দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানার জেনারেটর রুমে পাইপ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার নরসিংপুর এলাকার জার্জিজ কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ নামে ওই কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- ওই এলাকার হারুনের ছেলে হায়দার ও ভোলাইলের গেদ্দার বাজার এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মিলন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে কারখানা চলা অবস্থায় হঠাৎ জেনারেটর রুমে পাইপ বিস্ফোরণ হয়। এসময় শ্রমিকদের মধ্যে ছুটাছুটি শুরু হয়। পরে সেখান থেকে দগ্ধ অবস্থায় দুইজন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন বলেন, ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। কারখানাটির জেনারেটর রুমের গরম বাতাস বাইরে বের হওয়ার জন্য ব্যবহৃত পাইপ লাইন থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
তিনি আরও বলেন, তবে আমাদের দল সেখানে যাওয়ার আগে কারখানার লোকজন নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম খান বলেন, এ ধরনের কোনো খবর আমাদের জানা নেই। কেউ আমাদের জানায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে জেনারেটর বিস্ফোরণে আহত ৯
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
সিলেট নগরীর মিরাবাজারে বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধ আরও দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হলো। ৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
নিহত দু’জন হলেন- সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪১)। তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মারা যান তারেক। আর সোমবার সকালে মারা যান বাদল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, তারেক ও বাদল উভয়ের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিজ ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরের মিরাবাজার এলাকার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ওই ফিলিং স্টেশনের সাতজন কর্মচারী ও দু’জন পথচারী দগ্ধ হন।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত সিলেট তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দু’টি ইউনিট ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, পাম্প বন্ধের সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলিং স্টেশনটির কম্প্রেসার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কম্প্রেসার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেলাল আহমদ বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। এ কারণে আগুন লাগে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বলতে হবে।
ফিলিং স্টেশনটির সত্ত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন বলেন, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ওই সময় কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কম্প্রেসার কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
ফতুল্লায় গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ হওয়া শ্রমিক জামাল খানের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ড্রেনে পড়ার ছয় দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
মৃত জামাল খান ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত ছোমেদ খানের ছেলে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার সময় ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার ভেতরে মেশিন পরিষ্কারের সময় গরম পানির ড্রেনে পড়ে যান জামাল।
এ সময় তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের অধিকাংশ স্থান দগ্ধ হয়েছে। ছয় দিন তিনি চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ের মৃত্যু, দগ্ধ ৪
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বসতঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জাফলংয়ের রসুলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার দোকান ও বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) ও মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১২)। আহতরা হলেন- জেসমিন আক্তারের স্বামী ইয়াকুব মিয়া, দুই সন্তান জুবাইর, জুনাইদ ও শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
গোয়াইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুনে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন।সোমবার ভোররাতে জুরাইন সরদার বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলতাফ সিকদার (৭২), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), তার স্বামী আতাহার (৩৫) ও তাদের মেয়ে আফসানা (৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ৬
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
গাজীপুরে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তাসহ তিনজন দগ্ধ হয়ে হয়েছেন। রবিবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার বাবা মো. ফরমান মণ্ডল (৭৫) ও মা খাদিজা বেগম (৬৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
স্থানীয়রা জানায়, নগরের বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বসবাস করেন।
রবিবার বিকালে তাদের বাড়ির সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন সিলিন্ডার কিনে আনা হয়। তবে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একজন মিস্ত্রি এসে সেটি মেরামত করে রান্নাঘরে লাগিয়ে দিয়ে চলে যান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাদিজা বেগম চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্নাঘরে থাকা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও ফরমান মণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হন।
পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্য কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ: দগ্ধ বেড়ে ১০
ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে নারীসহ ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়ানগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে আগুন লাগে। রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ, নারীসহ দগ্ধ ৬
রবিবার (১৩ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী।
টেলিফোনে তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নয়া নগর এলাকায় আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টায় দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধরা হলেন- ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলাম (৪৫), হাশেম আলী (৪৫), মহসিন (২৭), সাদিকুল ইসলাম (২৮), পল্লব রায় (২৭), রাজিয়া বেগম (৩০), কমলা বেগম (৫০), সাবিনা বেগম (৪০), হাসি বেগম (২৭) ও মুসলিমা বেগম (২৬)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মধ্যরাতে আশুলিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ ১০ জন আসেন। তাদের মধ্যে ৬ জন ঢাকার জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে কমলা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, সাবিনা বেগমের ৫০ শতাংশ, সাদিকুল ইসলামের ৫০ শতাংশ, হাসেম আলীর ৪৫ শতাংশ, নজরুল ইসলামের ৪৫ শতাংশ ও মহসিনের ১০ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাকি ৪ জন পল্লব রায়, হাসি বেগম, রাজিয়া ও মুসলিমা বেগম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, ভাড়াটিয়া আনিসুর রহমানের ঘর থেকে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আনিসুরের স্ত্রী হাসি বেগম দগ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে ভাড়াটিয়া প্রতিবেশীরাও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: আশুলিয়া থেকে বাসচালক গ্রেপ্তার
আশুলিয়ায় ২ বাসের প্রতিযোগিতায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ৬
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার একটি ভবনে বিস্ফোরণে চার জন দগ্ধসহ অনন্ত ছয় জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত ১২টার দিকে হোসাইনি নগর এলাকার আসলাম সিকদারের ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- হোসাইনি নগর এলাকার হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার, পোশাক কারখানার শ্রমিক রানা মিয়া, তার স্ত্রী বীথি আক্তার, তাদের এক শিশুসহ ফল ব্যবসায়ী আবু কালাম। এছাড়া আহত আরও একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দগ্ধের স্বজনরা জানান, রাত ১২টার দিকে ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চিকিৎসক গুরুতর দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
আবু কালাম নামে অন্য আরেকজনকে নেওয়া হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। এছাড়া একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন জানান, বিস্ফোরণে পাঁচতলা ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘরের চালাসহ আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। পাশাপাশি ওই ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালাও ভেঙে গেছে। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তদন্তের পর বিস্ফোরণের ঘটনার কারণসহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বোমা সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ২
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে ফতুল্লার বাঁশমুলি এলাকায় একটি টিনসেড বাড়িতে তিতাসের গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আগুনে মায়ের মৃত্যু, ২ চিকিৎসক সন্তান দগ্ধ
দগ্ধরা হলেন- ওই এলাকার আলম (৩৫), রমজান (২২) ও রিফাত (১৩)৷ তাদের ৩ জনের বাড়ি কুমিল্লায়। পেশায় তারা রঙ মিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানন, রাত ১২টার দিকে খলিল মুন্সীর বাড়ির ব্যাচেলর ভাড়াটেদের ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় টিনের চাল উড়ে যায় এবং উপর দিকে দেয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
এদিকে, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দারা ও আশপাশের লোকজন এসে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আলমের শরীরের ৭২ শতাংশ, রমজানের ৫৮ শতাংশ এবং রিফাতের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে৷
রূপগঞ্জে গ্যাসলাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধেরা হলেন- জুম্মন, কবির, সিয়াম ও সেমিন। তাদের বাড়ি তারাবো খালপাড় এলাকায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আগুনে মায়ের মৃত্যু, ২ চিকিৎসক সন্তান দগ্ধ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারাবো বিশ্বরোড এলাকার সরকারি জায়গায় ইয়াজউদ্দিন নামের এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নিয়ে একটি ঘর তুলে বসবাস করতেন।
ওই সরকারি জায়গা দিয়ে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে পাইপ টেনে গ্যাস নেয় একটি চক্র। ওই পাইপ থেকে লিকেজ হয়ে আগে থেকেই গ্যাস বের হচ্ছিল।
শনিবার বিকালে মুক্তিযোদ্ধা ইয়াজউদ্দিন মারা গেলে রাতে তার লাশ দাফন ও জানাজার উদ্দেশ্যে গোসল করাচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় আগরবাতি জ্বালানোর উদ্দেশ্যে দিয়াশলাই কাঠি জ্বালান এক ব্যক্তি।
পরে মুহূর্তের মধ্যে লিকেজ হওয়া তিতাস গ্যাস থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। দগ্ধদের তাৎক্ষণিক ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, অগ্নিদগ্ধ চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে রাসায়নিক ড্রাম বিস্ফারণে শ্রমিক নিহত, দগ্ধ ২
তেজগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু