উজিরপুর
বরিশালে প্রাইভেটকার থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বরিশালের উজিরপুরে অভিযান চালিয়ে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় মাদক বহনকারী একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টায় উজিরপুর উপজেলার ইচলাদি টোল প্লাজা সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ ফুট উচ্চতার গাঁজার গাছসহ আটক ১
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের উত্তরকুল গ্রামের মনির বেপারি (৪৮) ও গাজীপুরের সালডোবা এলাকার খোরশেদ আলম।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হেসেন বলেন, ঢাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা আসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে উজিরপুরের ইচলাদি টোল প্লাজায় চেকপোস্ট বসানো হয়। এরপর সেখানে একটি প্রাইভেটকার ভর্তি ৩৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং মাদক বহনের গাড়িটি জব্দ করা হয়।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক ইশতিয়াক বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে সাড়ে ৪৮ কেজি গাঁজা জব্দ, যুবক আটক
গাজীপুরে ১০০ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ৪
১ বছর আগে
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ১২
বরিশালের উজিরপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার নতুন শিকারপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-রুহুল আমিন, আবদুর রহমান, মো. হাসান ও নুরুল আমিন। তারা সবাই গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মাহাবুব ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি শিকারপুর এলাকায় পৌঁছালে এর পেছনের চাকা পাংচার হয়ে যায়ে। এতে এটি মহাসড়কের মাঝেই থেমে যায়। এ সময় পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মোল্লাহ ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজন এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়ার পরে আরও তিনজন মারা যান।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউপি সদস্যসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ জানান, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। উভয় গাড়ির ১২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় বাসের চালক বা সহযোগী কাউকেই আটক করা যায়নি। তবে বাস ও মাইক্রোবাস দুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহাবুব।
২ বছর আগে
উজিরপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বরিশালের উজিরপুরে নিখোঁজের চার দিন পর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দীপ্ত মন্ডলের বস্তাবন্দি লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ৭ টায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আর্শাদ।
তিনি বলেন, নিহত শিশু দীপ্ত মন্ডল (৮) উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কাজীবাড়ির দীপক মন্ডলের ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, একই এলাকার রতন বিশ্বাস, তার স্ত্রী ইভা ও নয়ন শীল।
ওসি আলী আর্শাদ আলী বলেন, গত ২৭ মে রাত ১১ টায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় দীপ্ত। এ ঘটনায় তার বাবা দীপক মন্ডল ২৮ মে রাতে উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার চার দিন পর প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস ও নয়ন শীলের ওপর সন্দেহ করে স্থানীয়রা। পরে আজ গভীর রাত সাড়ে তিনটায় স্থানীয়রা রতন ও নয়নকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দীপ্তকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ভোর সাড়ে পাঁচটায় পার্শ্ববর্তী একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় দীপ্তর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রতন বিশ্বাস, তার স্ত্রী ইভা এবং নয়ন শীলকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, শিশুটির লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় ডোবায় ফেলে রাখে হত্যাকারীরা। শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
বোনের জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু
বরিশালে বোনের জানাজায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় রমজান হাওলাদার (৩৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ শনাক্তকালে নিহতের মেয়ের জামাই মেহেদী হাসান সজল এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহত রমজান বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাঠি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে।
মেহেদী জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বাকেরগঞ্জের দুধল মৌ ইউনিয়নের সুন্দরকাঠি গ্রামের নিজবাড়িতে মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রমজানের বোন ময়না বেগম। রবিবার সকাল ১০টায় বোনের জানাজায় অংশ নিতে রমজান শনিবার রাতে ঢাকা থেকে যমুনা পরিবহণে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাড়িটি রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় পৌঁছালে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আরশাদ জানিয়েছেন, এ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: উজিরপুরে বাস দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৮, আহত ২০
২ বছর আগে
উজিরপুরে বাস দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৮, আহত ২০
বরিশালের উজিরপুরে যমুনা লাইন পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিশুসহ আট যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইল নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ।
তিনি বলেন, গাড়িটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে উপজেলার বামরাইল পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহত তিনজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি।
গাড়িটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গৌরনদী ও উজিরপুরের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গাড়িটি গাছের মধ্যে ঢুকে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়িটি কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান শেষ করে হতাহতের সংখ্যা বলা যাবে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রণব রায় শুভ বলেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনের লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে। ৫/৬ জনের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে
নদী পাড়ি দিতে এসে রাত কেটে যাচ্ছে গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায়
মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর যান ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম। ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঈদের চতুর্থ দিন গত শুক্রবার থেকে কর্মস্থলে ছুটতে শুরু করেছেন। তিনিও পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রওয়ানা করেন। তবে ১২ ঘন্টার বেশি মহাসড়কে থেকে এখনও ঘাট পাড়ি দিতে পারেননি।
রবিবার সকালে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার আগে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় আটকে থাকা অবস্থায় তাকে দূর পাল্লার পরিবহনের সামনে ইঞ্জিন কভারে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় আলাপকালে ইউএনবির প্রতিবেদককে তিনি এসব কথা বলেন।
শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, ঘাটে যানজটের কথা শুনে দিনের বেলা রওয়ানা করিনি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ৯ টার দিকে বাসে উঠি। প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে বাসে বসে আছি। সঙ্গে লাগেজ রয়েছে। যে কারণে নামতেও পারছি না।
শরিফুল ইসলামের মতো ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী শত শত মানুষের রাত কাটছে গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায়। নদী পাড়ি দিতে আসা শত শত গাড়ির লাইন ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে গরমে ক্লান্ত যাত্রীরা সিটে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আবার অনেকের জরুরি কাজ থাকায় গাড়ি থেকে নেমে গেছেন।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমাতে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার আগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় আহ্লাদিপুর এলাকায় পুলিশ গাড়ি আটকে দিচ্ছে। এসময় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়াও অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি আটকা পড়ছে। কিছু গাড়ি সিরিয়াল ভঙ্গ করে আগে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে মামলাও খাচ্ছে। এছাড়া মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ শত শত ব্যক্তিগত গাড়ি গোয়ালন্দের জমিদার ব্রিজ ও পদ্মার মোড় এলাকা থেকে পুলিশ গোয়ালন্দ বাজার হয়ে উজানচর ও চর দৌলতদিয়া হয়ে অতিরিক্ত আরও প্রায় আট কিলোমিটার পথ ঘুরে ফেরি ঘাটে পৌঁছেছেন। রবিবার সকালে এ প্রতিবেদক সরেজমিন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখতে পান।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ছেড়ে আসা যাত্রিবাহী দূরপাল্লার পরিবহন এখনও ঘাটে আটকে আছে। যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কাঁচা পণ্যবাহী অনেক গাড়িও আটকে আছে। বিশেষ করে তরমুজবাহী কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হওয়ার সুযোগ নিয়ে ওই সব গাড়ি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী দালালরা পুলিশের সহযোগিতায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। তারপরও ১৪-১৫ ঘন্টার আগে ফেরির নাগাল পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মে দিবসে পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়
বরগুনা থেকে প্রায় ২২ টনের তরমুজ বোঝাই করে কাভার্ডভ্যান নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ফল ব্যবসায়ী আবুল বাশার। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে রওয়ানা করে ১১টার দিকে ঘাটে যানজটে আটকা পড়েন। স্পেশালভাবে তাদের যাওয়ার কথা বলে তাদের থেকে ১৮০০ টাকার টিকিট সাড়ে চার হাজার টাকা নিয়েছে। এরপরও প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে আটকে থাকায় গরমে অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী স্থানীয় এক ওয়ার্ড সদস্য, যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রতিটি তরমুজসহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্য ও ফলের গাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছেন। এতে স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্য সহযোগিতা করে থাকে। এদিকে বিপুল সংখ্যক যানবাহন রাজধানীর দিকে ছুটছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় ১১ হাজার ৫৯৩টি যানবাহন ফেরিতে নদী পাড়ি দেয়। ২৪ ঘন্টায় ২৬৬টি ট্রিপ দিয়ে যানবাহনের মধ্যে ছোট বা ব্যক্তিগত গাড়ি প্রায় সাত হাজার ১৯৬টি, মোটরসাইকেল তিন হাজার ২০৩টি, বাস ৮১৫টি এবং ৩৭৯টি ট্রাক পাড়ি দেয়।
আরও পড়ুন: ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শঙ্কা
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি পাড়ি দিয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরি চললেও গতকাল শনিবার দুপুরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ে। পরে সন্ধ্যার আগেই বের হয়ে যায়। বর্তমানে ২১টি ফেরি ও পাঁচটি করে ঘাট সচল থাকলেও জরাজীর্ণ সড়ক এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের সমস্ত গাড়ি এই রুট ব্যবহার করায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে।
এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে রবিবারও সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় ছিল। দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন থেকে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার থেকে এই ঘাটে মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ঘাটে যানজটে আটকে থাকার ভয়ে ফেরি পারাপারের পরিবর্তে লঞ্চে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ সংখ্যক যাত্রী বহন করছে।
আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতি দৌলতদিয়া ঘাট প্রতিনিধি নুরুল আনোয়ার বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১৬৬টি লঞ্চ ট্রিপ দিয়েছে। তবে ঝুঁকির কথা ভেবে রাত দশটার পর থেকে লঞ্চে যাত্রী পারাপার অনেকটা বন্ধ থাকায় ট্রিপ সংখ্যা কম রয়েছে, নতুবা আরও অনেক বাড়তো। ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৩০ হাজারের মতো যাত্রী পার হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
২ বছর আগে
বরিশালে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
বরিশালের উজিরপুরে হৃদয় মোল্লা (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।মৃত হৃদয় মোল্লা (১৪) একই পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে এবং পূর্ব নারায়ণপুর পল্লী ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
মৃতের স্বজনরা জানান, বুধবার বিকালে একটি বেসরকারি সমিতির মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন মৃতের বাবা শহীদ মোল্লার ঘরে কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য যান। তবে ওইসময় ঘরে টাকা না থাকায় মৃতের মা ঝুমুর বেগম পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যান টাকা সংগ্রহের জন্য।
মৃতের মা ঝুমুর বেগম জানান, কারসা ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী জাহিদকে ঘরের মধ্যে রেখে টাকা জোগাড়ে পাশের বাড়িতে যাই। কিছু সময় পরে এসে দেখতে পাই আমার ছেলে হৃদয় ঘরের দরজার দৌড়ের (চৌকাঠ) সঙ্গে মাফলার পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে। পরে আমার স্বামী হৃদয়কে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কলেজছাত্র নিহত
ঝুমুর বেগমের দাবি তার ছেলেকে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল।এদিকে সমিতির মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন ওই ঘরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ঝুমুর বেগম টাকা খুঁজতে যাওয়ায় তিনি অন্য সদস্যদের ঘরে কিস্তির টাকা আদায়ে যান। পরে মৃতের বাবার চিৎকারে তিনিও ওই বাড়িতে গিয়ে হৃদয় বিদারক দৃশ্যটি দেখতে পান।এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে রহস্যজনক মৃত্যুর খবর শুনে হৃদয় মোল্লার লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বরিশালে সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে