দগ্ধ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন- মো. তানজিল (২২), রাব্বি (২০), শামসুল (৬৫) ও রোজিনা হক (৪৯)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কাশিমপুরের বাগবাড়ি এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হলে তারা দগ্ধ হন। তাদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দগ্ধ হওয়া ওই চারজনকে গুরুতর অবস্থায় শনিবার রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এদের মধ্যে তানজিল ৩০ শতাংশ, রাব্বি ২৩ শতাংশ, শামসুল ৫ শতাংশ ও রোজিনা ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে দুজনের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায়, তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশন শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বরফকলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী নিহত, আহত ২
৪ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডরগাঁওয়ের একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
সোহেল (২০) ও ইসমাইল (১৬) মারা যান।
আরও পড়ুন: ঢাকার শ্যামপুরে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সোহেলের শরীরের ৭০ শতাংশ এবং ইসমাইলের শরীরের ৫৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
এর আগে শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) ওই বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে ছয়জন আহত হন।
আহতরা হলেন- মোহাম্মদ আবুল (৪৭), তার স্ত্রী শেলী (৩৬), মুন্নি (২০) ও তাসলিমা (১৩)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
৩ সপ্তাহ আগে
ঢাকার শ্যামপুরে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ
রাজধানীর শ্যামপুরে একটি সাততলা ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- আব্দুর রহমান তুষার (৩৫), মো. জামাল (৫০) এবং মো. জামিল খান রাশেদ (২৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত পৌনে ২টার দিকে সপ্তম তলায় তুষারের বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় ষষ্ঠ তলার বাসিন্দা জামাল ও রাশেদ তুষারের বাসায় গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ডাকাতিয়ায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, দগ্ধ ৬
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, তুষারের শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে। জামালের শরীরের ৭৫ শতাংশ এবং জামিল ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডরগাঁওয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ পোশাক শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে গেলে তারা আহত হন।
আহতরা হলেন- আবুল হোসেন (৫০), শেলী আক্তার (৩৫), মুন্নি আক্তার (২২), জুয়েল (২০), ইসমাইল (২৩) ও তাসলিমা (১৬)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় জাহাজে বিস্ফোরণ; ৩ জনের লাশ উদ্ধার
পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে (এসএইচএনআইবিপিএস) নেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোগল মিয়া জানান, রাতে কেউ মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ওই বাড়িতে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
৩ সপ্তাহ আগে
মেঘনা টোল প্লাজায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডে ৫ যাত্রী দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকার বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামমুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
তবে তাৎক্ষণিক দগ্ধদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (টিআই) আবু নাইম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ -১৩২২১৩) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনা টোল প্লাজার সামনে সড়ক বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে করে সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। পরে যাত্রীদের চিৎকারে টোল প্লাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটির জানালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ‘খবর শুনেই ঘটনাস্থলে যাই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দম্পতি দগ্ধ
ভাষানটেকে আগুনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
৪ মাস আগে
মালিবাগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
রাজধানীর মালিবাগে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণ হয়।
আহতরা হলেন- মো. সবুজ, মো. মারুফ (১৬) ও জুলহাস (১৮)। তারা সবাই 'শাহজালাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট'-এর কর্মচারী।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী তৌহিদ জানান, সন্ধ্যায় তারা রেস্টুরেন্টের সামনে ইফতার বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ করে আগুন লেগে তিনজন আহত হন।
আরও পড়ুন: কয়লাভর্তি জিম্মি জাহাজ আব্দুল্লাহতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতদের হাতে-পায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ১৪
৮ মাস আগে
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ
রাজধানীর জুরাইন এলাকায় গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- বিনা রানী দাস (৩৫ বছর), চাচাতো দেবর বনমালী দাস (৩০ বছর), ও চাচাতো দেবর তপু দাস (৩২ বছর)।
দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান বিনা রানী দাসের চাচা শ্বশুর বিদু দাস। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে বিনা রানী ডাল রান্না করার সময় চুলায় হঠাৎ করে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। পরে বিনাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুইজন দগ্ধ হয়। দগ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে বিনার শরীর অনেক বেশি পুড়ে গেছে।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, কদমতলীর জুরাইনের ঋষিপাড়া এলাকায় চুলার আগুনে দগ্ধ হয়ে ৩ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্নের জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
বিনা রানী দাসের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ও দেবর বনমালীর ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
সিলেটে সিএনজি স্টেশনে আগুনে দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আগুন লেগে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছে শিশুসহ পাঁচজন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে উত্তর পরুয়া পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগে।
দগ্ধরা হলেন- মো. হেলাল (৩৫), মো. জামাল (৪৫), শিশু নিহা (১৩), হাসান (১০) ও তানিয়া (৫)। তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. ইসহাক জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জামাল, মোহাম্মদ হেলাল, আবুল কালাম, আবুল কাসেম, আজগর আলী, আমজাদ হোসেন, আনোয়ার, আব্দুস সত্তার, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ জসিম, কাইয়ুম, মোহাম্মদ সেলিম, নুরুল হক, আব্দুল হক, জাহানারা বেগম, আব্দুস সালাম ও মোহাম্মদ ইউসুফের পরিবার।
আনোয়ারা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মং সুইন্যু মারমা বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে। একটি ইউনিটের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
৯ মাস আগে
সিলেটে সিএনজি স্টেশনে আগুনে দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ২১ জানুয়ারি বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের একজন মতি মিয়া মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে গেছে ৫ দোকান ও ১২টি অটোরিকশা
নিহত মতি মিয়া (৬০) সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার মৃত মিছির আলীর ছেলে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মতি মিয়ার মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বিকালে পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ১২০০ মুরগিসহ আগুনে পুড়ে ছাই পোলট্রি খামার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই
৯ মাস আগে
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগুন, দগ্ধ সিসিকের ৫ শ্রমিক
সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা এলাকার একটি সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে সিসিকের পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। দগ্ধদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দগ্ধরা হলেন- সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকার মো. জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া, একই এলাকার মো. মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া), মতি মিয়ার ছেলে আলম মিয়া, মিছির আলীর ছেলে মতি মিয়া ও রজনী চন্দ দাসের ছেলে সুভাষ দাস।
আরও পড়ুন: ঢাকার তোপখানায় বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এদিকে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিটি করপোরেশন। কমিটির অন্যরা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরহাদ মোহাম্মদ হাওলাদার এবং জালাবাদ গ্যাস টি অ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারোশন) প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান মাহমুদ।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্র জানায়, রবিবার বিকাল দিকে পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের শ্রমিকরা।
এসময় এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন থেকে নগরীর ব্যস্ততম এ সড়কে কাজ চলাকালে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নিশ্চিত করেনি সিসিক কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে আলাদা করে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এছাড়া এসব কাজের ক্ষেত্রে আগে থেকে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করারও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে তাও মানা হয়নি।
এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমিন মামুন বলেন, আমরা কাজ শুরুর আগে থেকেই সিএনজি পাম্প কর্তৃপক্ষকে পাম্প বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি। এছাড়া সিসিক প্রকৌশল বিভাগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়েও পাম্প কর্তৃপক্ষকে বোঝানো হয়। এ অবস্থায় তাদের সম্মতি না পেয়ে আমরা ৫/৬ মাস কাজ বন্ধও রেখেছিলাম। এরপর তারা আমাদের জানিয়েছেন আমরা যেদিন কাজ করব তাদের বললে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা, গাড়িতে আগুন
মামুন আরও বলেন, রবিবার যখন আমরা কাজ শুরু করি তখনও পাম্প কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সারাদিন কোনো সমস্যা হয়নি। বিকালে তারা একটি জ্বালানি তেলবাহী গাড়ি আনলোড করতে গেলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, তারা এভাবে জ্বালানি তেল আনলোড করবেন সেটা বললেও আমরা কাজ বন্ধ রাখতাম, কিন্তু তারা তা করেনি।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার সুহেল আহমদ বলেন, খবর পাওয়ামাত্র আমাদের একটি ইউনিট সেখানে যায়। তবে আমাদের কর্মীরা যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের প্রধান ডা. এম এ মান্নান জানান, অগ্নিদগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে দুই জনের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি দুইজনের ৩০ ভাগ আর একজনের ২৮ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো চিকিৎসা চলছে, তবে প্রয়োজন পড়লে তাদের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হতে পারে। অবস্থা খারাপ হলে প্রয়োজনে তাদেরকে ঢাকাতেও স্থানান্তর করা হতে পারে।
এ বিষয়ে নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সিসিক প্রধান নির্বাহী ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
এসময় মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক এখানে আছি, দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার চকবাজারে ২টি দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
১০ মাস আগে