আগ্রাসন
ইউরোপের দেশ না হয়েও ইসরায়েল কেন উয়েফার প্রতিযোগিতায়
দক্ষিণ ইসরায়েলে গাজার শাসক দল হামাসের গত বছরের অক্টোবরের হামলার জেরে উপত্যকাটিতে অব্যাহত অগ্রাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারায় ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনপন্থিদের সোচ্চার হতে দেখা গেছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা শঙ্কায় নেশন্স লিগে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায় বেলজিয়াম। পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরির একটি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৬ নভেম্বর রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি-আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচের আগে গ্যালারি থেকে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা যায়। পরের দিন রাতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ইউরোপা লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের পর ইসরায়েলি ক্লাব মাকাবি তেল আবিবের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়।
একই ঘটনা দেখা গেছে ফ্রান্সে নেশন্স লিগের ম্যাচ আয়োজনের আগেও। বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পুরো প্যারিস শহর।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
সাম্প্রতিক এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারও কারও মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হওয়া সত্ত্বেও কেন ইউরোপের প্রতিযোগিতায় খেলে ইসরায়েল ও তার ক্লাবগুলো।
এর উত্তর পেতে আমাদের ঢুঁ মারতে হবে ইতিহাসের পাতায়।
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৪৮ সালে দেশটির জাতীয় ফুটবল দল গঠন হয়। এর আগে ১৯২৯ সাল থেকেই ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) ব্যানারে ফিফার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছিলেন ইহুদি খেলোয়াড়রা। সে সময় আরব, ইহুদি, এমনকি ব্রিটিশ শাসনামলে ওই অঞ্চলে কর্মরত ব্রিটিশ পুলিশ ও সেনাদের ক্লাবগুলোও পিএফএর অধীনে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
জাতীয় দল গঠনের পর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসির একেবারে শুরুর দিকে আয়োজিত কয়েকটি এশিয়ান কাপেও অংশ নেয় ইসরায়েল। ১৯৫৬ সালে এশিয়ান কাপের প্রথম আসরসহ ১৯৬০, ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ সালের আসরে অংশ নেয় ইসরায়েল জাতীয় ফুটবল দল। এর মধ্যে ১৯৬৪ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে এশিয়ান কাপের শিরোপা জেতে দেশটি।
১৯৭৩ সালের শেষের দিকে মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ইয়ম কিপুর যুদ্ধের অবসানের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থেকে। আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ ফুটবলের ময়দানেও ছাপ ফেলে। সে সময় প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে কুয়েতের তদবিরে আরব দেশগুলো ইসরায়েলকে এএফসি থেকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশটি।
আরব লিগ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দেশের ফুটবল বাঁচাতে বিকল্প খুঁজতে থাকে ইসরায়েল। এশিয়া থেকে বের হয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য ওশেনিক ফুটবল ফেডারেশনে (ওএফসি) যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে দেশটি।
পরে সদস্য দেশ না হয়েও উয়েফার বিশেষ অনুগ্রহে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায় ইসরায়েল। ১৯৮২ সালে উয়েফা এবং তার পরের দুটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওএফসির অধীনে খেলে তারা।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা
পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি কৌশলগত সমাধানের অংশ হিসেবে ১৯৯১ সালে ইসরায়েলি ক্লাবগুলোকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ দেয় উয়েফা। এরপর ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলকে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তার পর থেকে স্থায়ীভাবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (ইউরো) ও নেশন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় ইসরায়েল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগে অংশগ্রহণ করে চলেছে দেশটির ক্লাবগুলো।
ইউরোপের এলিট ফুটবলে খেললেও গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটির বিভিন্ন ক্লাব ও সমর্থকদের প্রতি ক্ষোভ থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিষয়টি কেবল ক্রীড়া ক্ষেত্রে নয়, শিক্ষা রাজনীতিসহ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঙ্গনে।
অবশ্য ফুটবলকে কেন্দ্র করে ইহুদিদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার অভিযোগও ওঠে প্রায়ই। সবশেষ গত রাতে অনুষ্ঠিত ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগেও এমন ঘটনার কথা জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ম্যাচের আগে প্যারিসে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসরায়েলের সমর্থনকারী ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থি ইহুদিরা। ফ্রান্সে বসবাসকারী ইহুদিদের সংগঠিত করতে মূলত ‘ইসরায়েল ইজ ফরেভার’ নামের একটি ইসরায়েলপন্থি সংগঠন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য তহবিল সংগ্রহও অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ছিল বলে খবর পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ফুটবলে ১৯৬৪ সালের এশিয়ান কাপ জয়ই ইসরায়েলের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় অর্জন। উয়েফার কোনো প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি তারা।
উয়েফায় যোগ দেওয়ার পর থেকে ২০০৮ সালে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ ১৫তম অবস্থানে উঠেছিল ইসরায়েল। এ র্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৮১তম।
১ মাস আগে
ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৫ মার্চ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জেদ্দা যাবেন।
১-৩ মার্চ তুরস্কে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন।
ফোরামে হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
ওআইসি সদর দপ্তর জানিয়েছে,ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) খসড়া এজেন্ডা এবং কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ও গ্রহণ এবং খসড়া রেজুলেশনটি বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলে জমা দেবেন।
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রসমূহের লীগ যৌথভাবে আয়োজিত বিশেষ যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য, কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সফরের জন্য সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত নির্বাহী কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা স্রেফ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, জাতিগত নিধন চলছে।’ এই সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমস্টেকের পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উদ্বোধন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এই 'যুদ্ধ ও গণহত্যা' বন্ধে যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখছেন না এবং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাছান মাহমুদ। এসব নৃশংসতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, 'আমি মনে করি, গাজায় এসব নৃশংসতা, জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটির বৈঠক ৩ মার্চ শেষ হয়।
'অ্যাডভান্সিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অব টার্ময়েল’ শীর্ষক এবারের আয়োজনে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
৯ মাস আগে
খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন আমাদের কাজকে ব্যাহত করছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ভূমিদস্যুদের খালের দখলদারিত্বের আগ্রাসন থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারছি না। দখল এবং ভূমিদস্যুদের যে আগ্রাসন, এসব কার্যক্রম আমাদেরকে ব্যাহত করছে।
তিনি বলেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: সকল ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইওয়ে সংলগ্ন খালের বাৎসরিক পরিস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে নর্দমাগুলো গ্রহণের পর বার্ষিক সূচি করে বছরের প্রথম থেকেই (জানুয়ারি মাস থেকে) আমরা খালগুলো পরিস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকি। এ বছরে সে কার্যক্রম আজ হতে এখান থেকে আমরা শুরু করছি।
এছাড়া আমরা প্রতিনিয়তই এর বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছি। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, আমরা তো যথাযথ জরিমানা করছি। কিন্তু তারপরও আসলে যারা ভূমিদস্যু তারা নিবৃত্ত হয় না। যেখানেই যেটা অবৈধ দখল পাচ্ছি সেখানেই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
এছাড়া দখলমুক্ত করছি এবং জরিমানাও করছি।
দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি এখানকার দখলদারিত্ব সম্পর্কে আমরা পত্রিকার দেখেছিলাম। পত্রিকায় দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিন্তু পুরোটাই দখলমুক্ত করেছি। দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ আমরা নিশ্চিত করেছিলাম।
কিন্তু আজকে যখন আবার মাত্র ছয় মাস পরে আমরা এখানে আসলাম, তখন দেখছি তারা এখানে স্থায়ীভাবে দখল করেছে। সুতরাং এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এটাকে আবারও দখলমুক্ত করে খালের প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সেটা নিশ্চিত করার কথাও জানান মেয়র তাপস।
এরপরে মেয়র ৩৯ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে গণশৌচাগার, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়র সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে কিউলেক্স মশক নিধন কার্যক্রম এবং ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদা এলাকায় প্রান্তিক জনগণের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এবং ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
নিরাপদ করিডোর দিয়ে ইউক্রেন ছাড়ছেন বেসামরিক নাগরিকেরা
ইউক্রেনে নিরাপদ করিডোর বরাবর বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে নাগরিকবাহী বাসগুলো নিরাপদ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথটি ছিল রুশ সেনাদের দেয়া প্রতিশ্রুত পাঁচটির মধ্যে একটি, বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পথটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে এ সুযোগ কতোদিন থাকবে তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ সংস্থার পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, ‘ইউক্রেনীয় শহর সুমিকে একটি নিরাপদ করিডোর দেয়া হয়েছে। সুমি রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যেমন আছে নারী ও শিশুরা
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার সকালের জন্য সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির পূর্বাভাস দিয়ে বলেছেন, কিয়েভ এবং অন্যান্য শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকেরা মানবিক করিডোর ব্যবহার করে তারা যেখানে যেতে চায়, সেখানে যেতে পারবে। এর আগে যদিও তারা বলেছিল এই করিডোর গুলো দিয়ে ইউক্রেনীয় নাগরিকরা শুধুমাত্র বেলারুশে স্থানান্তরিত হতে পারবে। বর্তমানে এ বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় স্থল যুদ্ধের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়ার পূর্ববর্তী প্রচেষ্টাগুলো ভেস্তে যাওয়ায়, মানবিক করিডোর কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেন সন্দেহ পোষণ করছে।
আগ্রাসনের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুশ সেনারা দক্ষিণ ইউক্রেনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে শত শত চেকপয়েন্ট ও ব্যারিকেড দিয়ে শহরটি দখলের রুশ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভসহ ইউক্রেনের ৪ শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
মঙ্গলবার কিয়েভের মেয়র আনাতোল ফেডোরুক বলেছেন, আমরা লাশগুলোও উদ্ধার করতে পারছি না। কারণ ভারী অস্ত্রের গোলা ছোঁড়া দিনে ও রাতে কখনও থামছে না। শহরের রাস্তায় কুকুরগুলো লাশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এগুলো দুঃস্বপ্ন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণের শহর মারিউপোল। এই শহরে চার লাখ ৩০ হাজার নাগরিকের মধ্যে আনুমানিক দুই লাখ মানুষই ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে পালিয়েছে।
২ বছর আগে
এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বড় ও ছোট সব দেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।
বিবৃতিতে সিঙ্গাপুর রাশিয়ার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সব ধরনের সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা জানিয়েছে। সিঙ্গাপুর বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ার যুদ্ধ করার এবং ‘সাইবার আগ্রাসনে জড়িত হওয়ার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ: নো-ফ্লাই জোন প্রত্যাখ্যানের জন্য ন্যাটোর নিন্দা জেলেনস্কির
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর আরও বলেছে, তাদের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চারটি রাশিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন সীমিত করার পদক্ষেপ নেবে। এই ব্যাংক চারটি হলো- ভিটিবি ব্যাংক, ব্যাংক রশিয়া, প্রমসভিয়াজব্যাঙ্ক পাবলিক জয়েন্ট স্টক কোং এবং করপোরেশন ব্যাংক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফরেন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ভেনেশেকোনমব্যাঙ্ক। এই চারটি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করলে, সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হবে।
সিঙ্গাপুর আরও জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার ব্যাপারে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ২ শহরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
রাশিয়ায় বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ
২ বছর আগে
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস
অবিলম্বে ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আগ্রাসন বন্ধ করা এবং সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থনে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
বুধবার ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ শিরোনামের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪১টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর রাশিয়া, বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া এই পাঁচটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এসময় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও চীনসহ ৩৫টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
প্রস্তাবটি এমন সময়ে পাশ হয়েছে যখন রাশিয়া ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে বোমাবর্ষণ করেছে এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর অবরোধসহ সামরিক যানের একটি বিশাল বহর নিয়ে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ৭ দিনে ইউক্রেন ছেড়েছে ১০ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
চীন ও ভারতের ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা প্রত্যাশিত ছিল, তবে রাশিয়ান মিত্র কিউবা ও নিকারাগুয়ার ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকাটা কিছুটা বিস্ময়কর। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতিসংঘের এই বিশেষ অধিবেশনকে ঐতিহাসিক এবং ‘অভূতপূর্ব বিশ্ব ঐক্যের’ প্রদর্শন বলে অভিহিত করেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এক সপ্তাহে দেশটি থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিবেশি দেশে পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনে
যুদ্ধ নিয়ে নতুন আলোচনায় রাজি ইউক্রেন ও রাশিয়া
২ বছর আগে
ইউক্রেন সংকট: মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘের ২০ মিলিয়ন অর্থ বরাদ্দ
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে প্রাণহানির ঘটনায় দেশটিতে মানবিক সহায়তা দিতে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, সব সময় নিরপরাধ মানুষকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়। এই কারণেই জাতিসংঘ ইউক্রেন ও এর আশেপাশে তাদের মানবিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছে।
বৃহস্পতিবার গুতেরেস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে জাতিসংঘ অবিলম্বে কেন্দ্রীয় জরুরি প্রতিক্রিয়া তহবিল থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট: দ্বিতীয় দিনে কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণ
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও এর মানবিক অংশীদাররা ইউক্রেনের প্রয়োজনে তাদের জনগণের পাশে থাকবে এবং সহায়তা করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে রাশিয়ার সামরিক অভিযান জাতিসংঘের সনদের সঙ্গে সরাসরি বিরোধপূর্ণ।
সনদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সকল সদস্য রাষ্ট্র তাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি বা শক্তির ব্যবহার থেকে কিংবা জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অন্য যে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, এটি ভুল। এটি সনদের পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য। তবে এটি অপরিবর্তনীয় নয়।
তিনি বুধবার রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান পুনব্যক্ত করে বলেন, সামরিক অভিযান বন্ধ করুন। সৈন্যদের রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনুন।
আরও পড়ুন: চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে রুশ সেনারা
রাশিয়া আলোচনার জন্য এখনও প্রস্তুত: সের্গেই লাভরভ
২ বছর আগে
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বদলে সংলাপের আহ্বান ঢাকার
ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের হামলার পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে বলেছে, ‘এই ধরনের সহিংসতা সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।’
বাংলাদেশ সরকার বলেছে,তারা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে এবং এর বাইরেও এই অঞ্চলের অবনতিশীল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সঙ্কটের সম্ভাব্য প্রভাবগুলি মূল্যায়ন করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার ইউক্রেনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে এবং প্রয়োজনে পোল্যান্ডে যেতে বলেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রেখেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,‘আমরা সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের অবিলম্বে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মসৃণ সমন্বয়ের জন্য ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত জনবল ও সহায়তা দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে।’
তারা আরও জানায়, সব ধরনের কনস্যুলার সহায়তা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ
রুশ হামলা বন্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ চায় ইউক্রেন
২ বছর আগে