শামীমা
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার কাজ শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। রাসেলের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী আহসান হাবীব।
আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
তবে অপর আসামি শামিমা নাসরিন উপস্থিত না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এ সময় রাসেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব এসব তথ্য জানান।
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার।
গত বছর ১৯ অক্টোবর শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
১ বছর আগে
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসানের আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন কারাগারে আটক আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়।
তবে জামিনে থাকা আসামি শামীমা নাসরিন উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন।
আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আসামি রাসেলের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
তিন লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
১ বছর আগে
শামীমা ও মঈন উদ্দিন: যুক্তরাজ্যের দ্বৈতনীতির নিন্দা বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের
১৯৭১ সালের একজন যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফেরত পাঠানোর বাংলাদেশের অমীমাংসিত অনুরোধ স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিভাবের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক এবং সিরিয়ায় গিয়ে এক ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল এর বিপরীত বলেও উল্লেখ করেন তারা।
যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা শামীমা এখন তার নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে লড়ছেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার পর যদি তার বাবা-মার আদি দেশ বাংলাদেশে পাঠানো হয় তাহলে তাকে সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে হতো। একটি আদালত যা শুনেছে তাতে তিনি এখন কার্যকরভাবে রাষ্ট্রহীন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদনের পেমেন্ট পদ্ধতির পরিবর্তন
শামীমার আইনি লড়াই সম্প্রতি সবার নজরে এসেছিল। কারণ বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশনে তার আপিলকে বলা হয়েছিল যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ২০১৯ সালে শামীমা বেগমের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিলের ‘গুরুতর পরিণতি’ বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলে সাজিদ জাভিদ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি ১৯৭১ সালে চৌধুরী মঈন উদ্দিনের কর্মকাণ্ডকে ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধ বিবেচনা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার। যুক্তরাজ্য সরকারের এই ধারাবাহিক ‘দ্বিভাব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিরোধীরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. অধ্যাপক একেএম জাকির হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়া ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরও মঈন উদ্দিনের প্রত্যার্পণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ যুক্তরাজ্য প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, এমনকি তারা মঈন উদ্দিন ও মানিলন্ডারিং মামলায় তারেকের রহমানের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জঘন্য গ্রেনেড হামলার দায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা চালানো হয়েছিল।
এমনকি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলাটির বিষয়ে এফবিআইয়ের কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া ২০১৩ সালে নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১০০ জন মানুষকে হত্যার দায়েও অভিযুক্ত করা হয়।
শামীমার বিপরীতে মঈন উদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এখন বাংলাদেশে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে তাদের গণহত্যা চালিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য এই ভূখণ্ডের জনগণের ওপর নৃশংস যুদ্ধাপরাধ চালিয়েছিল, যা বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম একটি। কারণ ১৯৭১ সালের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরপরই, যখন বাংলাদেশ যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে, তখন কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর নেতা মঈন উদ্দিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন।
পলাতক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে সক্ষম হন এবং ইস্ট লন্ডন মসজিদ এবং লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে মুসলিম আধ্যাত্মিক তদারককারী পরিচালক হন।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান অনুসারে, তিনি এখন উত্তর লন্ডনের সাউথগেটে এক মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িতে থাকেন।
তার অপরাধের চার দশক পর, বাংলাদেশের একটি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্তত ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক এবং চিকিৎসককে হত্যার জন্য মঈন উদ্দিন এবং তার সহযোগী আশরাফুজ্জামান খানের অনুপস্থিতিতে বিচার করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ২০১৩ সালের নভেম্বরে যুদ্ধাপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক এবং ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, ‘এটা স্পষ্ট যে এই ধরনের দ্বৈতনীতির পিছনে একটি নির্দিষ্ট স্বার্থ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বার্থের বাইরে কিছুই নয়। মঈন উদ্দিনকে আশ্রয় দেয়ার এই নীতিটি দেখায় যে কীভাবে সেই স্বার্থ মানবাধিকারের ওপর জয়লাভ করে। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, যুক্তরাজ্যের দ্বৈতনীতি আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেছেন, মানবাধিকার নিয়ে যতই বিড়ম্বনা থাকুক না কেন পররাষ্ট্র নীতির ফ্রন্টে যুক্তরাজ্য সবসময় তার নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়।
অধ্যাপক হাফিজুর আরও বলেন, ‘একজন যুদ্ধাপরাধীকে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান মঈন উদ্দিনের মতো যুদ্ধাপরাধীর হাতে তাদের প্রিয়জন হারিয়ে লাখ লাখ ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সহায়তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে: প্রতিবেদন
১ বছর আগে
ইভ্যালি: রাসেল-শামীমার শেয়ারের ৫০ শতাংশ হস্তান্তরে হাইকোর্টের অনুমতি
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক এমডি মো. রাসেল তার স্ত্রী সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা কোম্পানির শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রা মামুনুর রশীদের বরাবর হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার ইভ্যালির শেয়ার নিতে ওই তিনজনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আগের আদেশ সংশোধন করে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তবে শেয়ার হস্তান্তর হলে এই তিনজন আদালতের অনুমতি ছাড়া সে শেয়ার আর হস্তান্তর করতে পারবে না। সেই সঙ্গে তারা এই শেয়ারের বিষয়ে ইভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের গঠিত বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। এছাড়া রাসেল ও শামীমা নাসরিন কারাগারে থাকায় তাদের থেকে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইজি প্রিজনকে সহযোগীতা করতে করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ইভ্যালির ভবন মালিক শেখ সালাউদ্দিনকে আগামি ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হাজির হতে বলেছেন। তবে তিনি হজির না হলে তাকে গ্রেপ্তার করে হাইকোর্টে নিয়ে আসতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার আদালতে রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী। কোম্পানিটি অবসায়নের আবেদনকারী গ্রাহকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন তাপস কান্তি বল।
পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাই-বোন আজ আদালতে সশরীরে হাজির হন। তারা আদালতকে জানান, ইভ্যালি পুনর্গঠনের জন্য তারা কাজ করছেন। যারা ইভ্যালির কাছে টাকা-পয়সা ও পণ্য পাবেন সেগুলো ফেরত দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটা ডিরেকশন দেন, যাতে ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যানের যে শেয়ারগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক শেয়ার যেন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
তিনি বলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান জেলখানায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া তাদের জেলখানায় থাকা অবস্থাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে। ওনাদের শেয়ারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন তারা ইভ্যালি পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা বোর্ডকে সহযোগিতা করবেন।
ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানিয়েছিলেন, আবেদনকারী ইভ্যালি অনলাইন শপিংমলে মে মাসে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের অর্ডার করেন। অর্ডারের সময় তিনি মোবাইলফোনভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করেছেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে একটি পণ্য কেনার রশিদও দিয়েছেন। কিন্তু এত দিনেও তারা পণ্যটি বুঝিয়ে দেয়নি। আবেদনকারী যোগাযোগ করার পর তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু পণ্যটি দেয়নি কিংবা টাকাও ফেরত দেয়নি ইভ্যালি। যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি আবেদনকারী। তাই তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এছাড়া আদেশে ইভ্যালির যত সম্পদ রয়েছে, সেটা যেন বিক্রি অথবা হস্তান্তর না করা যায়। আদালত একটি নোটিশ ইস্যু করেন, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না।
এরপর গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) একটি বোর্ড গঠন করেন হাইকোর্ট। বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি
ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
২ বছর আগে