কংগ্রেস
টানা তৃতীয়বার জয়ের দাবি মোদির, তবে সরকার গঠনে লাগবে জোট শরিকদের
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত নির্বাচনের তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কাছে বেশ কিছু আসন হারানোর পরও টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পথে মোদি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পেছনে গত মেয়াদে তার শাসনামলে ভারতের মিশ্র অর্থনৈতিক রেকর্ড ও রাজনৈতিক মেরুকরণের মতো বিষয়গুলো প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আজকের এই জয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের জয়। নির্বাচনে ভারতের ভোটাররা বিজেপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি অগাধ আস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুসারে, মোদির এনডিএ জোট ২৯৪ আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তবে গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা নিতান্তই কম। অন্যদিকে, বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন।
শুধু বিজেপি নেতারা জিতেছেন ২৪০টি আসনে। এর ফলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠা অর্জনে ব্যর্থ হলো দলটি। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ৩০৩ সিট পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও চাইলে শুধু তারাই সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে বিজিপি।
২৭২ আসন না পাওয়ায় এবার আর এককভাবে সরকার গঠনের দিকে যেতে পারছে না দলটি। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে মোদির।
ফল ঘোষণার আগে মোদি জানিয়েছিলেন, তার দলের ৩৭০ আসনে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এবং জোট শরিকরা আরও ৩০টি আসনে জিততে পারে। তবে ঘোষণার পর বিজেপির জন্য এটি বিপর্যয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারতীয় ভোটারদের আর সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। চাকরি ও দেশের অর্থনীতি যে গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, চাকরি নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক মিলান বৈষ্ণব বলেছেন, জোট শরিকদের সদিচ্ছার ওপর এখন ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে মোদিকে। যেকোনো নীতি নির্ধারণ, এমনকি সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও তারা বড় সুবিধা চাইবে।
দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রতাপ ভানু মেহতা নামের এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেছেন, ভোটের ফলাফল মোদির কর্তৃত্বকে দমন করেছে। তিনি নিজেই নিজের জন্য এই অবস্থান তৈরি করেছেন। আজ থেকে তিনি শুধুই একজন রাজনীতিক, জনগণ তার ক্ষমতা খর্ব করেছে।
সাত ধাপে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা দীর্ঘ এ ভোট কর্মযজ্ঞে ভারতের ৬৪ কোটির বেশি ভোটার তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেন।
‘বিজেপির পতনের’ এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কংগ্রেস দাবি করেছে, এটি মোদির নৈতিক ও রাজনৈতিক পতন। আর এটাই তাদের জয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি জনতার জয়, গণতন্ত্রের জয়।’
তৃতীয়বার সরকার গঠন করে ভারতের অর্থনীতিকে বর্তমানের পঞ্চম অবস্থান থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানো, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কৃষকদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী এ বিজেপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বড় বড় সিদ্ধান্তের একটি নতুন অধ্যায় দেখবে দেশ। এটি মোদির গ্যারান্টি।’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর প্রথম কোনো নেতা হিসেবে টানা তৃতীয়বার দেশ শাসন করতে চলেছেন মোদি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে ৩০ বছর ধরে জোট সরকারে শাসিত হয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: সিপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-মোদি
৬ মাস আগে
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
নির্বাচনী প্রচারে নেমে ফের নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন বগুড়া-৪ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কাহালু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হিরো আলমের সঙ্গে থাকা দুই সমর্থক মোর্শেদুল রবি ও আব্দুস সালাম আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার রাত ৮টায় বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হিরো আলম।।
এসময় তিনি বলেন, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থকসহ তিনি কাহালু বাজারে আসেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মাছ ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচারে বাধা দেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। তার সমর্থকদের উপরও হামলা চালানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, শনিবার নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাকে এত ভয় কেন? আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার (নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের সমর্থকেরা) আমার উপর হামলা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লার দুইজন সমর্থকও ছিলেন, তবে তাদের পরিচয় জানি না। এসব হামলা করে লাভ হবে না। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন। তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেষদিন পর্যন্ত মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না। দুই দিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাব।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, 'কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারো সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এর দায় সংগঠন নেবে না।’
কাহালু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, 'হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
১১ মাস আগে
কংগ্রেসের চিঠিতে উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে বক্তব্য সত্য নয়: মোমেন
বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিস্টানদের নিয়ে ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে ভুল তথ্য দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কংগ্রেসম্যানদের দেওয়া সাম্প্রতিক চিঠির বিষয়বস্তুর জন্য সমালোচনা করছে। তারা জানিয়েছে যে তারা (কংগ্রেসম্যানরা) বিএনপির কথার পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই করেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে চিঠিতে যে তথ্য আছে, বাস্তবতার সঙ্গে তা মিলছে না।
সোমবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো (সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিঠির তথ্য) সত্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চিঠি পাঠানোর আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রয়োজন।
দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে লবিস্টদের সম্পৃক্ত করার সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, দেশকে ধ্বংস করবেন না। এই দেশ সকলের।’
তবে এসময় তিনি কারো নাম বলেননি।
মোমেন দেশের দেশের কল্যাণে লবিস্ট মোতায়েন করার পরামর্শ দেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন যেমন বাংলাদেশে কীভাবে জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানো যায় এবং কীভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো যায় ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ‘আইওসি-২০২৩’ আয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছ।
তিনি বলেন, সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে আন্তরিকতা ও অঙ্গীকার দেখাতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্রে একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন, যার মধ্যে ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ থাকবে।
সেখানে বাংলাদেশ ইস্যু থাকবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তাদের যা ভালো লাগবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
মন্ত্রী বলেন, ওই বৈঠক নিয়ে তার কথা বলার কিছু নেই। ‘ভারত একটি পরিণত গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের খুব শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য চীন সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন এটা ভুল বক্তব্য।
তিনি বলেন, চীনা পক্ষ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ জানিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী সেই সময় নিউইয়র্কে থাকবেন।
সফর পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে আমি জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি খুব আনন্দিত. তারা আমাদের অনেক সম্মান দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
১ বছর আগে
ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
সংসদীয় বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ভারতের কংগ্রেস দলের সদস্যসহ ১০০ জনেরও বেশি বিরোধী আইনপ্রণেতা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে এবং স্লোগান দিয়ে বলতে থাকে, ভারতের গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মোদির প্রশাসন বিরোধী নেতাদের ভয় দেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ‘অপব্যবহার’ করছে।
সংসদ ভবন থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ছত্রভঙ্গ হতে বাধ্য করে।
এক ডজনেরও বেশি বিরোধী দলের নেতারা সংবাদ বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ করেন।
কংগ্রেস দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গ তার দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে একটি মানহানির মামলায় আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার সমালোচনা করেছেন।
রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সোমবার আপিল আদালতে রাহুল তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘বিদ্রুপ’ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের পর আদালত রাহুলের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
খার্গে বলেছেন, ‘সংসদীয় বাজেট অধিবেশনটি একটি বিপর্যয় ছিল, যথাযথ বিতর্ক ছাড়াই সরকার ১২ মিনিটের মধ্যে ২০২৩-২৪ এর বাজেট পাশ করেছে।’
এদিকে, আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে মোদি বলেন, ‘জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তার থাকায় আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য বিজয়ী হবে তার দল।’
তিনি তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীদের পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করার আহ্বান জানান।
মোদি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আনার জন্য ভারতের জনগণ বিজেপিকে সমর্থন করেছিল, কেননা বেশিরভাগ বিরোধী দল রাজনৈতিক পরিবার দ্বারা পরিচালিত।
রাহুল গত মাসে বলেছিলেন যে তিনি আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানির সঙ্গে মোদির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে।
রাহুল আরও বলেন, পার্লামেন্ট থেকে তাকে বহিষ্কারের উদ্দেশ্য ছিল গৌতম আদানির নেতৃত্বে আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন শেল কোম্পানিগুলোতে তিন বিলিয়ন ডলারের হিসাববিহীন বিনিয়োগের অভিযোগের বিষয়ে তাকে সংসদে কথা বলা থেকে বিরত রাখা।
ভারতের শীর্ষ আদালত সম্প্রতি আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মার্কিন শর্ট-বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত আদানি কোম্পানিগুলোর বাজারের কারসাজি এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার নপর থেকেই এ ব্যাপারে তদন্তের বিষয়টি সামনে আসে।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট জারি করার পর থেকে গ্রুপের নামধারী আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং অন্যান্য অনুমোদিত কোম্পানির শেয়ারগুলো কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাজার মূল্য হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
১ বছর আগে
এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘উপহাস’ করার জন্য ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সোমবার আপিল করবেন।
কেননা রাহুলের বহিষ্কারাদেশ আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
রাহুল গান্ধী ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
২০১৯ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় ‘মোদি’ উপাধি নিয়ে উপহাস করার জন্য একটি আদালত তাকে মানহানির অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং এরপর তার সংসদ সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের ওপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
রাহুলের আইনজীবীরা ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, রাহুল আজ তাকে কারাদণ্ড দেওয়া গুজরাটের সুরাটের ওই আদালতে হাজির হবেন। সেখানে তিনি তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বা সাময়িক স্থগিতাদেশ চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের একদিন পর শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্ট সিনিয়র বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষকে ইঙ্গিত করে সংসদের একটি নোটিশে বলা হয়েছে যে রাহুল গান্ধীর ‘লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো’।
২০১৯ সালের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
রাহুল গান্ধী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়ের সাংসদ ছিলেন।
তিনি বর্তমানে ৩০ দিনের জন্য জামিনে রয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস এই রায়কে ‘ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে।
দলের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, দল ‘আইনগত ও রাজনৈতিক উভয়ভাবেই’ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিলে বিরোধী নেতাদের নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেস।
প্রতিবাদী সাংসদরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রপতি ভবনে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাহুল গান্ধী শুক্রবার সংসদে কথা বলার অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখান করা হয়।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
তিনি অভিযোগ করেছেন, রাহুলের বিরুদ্ধে এই রায় মূলত আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবির ফলাফল।
এই বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও আদানি গ্রুপ আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘যারা সত্য কথা বলছে তারা (সরকার) তাদের রাখতে চায় না, তবে আমরা সত্য কথা বলতে থাকব।’
কংগ্রেস বলছে আগামী দিনে তারা সরকারের বিরুদ্ধে আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে।
২০১৯ সালে একটি নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে বলা হয়েছে যে একজন আইনপ্রণেতা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে অবিলম্বে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
সাজা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত বা মামলায় খালাস না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী।
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।
কংগ্রেস পার্টি বলেছে, সরকারের ‘অন্যায়’ প্রকাশ করার জন্য টার্গেট করা হচ্ছে রাহুলকে।
মি. রমেশ গুজরাটের আদালতের রায়কে ‘খুবই গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন এই রায় ‘আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’কে প্রভাবিত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার একটি দলীয় বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘এটি মোদী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি, হুমকির রাজনীতি, ভয় দেখানোর রাজনীতি এবং হয়রানির রাজনীতির একটি বড় উদাহরণ’।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মন্ত্রীরা অবশ্য রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য রাহুল গান্ধী ও তার দলের সমালোচনা করেছেন।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, রাহুল গান্ধী আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস (ওবিসি) নামে পরিচিত গোষ্ঠীর সদস্যদের অপমান করেছিলেন, যার অধীনে ‘মোদি’ নামটি পড়ে।
তিনি বলেন, ‘কোনও পদবীকে অপমান করা বাক স্বাধীনতা নয়।’
গত বছর কংগ্রেস দল ছাড়া ভারতের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘উদ্ভট’ বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ‘একজন ব্যক্তিকে’ লক্ষ্য করে, কোনও গোষ্ঠীকে নয়।
বৃহস্পতিবারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায়, রাহুল গান্ধী মহাত্মা গান্ধীর একটি উদ্ধৃতি টুইট করেছেন, ‘আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার উপর প্রতিষ্ঠিত। সত্য আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার মাধ্যম।’
বেশ কয়েকটি বিরোধী দল রাহুল গান্ধীর সমর্থনে নেমেছে।
শুক্রবার কংগ্রেসসহ ১৪টি দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপির বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
১ বছর আগে
মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুরাটের একটি আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে এক নির্বাচনী সমাবেশে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে 'অবমাননাকর' মন্তব্যের জন্য দায়ের করা মানহানির মামলায় তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তবে, আদালত জামিনে রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর করেছেন এবং তাকে উচ্চ আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়ে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত করেছেন।
রায়ের পরে বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (রাহুল) যাই বলুন না কেন তা কংগ্রেস দল এবং দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতারা বলছেন যে বিজেপি সরকার রাহুল গান্ধীর কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে এবং তিনি রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
কংগ্রেস নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ চাপের মধ্যে রয়েছে।
দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এই মামলায় বিচারক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
অন্যদিকে, রায়ের কয়েক ঘন্টা পরেই ভিনীত জিন্দাল নামক সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, লোকসভার স্পিকারের কাছে কারাদণ্ডের জন্য রাহুল গান্ধীকে হাউস থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার অভিযোগ করেন।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছেন সুরাট পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কর্ণাটকের কোলারে একটি লোকসভা নির্বাচনী সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’
গত সপ্তাহে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মার আদালত উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি শুনানি শেষ করেন এবং চার বছরের পুরনো এই মানহানির মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।
রায় ঘোষণার সময় ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবী কেতন রেশমওয়ালা বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে আইপিসির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী গত বছরের জুনে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
এই মামলায় দলের প্রাক্তন প্রধান সোনিয়া গান্ধীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির একটি আদালত মামলায় এই দুই নেতাকে জামিন দিয়েছিলেন।
রাহুল গান্ধীর প্রপিতামহী ইন্দিরা গান্ধীও আদালতের প্রতিকূল রায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ছয় বছরের জন্য কোনো নির্বাচিত পদে থাকা থেকে বিরত ছিলেন।
এই রায়ের ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধীকে নির্বাচনী অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার সময়, বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা তাকে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেন এবং তার ওপর যে কোনও নির্বাচিত পদে থাকার ব্যাপারে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার অবৈধ গ্রেপ্তার যোগী সরকারের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ: রাহুল গান্ধী
১ বছর আগে
প্রবীণ রাজনীতিবিদ খাড়গের কাঁধে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে মঙ্গলবার ২৪ বছরে প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের হিসেবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বভার নিয়েছেন।
বুধবার সকালে ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে ৮০ বছর বয়সী এই নেতার কাছে নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
সোনিয়া প্রায় ২৩ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার ছেলে রাহুল গান্ধী এক বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করেন।
দলের নেতাদের উদ্দেশে সোনিয়া বলেন, খাড়গে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
তিনি বলেন, ‘সাধ্যমত আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আজ এই দায় থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার কাঁধ থেকে একটা ওজন সরে গেছে। আমি স্বস্তির অনুভূতি অনুভব করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটা বড় দায়িত্ব ছিল। দায়িত্ব এখন মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংকট আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন খাড়গে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত প্রবীণ এই নেতার কাছে তুলনামূলক তরুণ শশী থারুর বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি জাতিসংঘের এক প্রাক্তন কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
৮০ বছর বয়সী খাড়গের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে পুরানো এই দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেসে পতন দেখা যায়৷ কংগ্রেস বর্তমানে ভারতের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
প্রায়শই দলের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করায় সোনিয়ার ছেলে রাহুল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে দলের লাগাম হাতে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
২ বছর আগে
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গোলাম নবি আজাদ। তার এই পদত্যাগ প্রধান বিরোধী দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্র দলটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বরারবর লেখেন তিনি।
আজাদ গান্ধী পুত্র রাহুলকে ‘শিশুসুলভ’, ‘চকচকে অপরিপক্ক’ এবং দলকে পরিচালনায় ‘অনভিজ্ঞ মানসিক রোগী’ বলে আক্রমণ করেছেন।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য রাহুলকে দায়ী করে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দাবি করেন, ‘দল এখন এমন জায়গায়, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও চরমভাবে একটি ‘দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ ধারণায়’ চলছিলেন, যার মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্ত নেয়া হতো ‘রাহুল গান্ধীর মাধ্যমে কিংবা তার খারাপ নিরাপত্তারক্ষী কিংবা সহকারী ব্যক্তিদের দ্বারা।’
বিগত তিন বছরে দলটির অনেক নেতা চলে যাওয়ার পর দলটি যখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি তখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে, সেসময়ই আকস্মিক বের হয়ে গেলেন আজাদ।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন আজাদ। এছাড়া তিনি ২০০৫ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিং-এর সংসদীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০২২ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’ খেতাবপ্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
রাহুলের বিকল্প না পেয়ে সোনিয়ার কাঁধেই কংগ্রেসের ভার
করোনা জটিলতায় হাসপাতালে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী
২ বছর আগে
কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার করবে
সদ্য উদ্বোধন হওয়া কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘নিরবিচ্ছিন্ন সুসম্পর্ক’ তৈরি করবে।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার কংগ্রেসম্যান জো উইলসন প্রতিনিধি পরিষদে দেয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার ও মানবিক চ্যালেঞ্জ সহ প্রধান সমস্যাগুলো মোকাবিলায় আমাদের যৌথ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
কংগ্রেসের বাংলাদেশ ককাসের সহ-সভাপতি হিসেবে কংগ্রেসম্যান গেরি কনোলি, ডোয়াইট ইভান্স এবং স্টিভ চ্যাবোটের এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ককাস সদস্যরা পর্যায়ক্রমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের হালনাগাদ তথ্য পাবেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানবাধিকারের প্রচারে যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের সঙ্গে দু'দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের সুযোগ পাবেন। কারণ এগুলো তাদের পারস্পারিক সম্পর্ককে ‘দৃঢ়’ করতে সহায়তা করবে।
উইলসন ১৬ আগস্ট তার সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকালে সুশীল সমাজের আরও স্পেস প্রয়োজন: ব্যাচেলেট
বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য এই ককাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে তার স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই এই সম্পর্ক ১৯৭২ সালে শুরু হয়েছিল।
উইলসন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সেই সময় থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের যাত্রায় দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার।’
তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন সহ উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি করেছে।
উইলসন বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে এবং এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুধুমাত্র তার নিজের জনগণকে উপকৃত করছে না, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য কোনো দেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বেশি বাহিনী দেয় নি।
উইলসন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশিদের তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেশি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। বালাদেশের রপ্তানির প্রায় ১৯-২০ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত।
এছাড়াও, ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ১০ বিলিয়ন ডলারের (ইউএস) বেশি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরো অনুসারে, আমেরিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে।
উইলসন বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষা বিনিময়ের প্রচার উভয় দেশের জন্য সুফল আনে। প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
আইজিপি’র যুক্তরাষ্ট্র সফর: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে
২ বছর আগে