ডাকাতিয়া
চাঁদপুরে ডাকাতিয়ায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, দগ্ধ ৬
চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীতে ‘এমভি সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালের দিকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জেটির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে জাহাজে থাকা ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- জাহাজের শ্রমিক রুবেল, গোলাপ, জিলানী, মাসুদ, গিয়াস উদ্দিন ও মধু মিয়া।
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (উত্তর) চাঁদপুরের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ আলম ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ওই নদীর পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জেটির পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ‘এমভি সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ও কোস্টগার্ড এক ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল সোয়া ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই জাহাজে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আহত মধু মিয়া ও জিলানী জানান, গত শুক্রবার আমরা চাঁদপুর পদ্মা ডিপোতে আসছি। পুরো ট্যাংকারে পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে আসা হয়। ট্যাংকারের পেছনে ইঞ্জিনকক্ষে হঠাৎ জেনারেটর বিস্ফোরণ হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে আমরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এরপর সাঁতরে কূলে উঠি।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আকলিমা জাহান ইউএনবিকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহত গোলাপ নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি ৫ জনের অবস্থা উন্নতি হওয়ায় তাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
১ মাস আগে
ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলার ডুবিতে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় দায়ী বাল্কহেডের সুকানি ও মালিকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার মিয়া। সোমবার রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় কাউছার বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন।
বুধবার এ তথ্য জানান চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- ইকবাল হোসেন-১ বাল্কহেড এর সুকানি বাহার, মালিক ইকবাল হোসেন, শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস ও দিদার। এদের মধ্যে সুকানি বাহার ও মালিক ইকবাল হোসেন এখনও পলাতক রয়েছেন। আর শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস, দিদারকে ঘটনার পরপরই চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ বাল্কহেড থেকে আটক করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রলার ডুবিতে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
ওসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাল্কহেড ও ট্রলার সংর্ঘষে পাঁচ জন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার হত্যা মামলাটি করেন। আসামি ছয়জনের মধ্যে চার জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছেন। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রাম এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মাটিবাহী অপর একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১ জন শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩ জেলের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে