পরকীয়া
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জোড়া খুনের মামলায় আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইব্রাহিম খলিলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোররাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার তকিরহাট এলাকা থেকে র্যার-১১ এর অভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামি ইব্রাহিম রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় ইব্রাহিমকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রামগতি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, স্ত্রী রিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক ইউসুফকে হত্যা করেন ইব্রাহিম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় তাকে। তবে রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে হত্যা: আটক ২
১ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে হত্যা: আটক ২
লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে রিয়াজ হোসেন নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে দুজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
আটক কাউছার যাদৈয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং রাকিব তেয়াওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে কাউছারকে এবং চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে জুয়ার আসরে পুলিশের হানা, আটক ৫৬
এতে আরও জানানো হয়, কাউছার ও ভুক্তভোগী রিয়াজ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। এ সুবাদে কাউছারের বাসায় রিয়াজের যাতায়াত ছিল। এক পর্যায়ে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। কাউছার সন্দেহ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি কাউছার অভিযুক্ত রাকিবকে জানায়। এসময় তারা দুজন রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ১৪ ফেব্রয়ারি রাতে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে ভাড়া বাসায় কাউছার মোবাইলফোনে কল করে রিয়াজকে ডেকে আনে। দুই মাস আগে তারা দুইজন ওই বাসা ভাড়া নেয়। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করে। পরে হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেঁছিয়ে তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এরপরই তারা দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে র্যাবের কাছে সহযোগীতা চান। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত করে।
পরে র্যাব-৭ ও র্যাব ১১ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে আটক করা হয়।
তাদেরকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
১ বছর আগে
পরকীয়ায় চুয়াডাঙ্গায় ভাবী-দেবরের বিষপান, ভাবীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ভাবি ও দেবর বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় ভাবীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শাপলা খাতুন (২২) উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের নতুন পাড়ার কাতার প্রবাসী জাহিদ হোসেনের স্ত্রী।
অসুস্থ প্রতিবেশি দেবর সাকিব হোসেন (২৬)।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
স্থানীয়রা জানায়, কর্মসূত্রে শাপলা খাতুনের স্বামী জাহিদ হোসেন কাতারে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে শাপলা খাতুন প্রতিবেশি দেবর সাকিব হোসেনর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সম্পর্কের কথা সাকিবের পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার কথা ঠিক করে। সাকিবের বিয়ের বিষয়ে জানতে পেরে শনিবার সকাল ৮টার দিকে শাপলা বিষপান করে আত্মহ্যার চেষ্টা করে।
এদিকে শাপলার বিষপানের ঘটনা জানতে পেরে এর কিছুক্ষণ পরেই সাকিব হোসেনও নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে দুই পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন দুজনকেই তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। সেখানেই রাত ১২টার দিকে শাপলার মৃত্যু হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাকিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ বলেন, মহিলা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে শাপলা নামে এক তুরণী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে বিষপানরত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে জরুরি বিভাগে নিলে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি রাখেন।
২ বছর আগে
পরকীয়ার জেরে মাগুরায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
পরকীয়ার জেরে ধরে মাগুরা সদরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার উপজেলার মঘি ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলেনা খাতুন উপজেলার সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও বিপ্লব মোল্যর স্ত্রী।
অভিযুক্ত স্বামী বিপ্লব মোল্য একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জোর মোল্যার ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন।
জানা গেছে, ২০ বছর আগে নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জোর মোল্যার ছেলে বিপ্লব মোল্য সঙ্গে সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে হেলেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল এবং এই দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
নিহত হেলেনার পরিবারের অভিযোগ, গত এক বছর আগে বিপ্লবের সঙ্গে তার কর্মস্থলে এক নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ও ওই নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন বিপ্লব। এদিকে সংসারে কোনো খরচ পাঠান না বলে স্ত্রী হেলেনার সঙ্গে ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকতো। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল ঈদের কাপড় কেনাকাটা নিয়ে হেলেনাকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে মঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিলটন মাহমুদ ঈদের আগের দিন গ্রাম্য সালিশ বৈঠক করে মীমাংসা করে দিয়েছেন। বুধবার হেলেনাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা, ঘটনার সত্য প্রকাশিত না হয় সেজন্য তার ছেলেকেও লুকিয়ে রাখা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা পিলটন জানান, মেয়েটি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। তবে পুলিশ লাশটিক ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।
২ বছর আগে
পরকীয়ার জেরে হত্যা, নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহীতে পরকীয়ার জেরে হত্যা মামলায় এক নারীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন-নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাদল মণ্ডল (৪৬), রাজশাহীর তানোর উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের বিমল সিং (৫০), বিমলের স্ত্রী অঞ্জলী রানী (৪৫) এবং তাদের ছেলে সুবোধ সিং (২৮)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের নির্মল সিংয়ের ছেলে প্রকাশ সিংকে (২০) হত্যার দায়ে তাদের এ দণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিহত প্রকাশ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিমল সিংয়ের ছোট ভাইয়ের ছেলে ছিলেন। রাজশাহী শহরের একটি মিষ্টির দোকানের পরিবেশন কর্মী ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে তানোরের বংশীধরপুর ব্রীজের কাছে প্রকাশের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখম ছিল।
পড়ুন: ইভ্যালি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
প্রকাশকে হত্যার ঘটনায় নির্মল সিং তানোর থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল অঞ্জলী রানীর সঙ্গে বাদল মণ্ডলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটি জেনে যাওয়ায় বাদল প্রকাশকে হুমকি দিয়েছিলেন। তাই পূর্বপরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে ছয় দিনের মধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করলে বিষয়টি তারা স্বীকার করেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তারা বলেছিলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চারজন মিলেই প্রকাশকে হত্যা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, চার আসামিই গ্রেপ্তার হয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। পরে তিনজন কারাগারে ছিলেন। আর জামিনে ছিলেন অঞ্জলী। রায় ঘোষণার সময় সবাই আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। আসামিদের স্বীকারোক্তি এবং মামলার ২০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
পড়ুন: সিনহা হত্যা: যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
২ বছর আগে
পরকীয়ার জেরে স্বামী গুম, ৮ বছর পর প্রেমিক গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আট বছর আগে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুম হন। এঘটনার আট বছর পর স্ত্রী লতিফা বেগমের প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর মাধবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রবিবার সকালে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সাবুল হোসেনকে (৩৫) উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা জালিয়াতি: ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার ৩
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ২০১৪ সালে উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার সাবুল হোসেন প্রতিবেশী বন্ধু আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী লতিফা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু সাবুলের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাদের বাধা দেন আনোয়ার। একপর্যায়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আনোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান বন্ধু সাবুল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাড়িতে ফেরেননি আনোয়ার হোসেন। ওই সময় নিখোঁজ আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম হাতীবান্ধা থানায় একটি জিডি করেছিলেন।
এদিকে, স্বামী আনোয়ার হোসেন নিখোঁজ থাকায় সাবুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন লতিফা বেগম। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ছেলে আনোয়ার হোসেনের সন্ধান না পেয়ে গত বছর ২৪ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মা আনোয়ারা বেগম।
আরও পড়ুন: ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির মালিককে খুন, ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
ওই মামলার সূত্র ধরে অভিযুক্ত সাবুল ও তার সহযোগীদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে গাজীপুরের মাধবপুর এলাকা থেকে স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় সাবুলকে গ্রেপ্তার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
ওসি এরশাদুল আলম জানান, অভিযুক্ত সাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিখোঁজ আনোয়ার হোসেনের সন্ধান পেতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২ বছর আগে
ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
ফরিদপুরে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে এসিড নিক্ষেপে এক যুবকের মুখমণ্ডল ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বন্ধুর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে জেলা শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ রানা (৩৫) শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে।
আরও পড়ুন: নেশার টাকার না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
অভিযুক্ত রিপন জেলা শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে বন্ধু রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে এনে অতর্কিতভাবে রানার মুখে এসিড ছুড়ে মারে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঘুমন্ত স্ত্রীর ওপর এসিড নিক্ষেপ
২ বছর আগে
পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যা: স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রী আকলিমা খাতুনসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলাম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগির নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন, একই উপজেলার শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া ও গোপালপুর গ্রামের গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল ইসলাম।
জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় স্ত্রী আকলিমা খাতুনের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে হত্যা: স্বামীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম-ডুগডুগি এলাকার মাইক্রোবাস চালক রহিম বাদশার কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখতেন সেলিম মিয়া। সেই সুবাধে বাড়িতে আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে তার স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সেলিম। সেই সম্পর্ককে বিয়েতে গড়াতে আকলিমা ও সেলিম গোপনে মাইক্রোবাস চালক- রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী,২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে সেলিম ও আইনুল রহিমের গাড়িতে উঠে। পরে কৌশলে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি-বারোকান্দী দো’সীমানা এলাকায় মাইক্রোবাসের মধ্যেই গলা কেটে হত্যা করে তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
ওই দিনই নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন সাদা বাদি হয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তের পর একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এরপর এ মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার (আজ) দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসহাক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
পরকীয়ার বলি মেয়ে: মায়ের স্বীকারোক্তি
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় মা ও তাঁর কথিত প্রেমিক মিলে কুপিয়ে হত্যা করে মেয়ে নওরোজ আফরিন প্রিয়াকে (২১)।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে মা তাহমিনা সুলতানা রুমি (৪১) জেলার বিচারিক হাকিম কাতির্ক চন্দ্র ঘোষের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন বলে ইউএনবি-কে নিশ্চিত করেছেন শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. মান্নান। তিনি বলেন, মেয়ে মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় আসামিরা পরিকল্পনা করে প্রিয়াকে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ায় মামলা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ রায়শ্রী ইউনিয়নের আহাম্মদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কথিত প্রেমিক প্রিয়াদের প্রতিবেশী আ. হান্নান (৩১)। গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুমি ও হান্নানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানান, প্রিয়ার বাবা ইসমাইল হোসেন বিদেশে থাকার সুবাদে ৫/৬ বছর পূর্বে প্রিয়ার মা রুমির সাথে হান্নানের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রিয়া নিজেই একদিন আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দেখে ফেলে। পরে বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। ইসমাইল হোসেন স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে সৌদি আরব থেকে জানতে পেরে তার সাথে ছাড়াছাড়ির সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয়ভাবে শালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। এরপর হান্নান বিদেশে চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের এক মাস আগে হান্নান দেশে আসে। ঘটনার দিন রুমির সঙ্গে মিলে প্রিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার মলিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও কোন তথ্য পাওয়া গেলে আপনাদের জানাবো।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন!
৩ বছর আগে
পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
ফেনী শহরের নাজির রোডে দুবাই প্রবাসী স্বামী সোহেলকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী শিউলি আক্তারকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এ আদেশ দেন। শনিবার সন্ধায় চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দীঘি এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাব। পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় ক্ষোভে সোহেলকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী স্বীকার করেছেন।
রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তালাক দেয়ায় শিউলী ক্ষুব্ধ হয়ে বটি দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এর পর দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে কুমিল্লায় তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান বলেন, শিউলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার স্বামী সোহেলের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল তাকে মৌখিকভাবে তালাক দেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন
গত শুক্রবার সকালে শহরের নাজির রোড এলাকার চৌধুরী সুলতানা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর স্ত্রী শিউলি আক্তার দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ বছর আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সোহেলের পারিবারিকভাবে একই উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে শিউলীর সাথে বিয়ে হয়। গত একমাস আগে দুবাই থেকে তিনমাসের ছুটিতে দেশে আসেন সোহেল।
উল্লেখ্য, সোহেল হত্যার ঘটনায় তার মা নিরালা বেগম ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
৩ বছর আগে