দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্বামীর পর না ফেরার দেশে দগ্ধ স্ত্রী
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বিসিক শিল্পাঞ্চলে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ বাচা চৌধুরী (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে একই ঘটনায় তার স্বামী মানব চৌধুরীও মারা যান। এ নিয়ে এই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুইজনে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাচা চৌধুরীর মারা যান।
তিনি সুনামগঞ্জ জেলার সুলা থানার বলরামপুর গ্রামের ননীগোপাল মজুমদারের মেয়ে। পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর বিসিক শিল্পাঞ্চলের তিন নম্বর গলির একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন বাচা- মানব দম্পতি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বাচা চৌধুরীর শরীরে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। রোববার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গতকাল তার স্বামী মানব চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
তিনি আরও জানান, দম্পতির তিন মেয়ে— মুন্নি (১৪), তিন্নি (১২) ও মৌরি (৬)—এই বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে মুন্নির শরীরের ২৮ শতাংশ, তিন্নির ২২ শতাংশ এবং ছোট মেয়ে মৌরির ৩৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাসায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
১০০ দিন আগে
সোনারগাঁয়ে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বিসিক এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ এক পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
দগ্ধরা হলেন— তিন্নি, মুন্নি, মৌরি, মানব চৌধুরী ও বাচা।
তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছেন মানব চৌধুরী। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মানব চৌধুরীর স্ত্রী বাচার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর তাদের তিন সন্তান মৌরির ৩৬ শতাংশ, মুন্নির ২৮ শতাংশ ও তিন্নির শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গুরুতর দগ্ধদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
১০৪ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের নয়জন দগ্ধ হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাজিল গ্রামে একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন— দিনমজুর তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫) এবং তাদের সন্তান তৃষা আক্তার (১৭) ও আরাফাত (১৫); অন্যদিকে আরও এক পরিবারের দিনমজুর হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২) এবং তাদের তিন সন্তান—মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪) এবং ইমাম উদ্দিন (১ মাস)।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার জানান, আজ (শনিবার) মধ্যরাতের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নারী ও শিশুসহ মোট নয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাসানের শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ, জান্নাতের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ, মুনতাহার শরীরের ৩৭ শতাংশ দগ্ধ, সালমার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ, ইমাম উদ্দিনের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ, আরাফাতের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ, তৃষা আক্তারের শরীরের ৫৩ শতাংশ দগ্ধ, আসমার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ সময় তানজিল ইসলাম নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রকিবুল বলেন, ‘আমার বড় ভাই ও তার ভায়রা ভাই দিনমজুরের কাজ করতো। তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার আধা সেমি পাকা একটি বাসায় দুই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। রাতে তাদের ঘরে লাইনের গ্যাস থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আমার ভাই, ভাবি ও তাদের শিশু সন্তান এবং আমার বিয়াইয়ের স্ত্রী ও সন্তানসহ মোট নয়জন দগ্ধ হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।’
১১৬ দিন আগে
গেন্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ: না ফেরার দেশে দগ্ধ মেসবাহ
রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন।
গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গেন্ডারিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেজবাহ মারা যায়। তার শ্বাসনালী ও পুড়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, মেজবার বাবা মোসলেম উদ্দিনের শরীরের ৯০ শতাংশ ও মা সালমা বেগম ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
নিহত মেসবাহর বোন তাসনুভা বলেন, ‘আমার বাবা-মা ভাইসহ গেন্ডারিয়ার হরিচরণ রোডের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। বাসার পাশেই বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। মাঝরাতে হঠাৎ ট্রান্সফরমারে একটি বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাবা-মা ও ভাই তিনজনই দগ্ধ হয়। আজ (গতকাল) ভোরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে আমার ভাই মেজবাহ মারা যায়।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গেন্ডারিয়া হরিচরণ রোডের বাসায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়েছিলেন— মোসলেম উদ্দিন (৬৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৫০) ও তাদের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন (২৮)।
১১৬ দিন আগে
সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
সিলেটের শাহপরান এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের দুই শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— পারভেজ, তার স্ত্রী ফারহানা, বড় ছেলে মোহাম্মদ (৬), ছোট ছেলে মারওয়ান (২) এবং আত্মীয় হেনা।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখায় ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
দগ্ধদের ঢাকায় নিয়ে আসা সাইদুল ইসলাম জানান, গতকাল (শনিবার) রাতে শাহপরান এলাকার একটি দোতলা বাসায় রান্নার সময় সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারের সদস্যরা আগুনে দগ্ধ হন। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে পারভেজের শরীরের ১৫ শতাংশ, ফারহানার ১০ শতাংশ, মারওয়ানের ১৭ শতাংশ, মোহাম্মদের ৪ শতাংশ এবং হেনার শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি দুইজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’
১২৯ দিন আগে
যাত্রাবাড়ীতে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় মশার কয়েল ধরানোর পর বিস্ফোরণ ঘটলে এক শিশুসহ এক পরিবারের তিন সদস্য মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ৩১/১ নম্বর শহিদ ফারুক রোডের একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটি খাদেমুল কোরআন মহিলা মাদরাসা গলির পাশে অবস্থিত।
দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন— রিপন মিয়া (৪০), তার স্ত্রী ইতি বেগম (৩০) ও মেয়ে রাফিয়া (৪)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধ প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা সবাই বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, কলেজছাত্রী দগ্ধ
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রিপনের শরীরের ৭০ শতাংশ, ইতির ৪৫ ও রাফিয়ার ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রিপনকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ), ইতিকে ইনস্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ও তাদের মেয়ে রাফিয়াকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ঘরে মশার কয়েল জ্বালানোর পরই আগুন লেগে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
১৬০ দিন আগে
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, কলেজছাত্রী দগ্ধ
গাজীপুরে বাসাবাড়ির গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে এক কলেজ ছাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) ভোরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ড বাজার এলাকার একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ মুক্তা আক্তার (১৮) ওই এলাকার নান্টু মিয়ার মেয়ে।
গাজীপুরের ভোগড়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হাসান বলেন, বোর্ড বাজারের কলমেশ্বর এলাকার ৭ তলা ভবনে গ্যাসের পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হয়। ভবনের দরজা, জানালা বন্ধ থাকায় নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। ভোরে মুক্তা আক্তার চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরের দরজা জানালা উড়ে যায় এবং তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
১৬৮ দিন আগে
পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ: হাজারীবাগে দুই শিশুসহ দগ্ধ ৪
রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসায় পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
আহতরা হলেন- মো. জিয়াউর রহমান (৪৫) ও তার দুই মেয়ে ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪) এবং ট্যাংক পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক বেলাল হোসেন (২৮)।
আরও পড়ুন: এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শাহপরান জানান, চাচার বাসায় বেলাল হোসেন নামের এক শ্রমিক ট্যাংক পরিষ্কার করছিলেন, এ সময় চাচা জিয়াউর রহমান ট্যাংকে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব চালু করার পরই এ বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এমনটা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘বেলাল হোসেনের শরীরের ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং রাইফার ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
১৭১ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মঞ্জু টেক্সটাইল মিলে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (১ মে) এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন— হিসাব বিভাগে কর্মরত সাইফুল ইসলাম (২০), নিরাপত্তাকর্মী মো. হান্নান (৫২), নিরাপত্তাকর্মী মো. কবির (৪৫) এবং সাইফুল নামে আরেকজন।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কাজীপাড়া এলাকায় মঞ্জু টেক্সটাইল মিলে চারজনই কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ মিলের ভেতর গ্যাসলাইন থেকে বিস্ফোরণে তারা দগ্ধ হন।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে কারখানার গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে নিহত ৪
জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে একজনের দুই শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের একজনের ৫৩ শতাংশ, ৪০ শতাংশ ও ৩৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
তাদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
২২৯ দিন আগে
কলকাতার হোটেলে আগুনে পুড়ে নিহত ১৪
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি হোটেলে আগুন লেগে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতাল এবং নীল রতন সরকার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কলকাতার ঋতুরাজ হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ১৪ জনের লাশ মিলেছে। বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের জন্য রাজ্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজরদারি কঠোর করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। কলকাতা করপোরেশনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আগুন লেগেছে, অনেক মানুষ এখনও ভবনে আটকে আছেন। কোনো নিরাপত্তা বা সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আমি জানি না করপোরেশন কী করছে!’
২৩১ দিন আগে