নবজাতকের মৃত্যু
ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নার্সের ভুলে ৩ দিন বয়সি এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাভির ইনজেকশন হাতের শিরায় পুশ করার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন।
নিহত শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের ফকিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন বলেন, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। বাচ্চাটা বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আমি নার্সদের ডেকে নিয়ে আসি। চিকিৎসক সানিকোর্ড (Sanicord) নামে একটি ওষুধ নিয়ে আসতে বলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসি। একজন নার্স সেই ওষুধ সিরিঞ্জে করে নিয়ে হাতের ক্যানুলাতে পুশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সন্তান মারা যায়। আমরা এর বিচার চাই।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, খবর পেয়ে শিশু ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। তিন দিন বয়সি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
৩ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৪ নবজাতকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই চার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসূতি সোনিয়া পারভীন (২৫) উপজেলার ব্রাহ্মণ গ্রামের ভ্যানচালক সবুজ সেখের স্ত্রী। নবজাতক ওই সন্তানগুলোর নাম রাখা হয়- লাম, মিম, নূন ও জিম। এ দম্পতির ১১ মাসের আরেকটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ব্যথা ওঠে। তাকে দুপুরেই শাহজাদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক এক করে চার সন্তানের জন্ম দেন। ওইদিন বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রসূতিসহ চার নবজাতককে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ওই ৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে তালা
বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার পর গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর ইসলামিয়া হাসপাতালের ডা. ইফতেয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, জন্মের পর এ চার নবজাতকের ওজন কম ছিল। এজন্য ওই হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল। তবে রাতেই ওই ৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়। তবে প্রসূতি চিকিৎসাধীন এবং তিনি শারীরিকভাবে এখন অনেকটাই সুস্থ।
আরও পড়ুন: আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
৮ মাস আগে
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
এবার ‘ভুল চিকিৎসা’য় মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতালকে দায়ী করেছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা।
আঁখি তার রোগী নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রাল হাসপাতাল আমাকে নিয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে।’
মঙ্গলবার সংযুক্তা সাহা তার বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আঁখির ভর্তির সময় তারা আমার কাছ থেকে মৌখিক বা লিখিত সম্মতি নেয়নি।’
তিনি প্রশ্ন করেন যে ‘তার অপারেশনের সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম না... আমি সেখানে না থাকলে আমি কীভাবে দায়ী থাকব?’
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
আঁখির অপারেশনের সময় তার উপস্থিতি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
ডা. সাহা বলেন, ঘটনার আগ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়ে গর্বিত ছিল। ‘তারা এখন তাদের অবহেলা আড়াল করার জন্য আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।’
তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন যে মাহবুবা রহমান আঁখি তার নিয়মিত রোগী নন।
আঁখি ও তার শিশুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ডা. সাহা তাদের আত্মার চির শান্তি কামনা করেন।
এর আগে, গত ১০ জুন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন বাদী হয়ে ছয়জন চিহ্নিত ব্যক্তি এবং আরও বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসার’ অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন, যার ফলে তাদের নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, আঁখি গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. সংযুক্তা সাহার তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং তার অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানা গেছে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাহা আঁখির পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করবেন।
গত ১০ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আঁখি।
হাসপাতালে ভর্তির সময় ডা. সাহা উপস্থিত না থাকলেও তার সহকারী জানান, তিনি অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছিলেন।
পরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী ও ডা. মুন্না হাসপাতালে ডেলিভারি পরিচালনা করেছিলেন, যা নবজাতকের মৃত্যুর কারণ বলে অভিযোগে বলা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৬ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) এবং জরুরি বিভাগে অসন্তোষজনক পরিষেবার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার অপারেশন থিয়েটারে কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লিখিত অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত হাসাপাতালটিতে কোনও বিশেষজ্ঞ পরিষেবা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নবজাতকের মৃত্যুর পর গত ১৮ জুন ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আঁখি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
১ বছর আগে
মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
মাগুরায় নিউ আল বারাকা নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত রাশিদা বেগম (২৪) মাগুরা সদর উপজেলার খর্দ গ্রামের রমজান শেখের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
রমজান শেখের বাবা রাশিদার শ্বশুর মাখন অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ রাশিদা বেগম সন্তান প্রসবের জন্যে শুক্রবার রাতে শহরের হাসপাতাল পাড়া এলাকায় নিউ আল বারাকা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হন। শনিবার রাতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি ওই ক্লিনিকে রাশিদা বেগমের শরীরে অস্ত্রপচার করেন। এসময় একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় রাশিদা। কিন্তু অস্ত্রপচারের আগে রক্তের প্রয়োজন হলে রাশিদার শরীরে ‘ও’ পজেটিভ রক্তের পরিবর্তে ক্লিনিকের প্যাথলজি থেকে ‘এবি’ পজেটিভ রক্ত দেয়া হয়। এতে জন্মের পরপরই অসুস্থ হয়ে মারা যায় ওই নবজাতক। অন্যদিকে রক্তের ভুল ব্যবহারের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা রাশিদা। উপায়ন্ত না দেখে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ প্রসুতি রাশিদা বেগমকে দ্রুত ঢাকার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে রাশিদার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনি বলেন, ‘রোগীর শরীরে অস্ত্রপচার করার সময় তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে গর্ভে পানির স্বল্পতা ছিল। যে কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মা রাশিদার কিডনি জটিলতা ছিল। রাশিদার শরীরে রক্ত দিয়েছে ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই’।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কথিত ‘চিকিৎসক’ কারাগারে
মাগুরা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ওই ক্লিনিকের প্যাথলজির কোন অনুমোদন নেই। এমনকি ক্লিনিকের অনুমোদনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। ভুল রক্ত দেয়ার কারণে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি আমি জেনেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সন্তানের মুখ দেখা হলো না মায়ের, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
এদিকে আল বারাকা ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
২ বছর আগে