হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ দিন পর ৮মে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
পরে ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন করোনা টিকা নেয়ার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
সরকার এখনও এ আবেদন নিষ্পত্তি করেনি। তবে, মন্ত্রীরা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন জেলে ফিরে আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে গত বছরের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
২ বছর আগে
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন থাকার পর মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে চিকিৎসকরা ম্যাডামকে (খালেদা) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে তিনি এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তিনি ক্লিনিক্যালি স্থিতিশীল, কিন্তু নিরাময় এবং রোগমুক্ত নয়... করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে আপাতত বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এরপর যদি কোনো সংকট দেখা দেয়, আমরা তাকে আবার হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত।’
তিনি জানান, তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন।
ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞসহ বিদেশের পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলেরই একই মতামত, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদার রোগের শেষ চিকিৎসা হলো লিভার প্রতিস্থাপন, কিন্তু তিনি এখন সেই অবস্থানে নেই।’
মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ রয়েছে, তবে তার অসুস্থতার জন্য তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আমরা লক্ষ্য করছি যে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এই হাসপাতালের ৩৮০ জনেরও বেশি স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, মেডিকেল বোর্ড তাকে ছেড়ে দেয়ার এবং আমাদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে তার চিকিত্সা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের উৎস বন্ধ হয়েছে। তিনি এখন ব্যাপক রক্তক্ষরণে ভুগছেন না। কিন্তু কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না যে আবার তার বেশি রক্তপাত হবে না।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
২ বছর আগে