শেখ মুজিবুর রহমান
আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় পেতাম না।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে মহান বিজয় দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে- এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন নবনিযুক্ত ৪ রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারা হলেন- পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ এহ্মাদ মারুফ, মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমার মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি, হলি-সি ভ্যাটিকানের এপস্টলিক নানসিও কেভিন র্যান্ডাল এবং শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত ধর্মপালা বিরাক্কডি।
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রদূতগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সিইও মাশুরা হোসেন রাষ্ট্রদূতদের এ সময় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন।
পরে রাষ্ট্রদূতগণ পরিদর্শকের বইয়ে সই করেন।
এসময় রাষ্ট্রদূতগণকে জাদুঘরের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত
ডেনমার্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
১ বছর আগে
বুধবার শেখ রাসেল দিবস পালিত হবে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সারাদেশে ও বিদেশে দূতাবাসগুলোতে শেখ রাসেল দিবস পালিত হবে।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করা শেখ রাসেলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
সরকার ২০২১ সালে ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
এ উপলক্ষে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হবে।
সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আইসিটি বিভাগ ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
আরও পড়ুন: রংপুরের শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় বিআইসিসি থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় বিআইসিসিতে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদ্বোধন করবেন এবং শেখ রাসেল পুরস্কার-২০২৩ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ পুরস্কার বিতরণ করবেন।
তিনি শেখ রাসেল অ্যানিমেশন ল্যাব এবং অন্যান্য কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন এবং ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, রোবটিক্স কর্নার, ৫৫৫ জয় সেট সেন্টার, ডুআইসিটি#২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার এবং ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল দিবস ২০২৩-এর লোগোও উন্মোচন করেন পলক।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
ক্যানবেরায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’: দর্শকের মনে আরও গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু
সারাদেশে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি পেল বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় সাধারণত মধ্যাহ্নভোজের পরেই থাকে। এবারের চিত্রটাও তেমন।
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় আজ দুপুর ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টার শোতে দেখানো হয় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। প্রথম শো শেষ হয় প্রায় সন্ধ্যা ৬টায়। ততক্ষণে সাংবাদিকদের ভির জমে হল থেকে বাহির হওয়ার দরজায়।কারণ ভেতরে দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখছেন আরিফিন শুভ। এরইমধ্যে সবার জানা এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই চিত্রনায়ক।
শো শেষ হতেই হলভর্তি দর্শক বের হওয়া শুরু করল, সঙ্গে ছিলেন আরিফিন শুভ।এমন সময় মুজিব কোর্ট পরা একজন তরুণ দর্শককে দেখে এগিয়ে গেলাম। জানতে চাইলাম কেমন লাগলো সিনেমাটি?
তার ভাষ্য, ‘জাতির জনককে আমরা এতদিন পরে জেনেছি, এবার সিনেমার পর্দায় তাকে দেখে ভিন্ন এক বঙ্গবন্ধুকে মনে হয় চিনলাম। যা পড়েছি সেই ঘটনাগুলো যেন চোখের সামনে দেখছি। আরিফিন শুভকে ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে চরিত্রটিকে এতটা বাস্তব রূপে তুলে ধরার জন্য। এছাড়া অন্য চরিত্রেগুলো যারা আছেন সবাই দারুণ করেছেন।’
শিউলি আক্তার নামে একজন দর্শক এসেছেন তার সন্তানকে নিয়ে। সিনেমাটি দেখার পর অনুভূতি জানাতে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রত্যাশার চেয়েও বেশিকিছু পেলাম। মনে হলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি সিনেমা তো এমনই হবে। আমার সন্তানকে নিয়ে এসেছি আমাদের জাতির জনককে পর্দায় দেখাতে। আমাদের নতুন প্রজন্মের উচিত সিনেমাটি দেখা। যেহেতু বই পরার চর্চা এখন কমে গেছে, সেই জায়গা থেকে এই সিনেমায় যেহেতু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে তাই অনেক বিষয় জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় ৭টার শো দেখার জন্য দর্শক এরইমধ্যে প্রবেশ করছে তখন। মূল ফটকের সামনে বেশ ভিড়। তার সঙ্গে আরিফিন শুভ যেহেতু সেখানে তাকে ঘিরে ভক্তদের বাড়তি একটি ভিড় রয়েছেই। সিনেমা দেখার পর নায়ক যখন চোখের সামনে, তখন এমনটা যেন চিরচেনা চিত্র।
এদিক-সেদিক দেখতে দেখতে কথা হলো কলেজপড়ুয়া একজনের সঙ্গে। সিনেমার পর্দায় বঙ্গবন্ধুকে দেখে তার অনুভূতি জানতে চাইলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশি অনেক সিনেমা দেখি যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ককে দেখানো হয়। আমাদের দেশের সিনেমায় এই চর্চা খুব একটা নেই। গুটিকয়েক সিনেমায় দেখা গেলেও ঠিক যেন হয়ে উঠছিল মনে হয়নি। তবে এবারের অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। এই সিনেমা অনেক কথা বললো। শুধু গল্পের গাঁথুনি নয়, সিনেমাটির নির্মাণ ছিল আন্তর্জাতিক মানের। আর সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পর্দায় এতো ডিটেইলস দেখতে পেলাম। আরিফিন শুভকে বেশ মানিয়েছে। আর বেশ আবেগঘন অবস্থায় হল থেকে বের হয়েছি।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ট্রেলার প্রকাশে পর এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। কিন্তু মুক্তির পর চিত্রটা ভিন্ন। ছোট-বড় সকল দর্শকের মুখে প্রশংসা সিনেমাটি নিয়ে। কেউ বলছেন কেঁদেছেন আবার কারও মনে আরও গভীরভাবে গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু। এটিই হয়তো একটি সিনেমার স্বার্থকতা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ পরিচালনা করেছেন বলিউড পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।এতে বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন- নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক শিল্পী।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
প্রকাশ্যে এলো 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' সিনেমার গান
১ বছর আগে
প্রেক্ষাগৃহে ১৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুক্তি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক নিয়ে আলোচনা চলছে অনেকদিনই হলো। অপেক্ষা ছিল প্রেক্ষাগৃহে কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সেই অপেক্ষা শেষ হলো, আগামী ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) মুক্তি পাচ্ছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
এরইমধ্যে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি ট্রেইলার। যেটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে আলোচনা তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ।
এছাড়াও অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগর দেশের শতাধিক শিল্পী।
উল্লেখ্য, ভারতের মুম্বাইয়ে ‘মুজিব’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। শেষ হয় ওই বছরের ডিসেম্বরে।
আরও পড়ুন: 'বাঘা যতীন' লুকে দেবের চমক
নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
জাওয়ান: বাদশাহ তার ‘মুকুট’ নিয়ে ফিরল
১ বছর আগে
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোলের হার চূড়ান্ত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মূল টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি সজ্জিত ও প্রস্তুত। এটি দেশের প্রথম পানির নিচের টানেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে টানেলটি উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
পরের দিন থেকে সুড়ঙ্গটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যা এই অঞ্চলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবহন মাইলফলক হবে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে টানেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অসাধারণ প্রকল্পের উদ্বোধন পানির নিচে টানেলের যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের সূচনা করছে।
তিনি বলেন, এই ‘স্মরণীয় অর্জন’ দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে, যা জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, প্রাথমিকভাবে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, চলমান প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং থানা ভবনের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনসহ বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টানেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের পরও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
তিনি বলেন, একটি পুলিশ স্টেশন, একটি ডাম্পিং এলাকা এবং একটি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এর জন্য জায়গা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত এবং যারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন তাদের নিজস্ব গাড়ি থাকবে।
সচিব বলেন, নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টানেল এলাকার অভ্যন্তরে এবং এর আশেপাশে যানবাহন চলাচল পরিচালনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
টানেলের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
টানেলে কী ধরনের যানবাহন চলবে তা ঠিক করা হয়েছে। টোলও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু সচিব।
সেচিব বলেন, টানেলের ধারণাটি আমাদের কাছে নতুন। এজন্য এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি অন্যান্য সেতু বা রাস্তা থেকে আলাদা। সেক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টানেলেটি নিরাপদ থাকবে এবং যারা এটি ব্যবহার করবে তারাও নিরাপদ থাকবে।
হোসেন আরও বলেন, এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে দুই বা তিন চাকার গাড়ির জন্য এটি নিরাপদ।
টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশিদ ইউএনবিকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহরের পরিধি বাড়বে।
টানেলের এক প্রান্ত চট্টগ্রাম শহর এবং অপর প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার দিকে। টানেলের উন্নয়ন আনোয়ারাকে একটি ক্রমবর্ধমান শহরে রূপান্তরিত করছে। একই সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলায় জমির দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল হার
আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের টার্মিনাসে যাওয়ার রাস্তার দু'পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প কারখানা। টানেলটি চালু হলে কর্ণফুলী নদী পারাপারের সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩ মিনিটে।
যেহেতু সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টানেলটি রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি পর্যটন নগর কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।
মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং দুটি চার লেনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।
এ ছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার থাকবে।
টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম বা উত্তর টানেলের বোরিং শুরু করেন।
২০১১ সালে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ২০১৪ সালে একটি সমঝোতা স্মারকের পর ২০১৫ সালের ৩০ জুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে মোট ১০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
টানেলের নির্মাণকাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।
কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের অনুরূপ ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহারে মোট ১২ ধরনের যানবাহনে টোল চার্জ দিতে হবে। প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টোল ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পিকআপ ট্রাককে প্রতি ক্রসিংয়ে ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ২৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হবে।
৩১টির কম আসনের বাসগুলোর ৩০০ টাকা এবং ৩২টির বেশি আসনের বাসগুলোর ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা দিতে হবে। তিন এক্সেল কনটেইনার ট্রেইলারের জন্য ৮০০ টাকা।
চার এক্সেলের একটি ট্রেলারের জন্য ১ হাজার টাকা। তবে প্রতিটি অতিরিক্ত এক্সেলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে।
টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালুর দিন থেকে টোল হার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালে হত্যার মূল হোতাদের সম্পর্কে জনগণের জানা উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টারমাইন্ড (কুশিলব) চিহ্নিত করা উচিত...আমাদের জানতে হবে পর্দার আড়ালে থেকে কারা সাহায্য করেছিল এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী ছিল।’
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া গেলেও কয়েকজন খুনি এখনো পলাতক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুনিদের চিহ্নিত করেছি যারা এখনও পলাতক রয়েছে এবং আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করার আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হৃদয়ে রেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে। আমরা তা দেখতে পেরেছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য দুষ্কৃতীরা বারবার টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর আরেকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনতে যা করার করব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাই এটা সম্ভব করেছে।
আইজিপি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানব উন্নয়নের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রয়োজন। তাই, তিনি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।’
আইজিপি বলেন, তারা স্মার্ট পুলিশ গড়তে চান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের রসদসহ সবকিছু দিয়েছেন। আমরা ইতো্মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছি। আমরা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে এই দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আবারো পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো অপকর্ম এবং দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার যে কোনো অপচেষ্টা রুখতে প্রস্তুত রয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তৎকালীন কলকাতা দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, শৈশব থেকে ছাত্রজীবন পর্যন্ত অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যে বঙ্গবন্ধু একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘জাতির পিতাকে নিয়ে আমি গর্বিত। তার উপস্থিতিতে ছয়বার থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে- স্বাধীনতার আগে দুবার এবং স্বাধীনতার পর চারবার।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে। বঙ্গবন্ধু আমাকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) পাবনা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।’
‘মুজিব ভাই’ অ্যানিমেশন মুভিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের প্রয়াস হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুভিটির পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আইসিটি বিভাগ প্রযোজিত অ্যানিমেশন মুভি 'মুজিব ভাই' বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর
অ্যানিমেশন হলো একটি মজার এবং শক্তিশালী মাধ্যম, যা কার্টুন, ফিল্ম ও গেমিং শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
অ্যানিমেশনে বিষয়বস্তুর কল্পনাপ্রসূত চিত্র, বিশেষ ইফেক্ট, আলো, সঙ্গীত ও ভয়েস ওভার ব্যবহার করে গল্প বলা হয়।
এটি বিজ্ঞান, শিল্প, কৌতুক, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং আরও অনেক কিছুর একটি সমন্বিত সৃষ্টি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুজিব ভাই’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনযাত্রা, সংগ্রাম ও দেশবাসীর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ও মর্মস্পর্শী প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও আইসিটি বিভাগের সচিব, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দোয়ার আয়োজন
তথ্য-প্রযুক্তিসহ পেশাগত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিচারকদের দক্ষ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। আর এখন তার সন্তানরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংগ্রামের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধু জীবনে কখনো কোনোদিন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে ঘোষণাপত্র, ইস্তেহার ও স্বাধীনতার ঘোষণা মেনেই রাজনীতি করার সুযোগ আছে। এর ব্যত্যয় ঘটালে দেশে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সেই সময় দেশে জিয়াউর রহমান সান্ধ্যআইন জারি করেছিলেন। যার কারণে সাধারণ জনগণ রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। অথচ তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলে দেশি-বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে আর মিথ্যাচার করছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সিভিল সার্জন ডা. বোরহান উল ইসলাম, উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রের সুনিল অর্থনীতি বাংলাদেশকে ধনী দেশে পরিণত করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা দুইবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রথমে সরকার প্রধান এবং পরে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে একটি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বিউগল বাজান।
১ বছর আগে