করারোপ
করারোপ তামাক সেবন বন্ধে একমাত্র পদ্ধতি না: ফরিদা আখতার
তামাক সেবন বন্ধে করারোপ অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হলেও একমাত্র পদ্ধতি নয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, আইনের মধ্যে তামাকের প্রচার, বিক্রয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সিগারেট কোম্পানিগুলো উৎসাহ এবং আকর্ষণ তৈরির ফলে তামাক সেবন এখনও কমাতে দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাহিদার বিপরীতে খাদ্যদ্রব্য অন্য বিভাগে পাঠাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে: ফরিদা আখতার
উপদেষ্টা বলেন, গবেষণায় বলা হচ্ছে দেশে ৩৫.৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করে থাকেন। এর অর্থ হচ্ছে দেশে প্রতি তিন জনে একজন তামাক সেবনকারী। এসডিজির অভীষ্ট ৩.৯ এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে তা কার্যকর করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও অবিলম্বে বাস্তবায়ন দরকার।
‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে ভীতি কাজ করে যে বেশি করারোপ করলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলো রাজস্ব কমানোর জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বহু গবেষণার পর্যবেক্ষণ হলো তামাক ব্যবহার কিছুটা কমবে তবে রাজস্ব বাড়বে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের তামাকবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা আন্দোলন করলে দেশের জনগণ আপনাদের কথা শুনবে ও আরও বেশি সচেতন হবে।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অজুহাতে ভয় দেখাচ্ছে ভারত: ফরিদা আখতার
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে বাংলাদেশে বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অল্প অল্প করে বাড়ানো হলেও বৃদ্ধির এ কৌশল কাঙ্ক্ষিত সুফল দিতে পারছে না। নিত্যপণ্যের যেভাবে দাম বেড়েছে, সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি।
তারা সিগারেটের ব্যবহার কমাতে ট্যাক্স বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিগারেট ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলে ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে।
৩১৯ দিন আগে
ফেসবুক ও গুগলের বিজ্ঞাপন আয়ের উপর ২০ শতাংশ করারোপ
ফেসবুক ও টেলিভিশন রেডিওসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে রাজস্বের ওপর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কর কাটতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে অনাবাসিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে রেমিট্যান্স (পেমেন্ট) পাঠানোর ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন থেকে আয় ফেরত দেওয়ার সময় বিদেশি কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
অর্থাৎ ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে এই কর দিতে হবে। 'টেলিভিশন-রেডিও' থেকে আয় নিলে ২০ শতাংশ কর দিতে হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
সার্কুলার অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে কোন বিজ্ঞাপন, প্রচার বা সামগ্রীর বিপণন ডিজিটাল মার্কেটিং হিসাবে বিবেচিত হবে।
এই ক্ষেত্রে, প্রযোজ্য করের হার ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫ শতাংশ। তবে টেলিভিশন বা রেডিওতে সম্প্রচারিত কোনও সামগ্রী বা বিজ্ঞাপন ডিজিটাল বিপণন হিসাবে বিবেচিত হবে না।
টেলিভিশন বা রেডিওতে প্রচারিত কোনো বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ক্ষেত্রে, করের হার ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাজার ভিত্তিক সুদের হার, জুলাই থেকে সমন্বিত বিনিময় হার: বাংলাদেশ ব্যাংক
৯৪২ দিন আগে
অনাবাসিক নাগরিকদের পরিষেবা মূল্যের ওপর নির্দিষ্ট হারে করারোপ বিবি’র
সেবার বিনিময়ে বহির্মুখী রেমিটেন্সের জন্য অনাবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে কর কেটে নেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বহির্মুখী রেমিটেন্সের জন্য কর কমানোর নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি ছিল।
বুধবার এ মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ একটি সার্কুলার জারি করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোতে পাঠায়।
অনাবাসীদের চালান মূল্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এনবিআরের চিঠির নির্দেশনা অনুসারে প্রযোজ্য হারে কর কেটে অবশিষ্ট অর্থ পাঠাতে হবে।
অনাবাসীকে সম্পূর্ণ বিল পাঠানোর ক্ষেত্রে, হিসাবকৃত বিলের ট্যাক্স কেটে রাখতে হবে এবং পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা সনদ থাকতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অনাবাসিক ব্যক্তিকে পরামর্শ সেবার জন্য ১০০ টাকা মূল্যের চালান পাঠান, তাহলে ব্যাংকগুলো ৮০ টাকা পাঠাবে, আর কর কাটবে ২০ টাকা।
কোনো ব্যক্তির পরামর্শ সেবা হিসাবে ১০০ টাকা নগদ মূল্য পাঠানোর ক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলো উৎস আয়কর সহ কর হিসাবে ২৫ টাকা কমিয়ে আনবে এবং অনাবাসী বিদেশি নাগরিকদের ৭৫ টাকা পাঠাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, অনাবাসীর নামে কর দিতে হবে।
উৎসে কর কেটে নেয়া ও জমার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে যে কোনো সময় তা আদায় করা যাবে। এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ খেলাপি পরিমাণে প্রতি মাসে ২ শতাংশ সহজ সুদের হারে পুনরুদ্ধারযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সাকিবের পিপলস ব্যাংক
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি সক্ষম বাংলাদেশ ব্যাংক
১৩৯৬ দিন আগে