চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলার ডুবিতে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় দায়ী বাল্কহেডের সুকানি ও মালিকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার মিয়া। সোমবার রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় কাউছার বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন।
বুধবার এ তথ্য জানান চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- ইকবাল হোসেন-১ বাল্কহেড এর সুকানি বাহার, মালিক ইকবাল হোসেন, শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস ও দিদার। এদের মধ্যে সুকানি বাহার ও মালিক ইকবাল হোসেন এখনও পলাতক রয়েছেন। আর শ্রমিক জাবেদ, আবুল বাশার, ইউনুস, দিদারকে ঘটনার পরপরই চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ বাল্কহেড থেকে আটক করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রলার ডুবিতে নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
ওসি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাল্কহেড ও ট্রলার সংর্ঘষে পাঁচ জন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত শ্রমিক আউয়ালের ভাতিজা কাউছার হত্যা মামলাটি করেন। আসামি ছয়জনের মধ্যে চার জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছেন। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রাম এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মাটিবাহী অপর একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১ জন শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩ জেলের লাশ উদ্ধার