কিয়েভ
ঢাকা বিশ্বের ৭ম কম বসবাসযোগ্য শহর, যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ থেকেও এর অবস্থান নিচে!
সর্বশেষ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গ্লোবাল লাইভবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকেও দুই ধাপ নিচে বিশ্বের সপ্তম সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে ঢাকা।
তবে ইআইইউ’র প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী,, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার স্কোর গত বছরের তুলনায় ব্যাপক উন্নতি করেছে।
ঢাকা সর্বমোট ১০০ এর মধ্যে ৪৩.৮ স্কোর করেছে, যা জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে’র সমান।
সে হিসেবে ঢাকা এই সূচকে ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৭তম স্থানে রয়েছে।
ইআইইউ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ৩০টিরও বেশি গুণগত এবং পরিমাণগত বিবেচনা অনুযায়ী শহরগুলোকে তালিকাবদ্ধ করেছে। এগুলো হলো- স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
একটি শহরের এই প্রত্যেকটি উপাদান গ্রহণযোগ্য, সহনীয়, অস্বস্তিকর, আপত্তিকর বা অসহনীয় হিসাবে রেট করা হয়েছে।
স্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ১০০ এর মধ্যে ৫০ স্কোর করেছে; যা ২০২২ সালের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাজধানী স্কোরে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। ২০২২ সালে স্কোর ছিল ২৯.২ ও ৪১.৭; এর তুলনায় ঢাকা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় এই বছর যথাক্রমে ৪১.৭ ও ৭৫ স্কোর করেছে।
২০২২ সালে, ঢাকার সামগ্রিক স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৩৯.২ ছিল।
তবে, ২০২৩ সালে শহরের সংস্কৃতি ও পরিবেশের (৪০.৫) এবং অবকাঠামো (২৬.৮) ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
যদিও ২০২৩ সালের ইআইইউ এর লাইভবিলিটি ইনডেক্সে অনেক এশিয়ান শহর স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাল স্কোর করেছে, তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার শহরগুলো কোভিড-১৯ মহামারি এবং পরবর্তী নানা প্রতিকূলতার কারণে গত বছর থেকে পিছিয়ে গেছে।
রিপোর্টটিতে দেখা যায়, সমীক্ষায় ১৭২টি শহরে (কিয়েভ বাদে) গড় স্কোর এখন ১০০ এর মধ্যে ৭৬.২-এ পৌঁছেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৩.৩।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ১০০ এর মধ্যে ৯৮.৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসেবে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
বিপরীতে, সিরিয়ার দামেস্ক ১০০-এর মধ্যে ৩০.৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহরের স্থান পেয়েছে।
পশ্চিম ইউরোপীয় শহরগুলো ২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গেছে, কারণ শ্রমিক ধর্মঘট এবং অন্যান্য নাগরিক অস্থিরতা তাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে কিয়েভ এই বছরের শীর্ষ কম বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে এর স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শহরটি সূচকে ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৫তম স্থানে ছিল।
ইআইইউ রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২২ সালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ৯৬তম স্থানে নেমে আসার পর, এই বছরও তার অবস্থান স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
শীর্ষ ১০ সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর
১. ভিয়েনা (৯৮.৪)
২. কোপেনহেগেন (৯৮.০)
৩. মেলবোর্ন (৯৭.৭)
৪. সিডনি (৯৭.৪)
৫. ভ্যাঙ্কুভার (৯৭.৩)
৬. জুরিখ (৯৭.১)
৭. ক্যালগারি (৯৬.৮)
৮. জেনেভা (96.8)
৯. টরন্টো (৯৬.৫)
১০. ওসাকা (৯৬.০)
শীর্ষ ১০ কম বাসযোগ্য শহর
১. দামেস্ক (৩০.৭)
২. ত্রিপোলি (৪০.১)
৩. আলজিয়ার্স (৪২.০)
৪. লাগোস (৪২.২)
৫. করাচি (৪২.৫)
৬. পোর্ট মোরসবি (৪৩.৪)
৭. ঢাকা (৪৩.৮)
৮. হারারে (৪৩.৮)
৯. কিইভ (৪৪.০)
১০. ডুয়ালা (৪৬.৪)
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
১ বছর আগে
কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
গুরুত্বপূর্ণ এক সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতে গত কয়েক মাসের মধ্যে সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে। প্রাণঘাতী এ হামলায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু গুড়িয়ে যায়, বিদ্যুৎ ও পানি বিচ্ছিন্ন হয়, ভবন ভেঙে যায় এবং অন্তত ১৪ জন নিহত হয়।
ইউক্রেনের ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, পশ্চিমে লভিভ থেকে পূর্বে খারকিভ পর্যন্ত বিস্তৃত অন্তত ১৪ অঞ্চলে রাশিয়া আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে হামলা করে। সকালের ব্যস্তময় সময়ে এ ঘটনায় অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। এ হামলার বেশ কয়েকটি যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনের বেশ দূরে থেকে করা হয়।
যদিও রাশিয়া বলেছে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক ও জ্বালানি সুবিধাকে লক্ষ্য করা হয়, তবে কিছু বেসামরিক এলাকায় এলাকাবাসীরা কাজে ও স্কুলে যাওয়ার সময় এর শিকার হন। এর একটি কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থলে এক খেলার মাঠে এবং অন্যটি এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আঘাত হানে।
এ ঘটনায় দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ব্ল্যাকআউট দেখা দেয়। এতে সোমবার হাজারও মানুষ বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয়ে পড়ে। এ সময় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জনগণকে সংরক্ষণ করতে বলে এবং জানিয়ে দেয় যে মঙ্গলবার থেকে তারা ইউরোপে বিদ্যুৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। পাম্প ও অন্যান্য সরঞ্জাম চালানোর জন্য সিস্টেম বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে প্রায়ই বাসিন্দাদের পানি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় স্কুলে হামলা: ১১ শিশুসহ নিহত ১৭
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ‘হামলার কোনো ‘বাস্তব সামরিক অর্থ’ ছিল না এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্যই ছিল একটি মানবিক বিপর্যয় ঘটানো।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তার বাহিনী কিয়েভের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড বলে দাবি করার জন্য প্রতিশোধ হিসেবে ‘নিখুঁত অস্ত্র’ দিয়ে মূল শক্তি অবকাঠামো ও সামরিক কমান্ড সুবিধাগুলোকে লক্ষ্য করে। মস্কোর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেন শনিবার রাশিয়া ও ক্রিমিয়ান পেনিনসুলাকে যুক্ত করা এক গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে হামলা চালায়। পুতিন অভিযোগ করেন যে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী সেতুটিতে হামলার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
২ বছর আগে
ইউক্রেন সফরকালে নাগরিকদের ওপর হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা
ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার সব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলায় দুটি ভবনে আঘাত হানলে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত একজন পা হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করার মাত্র এক ঘণ্টা পরে বোমা হামলা হয়। গুতেরেস কিয়েভ ও এর আশ-পাশে কিছু ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, ‘ইউক্রেন অসহ্য দুঃখ ও বেদনার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।’
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমে পোলোনে, বেলারুশের সীমান্তের কাছে চেরনিহিভ এবং রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বড় রেলওয়ে হাব ফাস্টিভে। দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসার মেয়র বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষার মাধ্যমে রকেট প্রতিহত করা হয়েছে।
দনবাস ও খারখিভেও রুশ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কিয়েভ যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে নতুন করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া
রুশ বাহিনী কিয়েভ ও এর আশেপাশের বেশ কয়েকটি শহরে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। শনিবার যুদ্ধের ৫২তম দিন নতুন করে তাদের আক্রমণাত্মক হামলার পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে।
কৃষ্ণ সাগরের যুদ্ধজাহাজ হারানোর কারণে এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ‘আগ্রাসনের’ কারণে ক্ষুব্ধ রাশিয়ার সামরিক কমান্ড ইউক্রেনের রাজধানীতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
মস্কোর কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা শুধু ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা করছে।
প্রকৃত অবস্থা যদিও ভিন্ন। প্রতিদিন হামলায় অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক মারা যাচ্ছে। শনিবারও উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের শহর খারকিভের একটি আবাসিক এলাকায় রকেট হামলায় এক শিশুসহ অন্তত ৯ জন মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিয়েভ অঞ্চলে ৯ শতাধিক মানুষের লাশ উদ্ধার: পুলিশ
কিয়েভের ঠিক পাশের শহর ও গ্রাম থেকে রুশ সেনা পিছু হটার পর ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ ৯০০টিরও বেশি বেসামরিক মানুষের লাশ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার রাজধানীতে হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো যুদ্ধের আগে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের ফিরে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজধানীতে হামলা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। যদি আপনার যেখানে আছেন সেটা নিরাপদ স্থান হয় এবং সেখানে আরেকটু বেশি সময় থাকার সুযোগ থাকে, তবে সেখানেই থাকুন।’
কিয়েভের দারনিটস্কি জেলায় হামলায় কী ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি। রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে বিস্তৃত এই এলাকায় সোভিয়েত-শৈলীর অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, নতুন শপিং সেন্টার এবং বড়-বক্স খুচরা দোকান, শিল্প এলাকা এবং রেলইয়ার্ড রয়েছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, দারনিটস্কিতে একটি সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শান্তির প্রধান পদক্ষেপ: জেলেনস্কি
রুশ সামরিক বাহিনী এই সপ্তাহে রাজধানীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর এটি ছিল কিয়েভ এলাকায় দ্বিতীয় হামলা। শুক্রবার আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রে আঘাত হানে।
রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নতুন করে এমন সময় শহরটিতে আঘাত হানে যখন বাসিন্দারা নতুন করে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসছিল, বিদেশি দূতাবাসগুলো পুনরায় খোলার পরিকল্পনা চলছে এবং কিয়েভ থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারের পরে শহরের যুদ্ধপূর্ব অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করে।
শনিবার কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়সহ দেশজুড়ে আটটি অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যায়।
পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভের গভর্নর বেলারুশ থেকে উড্ডয়নকারী রাশিয়ান এসইউ-৩৫ দ্বারা এই অঞ্চলে বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন।
রুশ সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে গোলাবর্ষণ বাড়িয়েছে। শুক্রবারের হামলায় এ শহরের অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে।
খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, শনিবারও এখানে হামলা হয়েছে। এদিনের হামলায় তিনজন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বন্দর নগরী মারিউপোল অবরুদ্ধতা অব্যাহত রয়েছে। ক্রমে যা যা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ইউক্রেনে ফিরছেন ৩০ হাজার মানুষ: জাতিসংঘ
২ বছর আগে
ইউক্রেনের বুচা শহরে ৪১০টি লাশের সন্ধান
ইউক্রেনের বুচা শহরে ৪১০ জনের মতো বেসামরিক লোকের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিয়েভের কাছাকাছি শহরগুলো থেকে রুশ সৈন্যদের সরে যাওয়ার পর লাশগুলোর সন্ধান পাওয় গেছে।
বুচা থেকে পাঠানো লাশের ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় নেতারা এ নৃশংসতার নিন্দা করেছেন এবং মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান সৈন্যরা পিছু হটছে: জেলেনস্কি
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে বুখার আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২১ জনের লাশ দেখতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।এদের খুব কাছ থেকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে ‘উস্কানি’ বলে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৬, আহত ১০
২ বছর আগে
কিয়েভ পুনর্দখলের দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ান বাহিনী থেকে রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকাগুলো পুনর্দখলের দাবি করেছে ইউক্রেন।
রাশিয়া কিয়েভের চারপাশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের দিকে শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বলে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা নিশ্চিত করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, রুশ সৈন্যরা কিয়েভের আশপাশ থেকে চলে যাওয়ার সময় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য একটি ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতি তৈরি করে গেছে। তারা বাড়ির আশেপাশে, পরিত্যক্ত সরঞ্জাম এবং এমনকি মরদেহের নিচেও মাইন পুতে গেছে। তবে তার দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
দৃশ্যমান পরিবর্তনের অর্থ এই নয় যে পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ থেকে মুক্তি মিলেছে বা ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা ৪০ লাখের বেশি শরণার্থী শিগগিরই ফিরে আসবে।
এদিকে শনিবার রাতের ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, তার দেশের সেনারা রাশিয়ানদের বিনা লড়াইয়ে পিছু হটতে দিচ্ছে না, বরং তাদের গোলাবর্ষণ করছে।
রাশিয়ান সৈন্যদের লক্ষ্য কি? তারা ডনবাস এবং ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চল দখল করতে চায়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কি? আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের ভূমি এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
পড়ুন: পিছু হটা রুশ সেনারা অসংখ্য মাইন রেখে গেছে: জেলেনস্কি
যুদ্ধে ইউক্রেনের ৫৩ ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনেস্কো
২ বছর আগে
কিয়েভ ও চেরনিহিভ থেকে সামরিক তৎপরতা কমাবে মস্কো
তুরস্কের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার পর পরই ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া।
মস্কো জানিয়েছে, তারা রাজধানী কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে তাদের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে সবচেয়ে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্দার ফোমিন বলেছেন, তাদের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করা এবং আরও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা।
তুরস্কে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পর তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভুলত কাভুসগলুও আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই উল্লেখযোগ্য রকমের অগ্রগতি ঘটলো।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, এই আলোচনা এখন এক বাস্তব পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।
কিয়েভের ওপর রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই থমকে আছে।
ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রতিরোধের মুখে রাজধানীর আশেপাশের কিছু জায়গা থেকে রুশ বাহিনী ইতোমধ্যে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।
পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মারিউপোলসহ যেসব জায়গায় বড় ধরনের সংঘর্ষ হচ্ছে সেসব জায়গার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
ইস্তাম্বুলের শান্তি সংলাপে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, তাদেরকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়া হলে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোতে যোগ না দিয়ে তারা নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিয়েছে।
আর এটাই রাশিয়ার প্রধান দাবি।
শিয়ার প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, তারা এই প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে পৌঁছে দেবেন।
রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্দার ফোমিন শান্তি আলোচনায় অংশ নেন।
রুশ টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এবং পরমাণু-মুক্ত মর্যাদা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে’ অগ্রগতি হয়েছে।
এর পরই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামরিক তৎপরতা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনার কথা ঘোষণা করে।
ইউক্রেন পক্ষের মধ্যস্থতাকারী ওলেকসান্দার চ্যালি সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের দেশের ‘ভৌগলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্যেই ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে তা অর্জন করা হবে।’
ইউক্রেন বলছে কিয়েভ ও চেরিনিহিভ এই দুটো জায়গা থেকে রুশ সেনা কমিয়ে আনার লক্ষণ তারা দেখতে পাচ্ছেন।
তবে তারা বলছেন নতুন সৈন্য মোতায়েন রাশিয়ার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে সামনাসামনি একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
পড়ুন: নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
২ বছর আগে
কিয়েভে গোলার আঘাতে রুশ সাংবাদিক নিহত
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ান বাহিনীর গোলার আঘাতে এক রুশ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
নিহত ওই সাংবাদিকের নাম ওকসানা বাউলিনা। তিনি কিয়েভ ও দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ থেকে অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট দ্য ইনসাইডারের জন্য কাজ করতেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনুসন্ধানী ওয়েবসাইটটির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: মস্কো থেকে আমেরিকান কূটনীতিক বহিষ্কার
বাউলিনা পডিল জেলায় ক্ষয়-ক্ষতির চিত্রধারণের সময় মারা যান বলে জানায় ওয়েবসাইটটি।
এর আগে বাউলিনা রাশিয়ার বিরোধী ব্যক্তিত্ব আলেক্সি নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করেছিলেন এবং রাশিয়া ত্যাগ করেন তিনি।
দ্য ইনসাইডার জানায়, এ সময় গোলার আঘাতে আরেকজন নিহত ও আরও দুজন আহত হন।
বাউলিনাকে নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের এক মাসে পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৭ থেকে ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত: ন্যাটো
২ বছর আগে
কিয়েভ-মস্কো আলোচনা বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে দেয়া সর্বশেষ ফেসবুক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার দাবিগুলো ‘আরও বাস্তবসম্মত’ হয়ে উঠতে শুরু করেছে।’
তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হতে আরও সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখনও প্রচেষ্টা প্রয়োজন, ধৈর্য্য প্রয়োজন। যেকোনো যুদ্ধ একটি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়।’
বুধবারর ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে উভয় পক্ষ আবার আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসে বুধবার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বোমাবর্ষণ আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। বন্দর শহর মারিউপোলতে নতুন করে আক্রমণ শুরু রুশ সামরিক বাহিনী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে ইতোমধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড এবং অন্যান্য প্রতিবেশি দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের বৃহত্তম শরণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে।
পড়ুন: রুশ হামলায় কিয়েভে আগুন, পরিদর্শনে ইইউ এর ৩ নেতা
আলোচনা চলমান সত্ত্বেও ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত
২ বছর আগে
রুশ হামলায় কিয়েভে আগুন, পরিদর্শনে ইইউ এর ৩ নেতা
রাশিয়ার অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত তিনটি দেশের নেতা।
এদিনও ভোর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একটি আবাসিক এলাকায় সিরিজ আঘাত হেনেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায় রুশ আর্টিলারি হামলায় কিয়েভজুড়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। হামলায় একটি ১৫ তলা অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে যায়। এসময় অন্তত একজন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন ভকনটির ভেতরে আটকা পড়েছে।
এছাড়াও বিস্ফোরণে একটি আন্তঃনগর পাতাল রেল স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরটির কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণের একটি ছবি টুইট করে বলেছে, এই স্টেশনগুলোতে আর ট্রেন থামবে না।
রাশিয়া কিয়েভের ওপর আক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়াচ্ছে। পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়ার নেতারা এর মধ্যেই ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশনে কিয়েভ পরিদর্শনে যাবে।
চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এই সফরের উদ্দেশ্য ইউক্রেন ও এর স্বাধীনতার প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রকাশ করা।’
তার সঙ্গে যোগ দেবেন স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেনেজ জানসা, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি এবং জারোস্লো কাকজিনস্কি, যিনি পোল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং রক্ষণশীল শাসক দলের নেতা।
আরও পড়ুন: আলোচনা চলমান সত্ত্বেও ইউক্রেনে রুশ হামলা অব্যাহত
সম্প্রতি কিয়েভের উপকণ্ঠে লড়াই তীব্র হয়েছে এবং রাজধানীর চারপাশে বিক্ষিপ্তভাবে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে আর্টিলারি হামলায় পশ্চিম কিয়েভের স্ব্যাতোশিনস্কি জেলা ও ইরপিনের শহরতলির সংলগ্ন এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। কিয়েভের উত্তরের পডিলস্কি জেলার একটি ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং গোলাবারুদের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, রুশ বাহিনী ইরপিন, উত্তর-পশ্চিম কিয়েভ শহরতলির হোস্টমেল এবং বুচাতেও রাতে হামলা চালিয়েছে।
একটি ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে কুলেবা বলেন, অনেক রাস্তা (ওই এলাকার) ইট ও ইস্পাতের টুকরোর স্তূপে পরিণত হয়েছে। নাগরিকেরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বেসমেন্টে লুকিয়ে আছে এবং এমনকি হামলার ভয়ে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছে।
গত ১০ দিন বা তারও বেশি সময় ধরে প্রাণঘাতী হামলায় মারিউপোল শহরের নাগরিকদের বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবনকে চূর্ণ করে দিয়েছে। এবং মানুষ খাবার,পানীয়,বিদ্যুৎ ও ওষুধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে৷
সোমবার শহরটির কাউন্সিলর জানিয়েছে, ১৬০টি বেসামরিক গাড়ির একটি কনভয় একটি মানবিক পথ দিয়ে নাগরিকদের বন্দর নগরী মারিউপোল থেকে অন্যত্র নিয়ে গেছে।
বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেয়ার এবং চার লাখ ৩০ হাজার নাগরিকের এই শহরটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা যুদ্ধের কারণে ব্যর্থ হয়েছিল।
চেচনিয়ার রাশিয়ান অঞ্চলের ক্রেমলিন-সমর্থিত নেতা একটি মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন যে চেচেন যোদ্ধারা মারিউপোল আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত ইউক্রেনের
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক অবস্থা বাড়াতে এবং যুদ্ধের জন্য ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশে রাখতে চাইছেন।
অন্যদিকে,রাশিয়ান সামরিক বাহিনী বলেছে যে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত শহর ডোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ২০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তবে এ তথ্যটি যাচাই করা যায়নি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ২১তম দিনে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নীতিনির্ধারকেরা দ্বিতীয় দিনের মতো আলোচনার পরিকল্পনা করছে। সোমবার ব্যর্থ হওয়ার পরে মঙ্গলবার পুনরায় রুশ ও ইউক্রেনীয় আলোচকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। উভয় পক্ষ আলোচনার বিষয়ে কিছু আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহযোগী মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন,‘শান্তি, যুদ্ধবিরতি, অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার এবং নিরাপত্তা গ্যারান্টি’ নিয়ে আলোচনা হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে জাতিসংঘ কমপক্ষে ৫৯৬ জন বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। যদিও তাদের ধারণা প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
ইউক্রেন দাবি করেছে, মারিউপোলের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনী ১৫০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করেছে এবং দুটি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে।
ইতোমধ্যে ২৮ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের বৃহত্তম শরণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি জেলেনস্কির
২ বছর আগে