প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের লক্ষ্য: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পূর্ববর্তী কমিশনগুলোর রীতি থেকে বের হয়ে এসে সত্যিকার অর্থে গ্রহণযোগ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করতে সংকল্পবদ্ধ যে, আমরা আগের দুই-তিনটি নির্বাচন কমিশনের মতো নই। আমাদের লক্ষ্য জাতিকে একটি সত্যিকারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া।’
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় এখনো নির্ধারণ করা না হলেও সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ১৬ ডিসেম্বরের ভাষণের ইঙ্গিতের ভিত্তিতে কমিশন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বর্তমান অগ্রাধিকার হলো জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি ‘
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে আ. লীগ: সিইসি
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মৃত ব্যক্তি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে কমিশন।
সিইসি ভোটার তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে তরুণদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য আরও প্রস্তুতি সংস্কার কমিশনের অনুসন্ধান এবং সুপারিশের উপর নির্ভর করবে বলেও জানান তিনি।
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ এ অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১২৪ দিন আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দিন
সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
এছাড়া পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্য কমিশনাররা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের একটি তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয় কমিটি।
১৬৪ দিন আগে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ: সিইসি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি আরও বলেন, সঠিক ভোটার উপস্থিতি জানতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন চলাকালে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে, ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অনিয়মের জন্য দুজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, প্রথম ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৮৭টি উপজেলা পরিষদে ২৬১টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৫৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৯৯ জন নারী (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
৩৪০ দিন আগে
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলে।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ভোট হওয়া ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৬টি ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫ হাজার ৪৬৪ জন, নারী ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন নারী ও ২৩৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন।
১৫৬টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ৪৬৮টি পদের বিপরীতে ৬০৩ জন চেয়ারম্যানসহ ১ হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯টি জেলার ২৪টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
৩৪৮ দিন আগে
ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে ভোট দানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তাহলে তা যাচাই করতে এবং আমাদের সততা পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে বা ভোট শেষ হওয়ার ঠিক পরে যে হার দেখা গেছে, তা অবশ্যই বাস্তবের সঙ্গে মিলবে না।
সিইসি জানান, চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
রবিবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই তিনটি দলের একক প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
৪৮২ দিন আগে
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে যাবে।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থী এবং পরবর্তী সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যদিও যায়, তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না সেটি দেখে তারপর বাক্স বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বাক্স ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি ব্যালট পেপার সকালে পাঠাব।’ তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির তিনি আরও বলেন, ‘আর মাঝখানে যদি কোনো পেশীশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলা হয়েছে তিনি ভোট বন্ধ করে দেবেন। তিনি যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে বন্ধ করে দেবো।’
সিইসি বলেন, ‘কথাগুলো বললাম কারণ আমাদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যাতে দূর হয়। আমরা নির্বাহী প্রশাসন ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। এখানে ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো।’
ভোট নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কতগুলো বক্তব্য আমি আরও ৬টি স্টেশনে ঘুরে শুনেছি। একটি কথা কয়েকজনে বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
৪৯৫ দিন আগে
সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবাই মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক ভালো হতো, কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) বারবার আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি দলটি।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি অংশ নিলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা শুরু থেকেই তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, টোকিও ও দূতাবাসের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নিয়ে জাপান আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
তিনি ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের নির্বাচনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
হাবিবুল আউয়াল জানান, আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান।
তিনি বলেন, দাতা দেশগুলো আগামী নির্বাচনের দিকে চোখ রাখছে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৫০৩ দিন আগে
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম আজ সকালে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সন্ধ্যায় সিইসির ভাষণ সম্প্রচার করবে।
তফসিল ঘোষণার আগে আজ বিকাল ৫টায় নির্বাচন কমিশনে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন সিইসি।
গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান সিইসির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন সিইসি
৫৩৬ দিন আগে
বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান সিইসির
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘কেউ পছন্দ করুক বা না করুক, আমরা আপনাদের (বিএনপি) অংশগ্রহণ আশা করি। কীভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন তা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।’
আন্দোলনে দলটির প্রতিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সিইসি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি: নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির আলোচনা শুরু
আলোচনায় ২৬ দলের মতামত খুবই ইতিবাচক ছিল উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল নয়; কিছু দল এখনো অংশ নিতে পারছে না। আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে; মতামত পেয়েছি, আমরাও মতামত দিয়েছি।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাদের হাতে খুব কম সময় আছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধপূর্ণ সংকট নিরসনে নির্বাচন কমিশনের কোনো ম্যান্ডেট নেই। দলগুলোর উচিৎ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা, সংকট সমাধান করা এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন ভোটার ১১.৯৬ কোটি: ইসি
রাজনৈতিক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা সবসময়ই ইতিবাচক। কিন্তু সেই সংকট সমাধানের সামর্থ্য বা ম্যান্ডেট আমাদের নেই। আমরা বলেছি- আপনারা নিজেদের মধ্যে চেষ্টা করতে পারেন।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করতে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে সকাল ও বিকালে দুটি গ্রুপে আমন্ত্রণ জানায় ইসি।
আমন্ত্রিত ৪৪টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন এবং বিএনপি ও সমমনা ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেননি।
আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
৫৪৭ দিন আগে
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চায় ইসি। সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সভার আয়োজন করবে ইসি। ওই সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ ধরনের সাক্ষাতের রেওয়াজ রয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরাসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বুধবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে বুধবার (১ নভেম্বর)। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কমিশন। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।
বুধবার ১২টি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
তবে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ২ ও ৩ নভেম্বরের ডিসি–এসপিদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার অনুষ্ঠেয় ইউএনওদের প্রশিক্ষণও স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
৫৫১ দিন আগে