জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রী আকলিমা খাতুনসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলাম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগির নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন, একই উপজেলার শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া ও গোপালপুর গ্রামের গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল ইসলাম।
জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় স্ত্রী আকলিমা খাতুনের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে হত্যা: স্বামীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম-ডুগডুগি এলাকার মাইক্রোবাস চালক রহিম বাদশার কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখতেন সেলিম মিয়া। সেই সুবাধে বাড়িতে আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে তার স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সেলিম। সেই সম্পর্ককে বিয়েতে গড়াতে আকলিমা ও সেলিম গোপনে মাইক্রোবাস চালক- রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী,২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে সেলিম ও আইনুল রহিমের গাড়িতে উঠে। পরে কৌশলে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি-বারোকান্দী দো’সীমানা এলাকায় মাইক্রোবাসের মধ্যেই গলা কেটে হত্যা করে তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
ওই দিনই নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন সাদা বাদি হয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তের পর একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এরপর এ মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে বৃহস্পতিবার (আজ) দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসহাক গ্রেপ্তার