ইউক্রেনে নিরাপদ করিডোর বরাবর বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে নাগরিকবাহী বাসগুলো নিরাপদ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথটি ছিল রুশ সেনাদের দেয়া প্রতিশ্রুত পাঁচটির মধ্যে একটি, বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পথটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে এ সুযোগ কতোদিন থাকবে তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ সংস্থার পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, ‘ইউক্রেনীয় শহর সুমিকে একটি নিরাপদ করিডোর দেয়া হয়েছে। সুমি রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দূরে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যেমন আছে নারী ও শিশুরা
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার সকালের জন্য সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির পূর্বাভাস দিয়ে বলেছেন, কিয়েভ এবং অন্যান্য শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকেরা মানবিক করিডোর ব্যবহার করে তারা যেখানে যেতে চায়, সেখানে যেতে পারবে। এর আগে যদিও তারা বলেছিল এই করিডোর গুলো দিয়ে ইউক্রেনীয় নাগরিকরা শুধুমাত্র বেলারুশে স্থানান্তরিত হতে পারবে। বর্তমানে এ বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় স্থল যুদ্ধের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়ার পূর্ববর্তী প্রচেষ্টাগুলো ভেস্তে যাওয়ায়, মানবিক করিডোর কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেন সন্দেহ পোষণ করছে।
আগ্রাসনের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুশ সেনারা দক্ষিণ ইউক্রেনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামলা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে শত শত চেকপয়েন্ট ও ব্যারিকেড দিয়ে শহরটি দখলের রুশ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভসহ ইউক্রেনের ৪ শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
মঙ্গলবার কিয়েভের মেয়র আনাতোল ফেডোরুক বলেছেন, আমরা লাশগুলোও উদ্ধার করতে পারছি না। কারণ ভারী অস্ত্রের গোলা ছোঁড়া দিনে ও রাতে কখনও থামছে না। শহরের রাস্তায় কুকুরগুলো লাশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এগুলো দুঃস্বপ্ন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণের শহর মারিউপোল। এই শহরে চার লাখ ৩০ হাজার নাগরিকের মধ্যে আনুমানিক দুই লাখ মানুষই ইতোমধ্যে শহর ছেড়ে পালিয়েছে।