গুরুত্বপূর্ণ এক সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতে গত কয়েক মাসের মধ্যে সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে। প্রাণঘাতী এ হামলায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু গুড়িয়ে যায়, বিদ্যুৎ ও পানি বিচ্ছিন্ন হয়, ভবন ভেঙে যায় এবং অন্তত ১৪ জন নিহত হয়।
ইউক্রেনের ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, পশ্চিমে লভিভ থেকে পূর্বে খারকিভ পর্যন্ত বিস্তৃত অন্তত ১৪ অঞ্চলে রাশিয়া আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে হামলা করে। সকালের ব্যস্তময় সময়ে এ ঘটনায় অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। এ হামলার বেশ কয়েকটি যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনের বেশ দূরে থেকে করা হয়।
যদিও রাশিয়া বলেছে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক ও জ্বালানি সুবিধাকে লক্ষ্য করা হয়, তবে কিছু বেসামরিক এলাকায় এলাকাবাসীরা কাজে ও স্কুলে যাওয়ার সময় এর শিকার হন। এর একটি কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থলে এক খেলার মাঠে এবং অন্যটি এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আঘাত হানে।
এ ঘটনায় দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ব্ল্যাকআউট দেখা দেয়। এতে সোমবার হাজারও মানুষ বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয়ে পড়ে। এ সময় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জনগণকে সংরক্ষণ করতে বলে এবং জানিয়ে দেয় যে মঙ্গলবার থেকে তারা ইউরোপে বিদ্যুৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। পাম্প ও অন্যান্য সরঞ্জাম চালানোর জন্য সিস্টেম বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে প্রায়ই বাসিন্দাদের পানি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় স্কুলে হামলা: ১১ শিশুসহ নিহত ১৭
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ‘হামলার কোনো ‘বাস্তব সামরিক অর্থ’ ছিল না এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্যই ছিল একটি মানবিক বিপর্যয় ঘটানো।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তার বাহিনী কিয়েভের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড বলে দাবি করার জন্য প্রতিশোধ হিসেবে ‘নিখুঁত অস্ত্র’ দিয়ে মূল শক্তি অবকাঠামো ও সামরিক কমান্ড সুবিধাগুলোকে লক্ষ্য করে। মস্কোর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেন শনিবার রাশিয়া ও ক্রিমিয়ান পেনিনসুলাকে যুক্ত করা এক গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে হামলা চালায়। পুতিন অভিযোগ করেন যে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী সেতুটিতে হামলার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন