গ্যাস বিল
সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে খনন করবে চীনের ‘সিনোপেক’
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ১০ নম্বর কূপে গ্যাস খনন করবে চীনের সিনোপেক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন।
রবিবার ভার্চুয়ালি এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি তার বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেয়া অব্যাহত রাখবে সরকার।
এই বিষয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময়সীমার আগেই পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করা অপরিহার্য।
এসজিএফএল-এর সঙ্গে চীনের সিনোপেক-এর চুক্তির আওতায় ঠিকাদার হিসেবে প্রকল্পে ভূমি উন্নয়ন ও সিভিল কাজ, লজিস্টিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, তৃতীয় পক্ষেরে প্রকৌশলী পরিষেবা এবং খননে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাজ করবে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
কর্মকর্তারা আশা করছেন খননের পর কূপ থেকে দৈনিক প্রায় এক কোটি কিউবিক ফুট গ্যাস উৎপাদন করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, কূপ থেকে যে পরিমাণ গ্যাসই পাওয়া যাক বা উৎপাদন হোক না কেন, তা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি গ্যাস আবিস্কার ও উৎপাদনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘টবগী-১’ খনন শুরু, গ্যাস সংকট কাটাতে সহায়তার আশা
কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপকের স্ত্রী কারাগারে
২ বছর আগে
গ্যাস বিলের অসঙ্গতি নিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ তিতাসকে
গ্যাসের মিটারবিহীন গ্রাহকরা একই ধরনের ব্যবহারের জন্য মিটারযুক্ত গ্রাহকদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ দিচ্চ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে একটি বিস্তৃত সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের মাসিক বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন বৈঠকে জানিয়েছেন, তিতাস প্রয়োজনে সমীক্ষা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) সম্পৃক্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু
সভায় জানানো হয়,একজন প্রি-পেইড মিটারযুক্ত গ্রাহক ৪০-৫০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন এবং মাসে প্রায় ৫০০-৬৩০ টাকা পরিশোধ করেন যেখানে নন মিটার গ্রাহককে একই পরিমাণ ব্যবহারের জন্য প্রায় দ্বিগুণ ৯৭৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়।
বৈঠকে উপস্থিত তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কোম্পানির প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পে বিলম্বের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার উপায় প্রবর্তনের ফলে সমাপ্তি ঘটেছে প্রতি মাসের গ্যাস বিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঝামেলার। গ্যাস বিল পরিশোধের সময় প্রতিবার-ই বিলের বই নিয়ে ব্যাংকে দৌড়াদৌড়িতে আলাদা সময় বেঁধে রাখতে হোতো। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের দৌলতে মোবাইল ব্যাংকিং-এর অগ্রযাত্রা গ্যাস বিল পরিশোধকে সহজীকরণে এনেছে যুগান্তকারী সাফল্য। মোবাইল অ্যাপগুলোর সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস রেহাই দিয়েছে গ্যাস বিলের বই হাতে ব্যাংক পর্যন্ত হেটে গিয়ে শত মানুষের ভীড়ে দাড়িয়ে থাকার হয়রানি থেকে। চলুন, জেনে নেয়া যাক অনলাইনে গ্যাস বিল জমা দেয়ার সেই পদ্ধতিগুলি।
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ-এর নিয়ম
বিকাশ-এ গ্যাস বিল পরিশোধ
ব্র্যাক ব্যাংকের এই পেমেন্ট গেটওয়েটি দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় মাধ্যম যা দিয়ে খুব সহজেই গ্যাস বিল জমা দেয়া যায়। শুধু তাই নয়, বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে গ্যাস বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে।
বিকাশের মাধ্যমে যে গ্যাস পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল জমা দেয়া যাবে সেগুলো হলো-
কর্ণফুলী গ্যাস, জালালাবাদ গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস, সুন্দরবন গ্যাস ও তিতাস নন মিটার্ড গ্যাস বিল। এখানে উল্লেখ্য যে তিতাস গ্যাসের প্রিপেইড কার্ডের বিল বর্তমানে বিকাশ দিয়ে পরিশোধ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
বিকাশ-এ বিনামূল্যে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায়। তাই গ্রাহকরা তাদের যে কোন মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় বিল হিসেবে গ্যাস বিল জমা দিতে পারবেন কোন চার্জ ছাড়াই।
তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২২ পর্যন্ত নতুন সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তা হলো- মাসের প্রথম পাঁচটি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনো রকম চার্জ প্রযোজ্য হবে না। সুযোগটি *২৪৭# ডায়াল করে কিংবা অ্যাপ দিয়ে উভয় মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। এমনকি এক্ষেত্রে বিলের পরিমাণের ক্ষেত্রে কোনো লিমিট প্রযোজ্য হবে না।
চলুন জেনে নেয়া যাক ধাপে ধাপে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে গ্যাস বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি।
বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্স্টল করে নিতে হবে। অতঃপর মোবাইল নাম্বার ও পাঁচ অঙ্কের পিন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার গ্যাস বিল জমা দেয়ার সময় পর্যায়ক্রমিক ভাবে যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা হলো-
১/ পিন দিয়ে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিণে প্রবেশ করতে হবে।
২/ পে বিল-এ গিয়ে নতুন স্ক্রিণে গ্যাস-এ ক্লিক করতে হবে। এ সময় নিচের দিকে গ্যাসের সকল পরিষেবাগুলো দেখাবে। সেখান থেকে গ্রাহক নিজের পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি বাছাই করে নিতে পারবে।
> কর্ণফুলী গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল এ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত নতুন গ্রাহক সংকেত নাম্বারটি দিতে হবে। তারপর দিতে হবে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর। সবশেষে পরবর্তী বিল পেমেন্টের জন্য এ্যাকাউন্টটি সেভ করে রাখুন অপশনটিতে টিক মার্ক দিয়ে রাখলে পরের মাসে বিল পরিশোধের সময় নতুন করে এই তথ্যগুলো প্রবেশ করাতে হবে না।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> জালালাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা এবং বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত গ্রাহক কোডটি দিতে হবে। এ অংশে পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> সুন্দরবন গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা এবং বিল এ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত নতুন গ্রাহক সংকেত নাম্বারটি দিতে হবে। যথারীতি পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> তিতাস নন মিটার্ড গ্যাস বিল-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা, বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত গ্রাহক কোড ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। যথারীতি পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
৩/ এবার বিকাশের পিন নাম্বার দিতে হবে।
৪/ পরের স্ক্রিণে বিল পরিশোধ নিশ্চিত করতে নিচের নির্দেশিত অংশটিতে ট্যাপ করে ধরে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিল জমা সম্পন্ন হবে।
৫/ চূড়ান্ত ভাবে একটি ডিজিটাল জমা রশিদ দেয়া হবে যেটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করে রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সমূহ
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য সহজ মাধ্যমগুলোর মধ্যে আছে সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ এবং ডিবিবিএল(ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট। এছাড়াও আছে রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশ, সাউথইষ্ট ব্যাংকের টেলিক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, এটুআই(অ্যাক্সেস টু ইনফর্মেশন প্রোগ্রাম)-এর একপে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাইকেশ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ, অগ্রণী ব্যাংকের দুয়ার এবং গ্রামীণফোনের জিপে।
২ বছর আগে