প্রত্যাখ্যান
পুতিন কি রাজি হবেন এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে?
যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন সম্মতি দেওয়ার পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কী যুদ্ধবিরতিতে সায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সুযোগটি কাজে লাগাবেন, নাকি প্রত্যাখ্যান করবেন?
সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এক মাসের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। এরপরে রাশিয়াকেও একই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানিয়েছেন, শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেনকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এরইমধ্যে ইউক্রেন এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, যদি রাশিয়াও শান্তির হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে এতদিনের চলমান যুদ্ধ বন্ধ হতে খুব বেশি দেরি নেই। কিন্তু রাশিয়া যদি এ প্রস্তাব মেনে না নেয়, তাহলে শান্তি আলোচনায় অনিশ্চয়তা দেখা দেবে বলে মত দেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বিরতিতে রাশিয়ার রাজি হওয়া না-হওয়া বহুমুখী হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করছে।
চলতি বছর জানুয়ারি অবধি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে এসেছেন, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগ্রহ তার নেই। যদি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেই হয়, সেটি হতে হবে স্থায়ী সমাধান।
বর্তমানে যুদ্ধে অনেকটাই কোণঠাসা ইউক্রেন, রাশিয়ার সেনারা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া পুতিন বারংবার বলেছেন, সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন। এই পরিস্তিতিতে পুতিন কি ট্রাম্পের মন রাখবেন, নাকি যুদ্ধ চালিয়ে ইউক্রেনে জয়ের পথেই হাঁটবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
মূলত, জানুয়ারির ২০ তারিখ ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। বিশেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একান্ত ফোনালাপ এবং এরপর একের পর এক রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিনিদের বৈঠকই চলমান যুদ্ধের আশু সুরাহার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন কূটনীতিবিদরা।
তবে রাশিয়ার পদক্ষেপ এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তারা। সৌদিতে বৈঠকের পর বেশ কৌশলের সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য জানানো হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বলেই রাশিয়া এমন কৌশলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: মুখোমুখি বসবেন ট্রাম্প-পুতিন, চলছে প্রস্তুতি
রুশ-মার্কিনিদের সাপে-নেউলের সম্পর্কের বাইরে গিয়ে ট্রাম্প-পুতিন সখ্য কিন্তু বিশ্ব পাড়ায় মোটেই অজানা নয়। তবে এই সখ্যই সব নয়: এর বাইরে আছে ইউক্রেনের খনিজের প্রতি ট্রাম্পের চোখ আর কিয়েভের ভূমির ওপর পুতিনের লোভ।
শেষ কদিনের যুদ্ধে ভালোই এগিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরুস্কের বেশিরভাগ এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে। দর কষাকষিতে কুরুস্ককে নিজেদের হাতে রাখতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে দিনদিন তা কঠিন হয়ে উঠছে তার সৈন্যবাহিনীর জন্য।
আবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্স এবং খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা ত্যাগের মতো ঘটনা এতদিন জেলেনস্কিকে ভালোই ভুগিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, শান্তি চুক্তির প্রতি যতদিন না আগ্রহ দেখাবে ইউক্রেন, ততদিন বন্ধ থাকবে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে জেলেনস্কির।
কিন্তু পুতিন কেন আপস করবে? বাইডেন প্রশাসনের সময়ে হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞার ভারেও নতজানু না হওয়া পুতিন কেন এত সহজে রাজি হবে যুদ্ধবিরতিতে?
এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি এস পেশকভের সাক্ষাৎকারে। পেশকভ জানিয়েছেন, জেদ্দার আলোচনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করছে মস্কো। এখনি হলফ করে কিছু বলা না গেলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের আরেক দফা ফোনালাপের পর রাশিয়া নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে।
প্রথমবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে রাশিয়ার ইতোমধ্যে দখলকৃত ইউক্রেনের ভূমি নিয়ে ফয়সালা, কোনোভাবেই ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান করতে না দেওয়ার ওয়াদা এবং পূর্ব-মধ্য ইউরোপে ন্যাটোর হম্বিতম্বি কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুতিন জোরালো দাবি তুলেছেন বলে জানা যায়।
চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আবারও পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন তিনি। বার্তাসংস্থা এপির নিশ্চিত করা এই তথ্য থেকেই চূড়ান্ত দর কষাকষির আভাস পাচ্ছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার তার বক্তব্যে আভাস দিয়েছেন, এই চুক্তিতে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে। এতদিন ইউক্রেন ছাড় দিতে রাজি না থাকলেও এবার বাধ্য হয়েই আপসের পথে হাঁটতে হতে পারে দেশটি।
রুশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিয়া গ্রাশ্চিনেকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাদা চোখে এই চুক্তিতে কারও বিজয় হয়নি মনে হলেও রাশিয়া কৌশলগত বিজয় নিশ্চিত করেই চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মতি দেবে।’
রাশিয়া কৌশলগত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এ কথা উঠে এসেছে মস্কোর সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। বলা হয়েছে, রুশ প্রতিনিধিরা জেদ্দায় না থাকলেও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান জন র্যাটক্লিফ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রুশ প্রশাসনের সঙ্গে।
উপরন্তু ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ গত মাসেও রাশিয়ায় পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন এবং আগামীতেও তার রাশিয়া সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো তা হলো, এই পুরো আলোচনায় ইউরোপকে তোয়াক্কাই করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।
ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। ন্যাটো নিয়েও ট্রাম্প খুশি না; শপথ নিয়েই দাবি জানিয়েছেন ন্যাটোর বাজেট বাড়ানোর। আবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ওভালকাণ্ড: পুতিনের পৌষমাস, জেলেনস্কির সর্বনাশ!
এদিকে ডেনমার্কের থেকে গ্রিনল্যান্ড আদায় চেষ্টার ইস্যুতেও ইউরোপের সঙ্গে কয়েক দফা মন কষাকষি হয়েছে ট্রাম্পের। সব মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ভেঙে রাশিয়ামুখী হওয়াকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কংগ্রেস সদস্য ভালো চোখে না দেখলেও, এটাই এখন বাস্তব।
এই বাস্তবতার ভিতকে পুঁজি করেই রুশ কূটনৈতিক বিশ্লেষক স্যামুয়েল শ্যারাপ বলেন, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে বর্তমানে মস্কোর সম্পর্ক যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যকার উষ্ণতার বিচার-বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে তা মস্কো মেনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
শুরুতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের পথ রচিত হলেও পরবর্তীতে হয়তো এই এক মাসের যুদ্ধবিরতিই স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করবে এবং তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান হবে বলে মত আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।
৫ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের নেতারা।
প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'এ বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন করছেন, বিশেষ করে সাংবাদিক বন্ধুরা। আমরা এই খুনি সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপে বসতে রাজি নই; আর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে শহীদ মিনারে রিকশাচালকদের ভিড়
আসিফ তার পোস্টে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি খুব স্পষ্ট; তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনগণের সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। বুলেট ও সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি সমাধানে শিক্ষার্থীদের সংলাপের জন্য গণভবনের দরজা সব সময় খোলা।
তিনি বলেন, 'গণভবনের দরজা খোলা, যখনই আন্দোলনকারীরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে চায়, আমি তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
২২৮ দিন আগে
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখ্যান
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন মো. নূরুল হুদা নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ভালো ফল অর্জন সত্বেও নিজে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির কাছে হার মেনেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্বর্ণপদকও ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নূরুল হুদা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যানের এই ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল হুদা বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করছি।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
নূরুল হুদা লালমনিরহাট জেলার মৃত আহর উদ্দীনের ছেলে। তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভর্তি হন। এলএলবিতে (সম্মান) সিজিপিএ-৩.৬৫৪ এবং এলএলএমে ৩.৬০৭ অর্জন করেন।
এলএলবি পরীক্ষার ফলাফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করায় ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
নুরুল হুদা জানান, ২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করেন তিনি। নিয়োগ বোর্ড বসার আগে বোর্ডের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও বিভাগীয় তৎকালীন সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ করেন। এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া নুরুল হুদার চেয়ে যাদের জিপিএ কম এমন তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি নিয়োগ বোর্ডকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত ইউজিসির তদন্ত কমিটির সামনে ২০২০ সালের ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর উপস্থিত হয়ে আমি ও আমার স্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরি। ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১ ও ২ নম্বর পর্যবেক্ষণে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
৪৩১ দিন আগে
জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করল না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো সহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’
নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
৪৩৫ দিন আগে
ইসি ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান বিএনপির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা চরম ঘৃণার সঙ্গে তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি।’
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার: বিএনপির কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সমগ্র জাতিকে উপহাস করেছেন।’
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
চট্টগ্রামে বিএনপির ৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা: ১২ জন গ্রেপ্তার
৪৯০ দিন আগে
বিএনপির অবরোধ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বিএনপির অবরোধ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। অবরোধ মানুষ মানে না।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকালে রংপুরের কালীগঞ্জের গোড়ল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আট বিভাগে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে জনগণের আস্থা পাওয়া যাবে না। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শান্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, কেউ যাতে কোনোভাবে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের সব প্রত্যাশা পূরণ করা হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
মানবকল্যাণ পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
৪৯৪ দিন আগে
বাংলাদেশে গণহত্যা প্রত্যাখ্যান ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে: ওয়েবিনারে বক্তা
কানাডার রাজধানী অটোয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এবং কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডার (সিআরআরআইসি) সহযোগিতায় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস) ‘ডিনায়াল অ্যান্ড রেকগনিশন: দ্য কেস অব বাংলাদেশ জেনোসাইড’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার আয়োজন করে।
কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর) কর্তৃক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি ও প্রদর্শনের বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিসিবিএস’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. খলিলুর রহমান, কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ও পরিচালক অধ্যাপক ড. অ্যাডাম মূলার, কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের কিউরেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. জেরেমি ম্যারন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), রোটারি পিস ডে’র প্রতিনিধি গ্যারি সেনফ্ট, বিংহামটনের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের ভিজিটিং স্কলার ড. তাওহীদ রেজা নূর এবং সিআরআরআইসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. হেলাল মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন গণহত্যার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব এবং একটি জাতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংগঠিত এই সহিংসতার ব্যাপকতার কারণে এর বৃহত্তর স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের ভয়াবয় অভিজ্ঞতা এখনো আমাদের জাতির সম্মিলিত স্মৃতিতে প্রোথিত এবং এর প্রভাব একটি প্রজন্মকে আঘাত করেছে।
তিনি বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিহাসের এই অন্ধকার অধ্যায়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং গণহত্যার প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য সিএমএইচআরকে অনুরোধ করেন।
কি-নোট বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর অ্যাডাম মুলার গণহত্যার যারা শিকার হয়েছেন তাদের পরিচিতি গঠনে ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে তার প্রত্যাখ্যান যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর শিকার হয়েছেন তাদের ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি অপরাধীদের দায়মুক্তির ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, শাস্তি ও জবাবদিহি ভবিষ্যতের গণহত্যা প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি এবং এক্ষেত্রে দায়মুক্তি ভবিষ্যৎ গণহত্যার ক্ষেত্রে অনুঘটক।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ঢাকায় এসডিজি সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন আজ
কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিনিধি জেরেমি ম্যারন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অস্বীকার এবং বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি তাদের ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ গ্যালারিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যা সম্পর্কিত নতুন বিষয়বস্তু তৈরির জন্য জাদুঘরের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, অতীতের গণহত্যাকে অস্বীকার করলে তা ভবিষ্যতে তাদের পুনরাবৃত্তিতে ইন্ধন যোগায়।
৭১’ এর গণহত্যার বিশ্বব্যাপী প্রচার ও স্বীকৃতির জন্য তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসকে অতি দ্রুত ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ গ্যালারি উন্মুক্ত করতে অনুরোধ করেন এবং এই উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সহযোগী সকল সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।
ওয়েবিনারে উপস্থিত সকল বক্তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত ১৯৭১ সালের ভয়াবহতাকে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের নৃশংসতা যাতে আর না ঘটে সেলক্ষ্যে কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস এই ইতিহাস দ্রুত প্রদর্শনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
৫৪২ দিন আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রত্যাখ্যান করেছে টিআইবি
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রত্যাখ্যান করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, ঝুঁকির মুখেই থাকছে মত প্রকাশ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) টিআইবি বিশেষজ্ঞরা জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর খসড়ায় বিতর্কিত 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের-২০১৮' বিতর্কিত ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও শাস্তি ও জামিন অযোগ্য ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
খসড়াটি আইনে পরিণত হলে কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে মতামত ও তথ্য প্রকাশ করলে আইনি হয়রানির শিকার হবেন বলে জানান তারা।
বুধবার টিআইবির ধানমণ্ডিস্থ কার্যালয়ে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন: একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের।
তুলনামূলক পর্যালোচনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম এবং ডেটা প্রোটেকশন অফিসার ড. মো. তরিকুল ইসলাম।
প্রস্তাবিত আইনের ৮, ৯, ১০ ও ১১ ধারায় বলা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিটিআরসিকে উপাত্ত ও তথ্য দুটোই মুছে ফেলতে বলবে এবং ৮(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো তথ্য দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ বা ঘৃণা সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নিতে পারবে।
এই আইনে এই বিষয়গুলোর কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, তাই এখানে ব্যাখ্যা ও ভুল ব্যাখ্যার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যাখ্যার উপর নির্ভর করতে হবে, যা খুবই বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব না করে সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ ও জালিয়াতি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হওয়া দরকার।’
সাইবার সিকিউরিটি পলিসি অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে সাইবার স্পেসে নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে যেসব সাইবার ক্রাইম হয়েছে তা থেকে বোঝা যায় আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়েনি এবং আমরা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছি।
যদিও প্রস্তাবিত আইনটি সাইবার নিরাপত্তার জন্য কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে, খসড়াটি প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা গেছে, শিরোনামটি পরিবর্তিত হয়েছে, তবে উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলোতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া সংসদে পাস হলে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইনে পরিণত হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি থাকবে এবং এর ফলে সংবিধান প্রদত্ত জনগণের মৌলিক অধিকার লুণ্ঠিত হবে।
খসড়া আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, বিবেক, চিন্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই কার্যকর থাকবে। সুতরাং এটা ভাবা অযৌক্তিক নয় যে এটি তার পূর্বসূরীর মতো একটি সীমাবদ্ধ আইনে পরিণত হতে চলেছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি বলে দেয়, আমরা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বর্ণিত মতপ্রকাশ, বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের অধিকারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পর্যায়ে চলে যাচ্ছি। অতএব, আইনটি যে স্তরে রয়েছে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তিনি সংশ্লিষ্ট খাত, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে খসড়া আইনটি পর্যালোচনাকরার পরামর্শ দেন।
৫৬৭ দিন আগে
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ডাককে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনের’ সময় যেমনটা করেছিল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকও সেভাবেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি ১০ ডিসেম্বরের জন্য (বিএনপির পক্ষ থেকে) বিশাল ঘোষণা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করেছে, যারা (অতীতে) জাল ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। দেশের মানুষ এখন তাদের শুধু প্রত্যাখ্যান করেনি, ১৯৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনও ভোটার ওই নির্বাচনে সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, ভোট কারচুপির মাধ্যমে তারা জাতির পিতার খুনি রশিদ ও বজলুল হুদাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ সেই নির্বাচনকে শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি, তারা আন্দোলনও শুরু করেছিল যা দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে খেলা করা বিএনপির চরিত্র। তারা জনগণের দল নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না, ক্ষমতাই তাদের লুটপাটের হাতিয়ার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাদের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এর মানে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখনই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অর্থই হলো- জুলুম-নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও বাংলা ভাই।
আরও পড়ুন: সংসদীয় গণতন্ত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় জাপাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
৮২৫ দিন আগে
বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান সরকারের
সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘বিরোধী রাজনীতিবিদদের হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। গণগ্রেপ্তার এবং পুলিশি অভিযানের অভিযোগ সত্য নয়, এমন কিছু হচ্ছে না।’
সোমবার প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে যে কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের হয়রানি করছে।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবিকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা নিছক অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়।
এইচআরডব্লিউ’র এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএনবিকে বলেন, পুলিশের কিছু নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং কখনও কখনও তারা নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগই পুলিশের বিশেষ শাখা এই কাজ করে। কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পেলে, বিশেষ শাখার সদস্যরা সত্য জানতে তাদের পরিবারের কাছে যান। এটি তাদের রুটিন ওয়ার্ক, অন্যথায় নয়।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার ও পুলিশি অভিযানের অভিযোগ বিএনপি ও জামায়াতের অপপ্রচার।’
নিউইয়র্ক-ডেটলাইন দিয়ে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলেছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত আইনের শাসনকে সম্মান করা এবং রাজনৈতিক বিরোধী সমর্থকদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষা করা।
এতে বলা হয়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণগ্রেপ্তার এবং বিরোধী দলের সদস্যদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানো সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র যা নির্বাচন পরিচালনা করতে এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করতে সক্ষম। কিন্তু এর আগের নির্বাচনগুলিতে সহিংসতা, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হামলা ও গ্রেপ্তারের সাম্প্রতিক ঘটনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশুভ সুর তৈরি করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ আগস্ট থেকে বিএনপি জ্বালানি ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিক বিক্ষোভ শুরু করে। তখন থেকে পুলিশ, বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন মারা গেছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সংঘর্ষের পর কর্তৃপক্ষ বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে গণমামলা দিয়েছে। এটি বিএনপির একটি বিবৃতিকে প্রতিধ্বনিত করেছে যে তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বড় সংখ্যক ‘অজ্ঞাতনামাদের’ বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ বাংলাদেশে একটি সাধারণ অবমাননাকর অভ্যাস, যা পুলিশকে কার্যত যে কাউকে গ্রেপ্তারের জন্য ভয় দেখাতে, হুমকি দিতে এবং আটক ব্যক্তিদের বারবার গ্রেপ্তার করতে অনুমতি দেয়। এই মামলায় তারা অভিযুক্ত না হয়েও অনুরোধ করে জামিন পেতে ব্যর্থ হন।
মীনাক্ষী বলেন, মার্কিন মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞা এবং আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি আরও নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কূটনীতিকদের উচিত প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করা যে এই ধরনের দমন-পীড়ন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮৯১ দিন আগে