আদালত চত্বর
আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রীসহ যেসব আসামির ওপর হামলা হয়েছে বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমি দু-তিনটা বড় দলের সঙ্গে কথা বলেছি যে তাদের কোনো কর্মী থাকলে যাতে থামানোর চেষ্টা করা হয়। দলগুলোও বলেছে যে তাদের যথেষ্ট পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। তারপরও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া থাকলে (দলগুলো বলেছে) তাদের কিছু করার নেই। তারা আরও চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রনালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ যেসব আসামিদের ওপর হামলা হয়েছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। আপনাদের কী মনে আছে, আপনাদের একজন অগ্রজ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে কীভাবে নির্মমভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছিল? তখন আপনারা কী এই প্রশ্নটি করতে পেরেছিলেন? আপনাদের টিভিতে দেখাতে পেরেছিলেন? একটি মন্ত্রিসভাকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে আসার দায় তো সাবেক সরকারের।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) মন্ত্রিসভার সদস্যদের এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, একটা জনরোষ তৈরি হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের ওপর তো জনরোষ ছিল না, তাকে রক্তাক্ত করা ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এভাবে অনেক সাংবাদিককে অপদস্ত করা হয়েছিল। আমি নাম নেব না। আপনারা তো রিপোর্টই করতে পারতেন না। আমি নাম নেব না, আপনাদের (সাংবাদিক) কারো কারো সরাসরি ইন্ধন ছিল এসব কাজে। এখন আপনারা প্রশ্ন তুলেছেন, আমি মনে করি আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য না।’
আরও পড়ুন: আশা করি সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হবে না: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে যারা চাকরি হারিয়েছেন, নিরাপত্তার ভয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, জীবিকা হারিয়ে ঢাকা শহরে লুকিয়ে থেকেছেন, গুম-হত্যার শিকার পরিবার তাদের ক্ষোভ, ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। তবে সেই বহিঃপ্রকাশকে সমর্থন করছি না, প্রশ্নই আসে না। পুলিশ প্রশাসন বাধা দিলে বা শক্তিপ্রয়োগ করলে তখন তো বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেবে।
পুলিশ খুব ডিমরালাইজড (মনোবলহীন) হিসেবে আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটা সাবেক সরকারের অবদান। তারা পুলিশকে এমন একটি গণশত্রু বাহিনীতে পরিণত করেছিল, পুলিশ সাহস করে তাদের বাধা দিতে পারে না। তখন বিক্ষুব্ধরা বলে ‘তোরা তো উনার (হাসিনার) পুলিশ।’ তারপরেও আমরা বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা করছি এ ক্রাউডটা (ভিড়) কীভাবে কমাতে!
নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৯০ দিনের একটি বাধ্যবাধকতা আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রথমে অনুধাবন করা উচিত, তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কী ছিল! ভুয়া নির্বাচন করা যাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল, তারা আগে নিজেরটা বিবেচনা করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটা লেখা দেখলাম, তিনি আগের সরকারকে স্বৈরাচারী-অগণতান্ত্রিক বলেছেন, তার আগে আত্মসমালোচনা করা উচিত, এ স্বৈরাচারী সরকার এসেছে, কার অভিভাবকত্বে? কাজেই তার কথায় আমাদের পরিচালিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট আইন বিশেষজ্ঞরা আছেন, আমরা সবসময় সবকিছু সবদিকে দৃষ্টি রেখেই করব। আমরা বিশ্বাস করি, ডকট্রিন অব নেসেসিটি বলে একটা কথা আছে। সংবিধান পরিবর্তন কীভাবে হয়েছিল, সেটা নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এখন এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
২ মাস আগে
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের এক জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত চঞ্চল ইলিয়াস ওরফে ইমরান (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আফজালের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হাতকড়াসহ পালানো সেই আসামি ৫ দিন পর গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে গাবতলী থানা পুলিশ গাড়িতে পাঁচজন আসামি নিয়ে আদালতে পৌঁছায়। আসামিদের গাড়ি থেকে নামানোর পর ইমরান হাতকড়া রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালত চত্বর থেকে পলাতক আসামিকে আজ সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তার বিরুদ্ধে গাবলতলী মডেল থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে।
এর আগে, শনিবার জেলার গাবতলী উপজেলার চকবোচাই এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেলো আসামি!
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
১ বছর আগে
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেলো আসামি!
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে গেছে চুরির মামলার আসামি। রবিবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া আসামি চঞ্চল ইলিয়াস ওরফে ইমরান (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আফজালের ছেলে।
আরও পড়ুন: হাতকড়াসহ আসামি পলায়নের ঘটনায় বরিশালে ২ পুলিশ বরখাস্ত
তার বিরুদ্ধে গাবলতলী মডেল থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে। শনিবার জেলার গাবতলী উপজেলার চকবোচাই এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার।
তিনি জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় আরও একটি মামলা করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিবার দুপুরে গাবতলী থানা থেকে পাঁচ জন আসামি বহনকারী গাড়ী আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। তখন আসামিদের নামানোর পর কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় ইমরান হাতকড়া রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ওই আসামির পেছনে ধাওয়া করেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবহেলা থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারীর মৃত্যু
১ বছর আগে
দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
চলতি বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির পলায়ন এবং এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারাকে ‘ব্যর্থতা’ বলেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
শনিবার রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে র্যাব মহাপরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করি। দুই জঙ্গি পালিয়ে গেছে; আমরা এটা অস্বীকার করছি না। দুই জঙ্গি (আদালত থেকে) এভাবে পালিয়ে যাওয়ায় এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
আরও পড়ুন:আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল, এবং আমরা এখনও তাদের খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল ইসলামের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০ নভেম্বর জঙ্গিদের সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পিটিয়ে এবং চোখে কিছু রাসায়নিক ছিটিয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে তাদের নিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:পুলিশ হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর দায় এড়াতে পারে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
১ বছর আগে
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় ১০ আসামির আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার দশ আসামিই জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
বৃহস্পতিবার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুনরায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আবদুর সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া।
২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আরাফাত ও সবুরকে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেল যোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
ঢাকার একটি আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার আল-ইসলামের সদস্যদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির পালানোর ঘটনা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রিজন সাব-ডিভিশন) এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার জাগৃতি পাবলিকেশন্সের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (ঢাকা সিএমএম কোর্ট) প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে দিয়ে জঙ্গি ছিনতাই: নাটোর আদালতে বিপুল নিরাপত্তায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরিফ
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: হিলি সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা
১ বছর আগে
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: কক্সবাজারে প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩, অস্ত্র জব্দ
কক্সবাজারে নারীকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৯ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ ওরফে মোস্তাক ডাকাত, একই এলাকার মো. শরীফ ওরফে শরীফ কোম্পানী ও নুরুল ইসলাম।
খায়রুল ইসলাম সরকার জানান, শনিবার ভোররাতে ঈদগাঁও উপজেলার নাপিতখালী এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আস্তানা থেকে মাটি খুঁড়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও বন দখলের একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্য দিয়ে এসব সন্ত্রাসীদের তৎপরতা কমে আসবে বলে আশা র্যাব-১৫ এর এ কর্মকর্তার।
উল্লেখ্য, গেল ১৪ মার্চ কক্সবাজারের আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন এক নারী। ওই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে ওই নারী। এ মামলায় এই তিনজনসহ আরও একজন এজাহার নামীয় আসামি রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আসামি আশিকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
২ বছর আগে
আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যাসহ ছয় মামলার আসামি লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার ধামরাই থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গেল বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জেলা কারাগার থেকে আদালত হাজিরার সময় পুলিশের হাত পালিয়ে গিয়েছিল লুৎফর।
গ্রেপ্তার লুৎফর রহমান দিনাজপুর সদরের শিকদারহাট এলাকার মোতাহার হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বন্ধুকে হত্যা ছাড়াও চুরি, ডাকাতি এবং হানাহাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গেল বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অ্যাডভোকেট ঝন্টু হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার জানান, বৃহস্পতিবার আদালত থেকে পালিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ঢাকার ধামরাই থানার কালামপুরের পৌঁছে স্থানীয় একটি ইটভাটায় ভাড়াটে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল লুৎফর রহমান। পরে খোঁজ খবর এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর দিনাজপুর থেকে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর দুলাল, কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নূর আলমসহ ১২ সদস্যের পুলিশ টিম মহানগর পুলিশের আরও ১০ সদস্যের সহযোগিতায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি জানান, আদালত চত্বর থেকে পালানোয় কেউ সহযোগিতা করেছিল কিনা? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লুৎফর পুলিশকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার আগে হ্যান্ডকাপ আলগা থাকায় সুযোগ বুঝে অল্প চেষ্টায় তা খুলে ফেলে। ভিড়ের মধ্যে মিশে আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে প্রথমে গোর এ শহীদ বড় ময়দানে পৌঁছে। রেল লাইন ধরে নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড হয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সৈয়দপুরে পৌঁছে। রাতে দুই কেজি গরুর মাংস কিনে পরিবারের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে পাশে আলাদা বাড়ি ভাড়া নেয়। কিন্তু গুছিয়ে উঠার আগেই পুলিশের কাছে ধরা পড়ে বিচারের জন্য আবারও কারাগারে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে চিচিরবন্দর থানায় একটি হানাহানির, আরেকটি চুরির মামলা ছাড়াও নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় একটি ডাকাতি ও চুরির এবং ফুলবাড়ী থানায় আরেকটি চুরির মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
২ বছর আগে