নৃত্য
নওগাঁয় শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য উৎসব
নাচের শুদ্ধ সংস্কৃতি ও শ্রদ্ধাচার চর্চায় নওগাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য উৎসব।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্থানীয় নৃত্য সংগঠন ত্রিতালের আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন নওগাঁ, বগুড়া ও ঢাকার নৃত্য শিল্পীরা।
এ সময় শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী আঙ্গিকের নৃত্যের তালে তালে মুখরিত হয়ে ওঠে অডিটোরিয়াম। দর্শনার্থীরা আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে বর্ণিল এই নৃত্য উৎসব উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের পরিবেশনায় আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য দর্শকদের আরও বেশি আনন্দ দেয়।
এর আগে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ ঠেকানো যাবে না। কারণ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানুষকে উদার করে তোলে। আর যারা সংস্কৃতি চর্চা করে না তাদের মধ্যে সংকীর্ণতা কাজ করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁর সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না থাকার কারণে যুব সম্প্রদায় মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বেশি বেশি সংস্কৃতি চর্চা করা।
প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সাংস্কৃতিক দলগুলোর সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
নওগাঁ ড্যাফোডিলস জুনিয়র হাইস্কুলের অধ্যক্ষ মাহবুব আলম ছানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম রবীন শীষ, জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি ডিএম আব্দুল বারী, দেশবরেণ্য নৃত্য সংগঠক হাসিব পান্না, নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের প্রতিষ্ঠাতা তৃণা মজুমদার, কেয়া আরহাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়লা আরজুমান ও নওগাঁ জেলার মানবাধিকারের সাধারণ সম্পাদক রোটোরিয়ান চন্দন দেব।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে ফিরলেন পরীমণি
১ বছর আগে
২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২২ সালের একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০২২ সালে একুশে পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মোস্তফা এম.এ.মতিন (মরণোত্তর), মির্জা তোফ্ফাজেল হোসেন (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় (নৃত্য) জিনাত বরকতউল্লাহ, নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর) শিল্পকলা (সংগীত), ইকবাল আহমেদ শিল্পকলা (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু শিল্পকলা (সংগীত), খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর) শিল্পকলা (অভিনয়), আফজাল হোসেন শিল্পকলা (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ শিল্পকলা (অভিনয়)।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্তদের সম্মান জানালো মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়
মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে মনোনীতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ, এ. বি. এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো.আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড.গৌতম বুদ্ধ দাশ, সমাজসেবায় এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, গবেষণায় ড.মো. আব্দুস সাত্তার মন্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত), (দলনেতা), ড. সাহানাজ্ সুলতানা (দলগত) ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত) এই পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর উদ্বোধন
২ বছর আগে