আসিয়ান
মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ানের বাজার ধরতে পারে বাংলাদেশ: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার
ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতির দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বৃহত্তর আসিয়ান বাজারের কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়াকে ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের তিনি বলেন, ‘এফটিএ আপনাদের কাছে বাজারে প্রবেশের সুবিধা দেয়। আপনাদের খুব চ্যালেঞ্জিং বাজারে খুব প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এফটিএ এমন একটি মাধ্যম, যা বিশেষ ব্যবস্থার সুযোগ করে দেয়।’
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুই আঞ্চলিক দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশ।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠার এবং মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ান বাজারকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হলো দু'দেশের মধ্যে বর্তমান সহযোগিতা।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়াকে দেওয়া সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতার আরও দুটি ক্ষেত্র শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল ট্যুরিজম)খাত নিয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার হাজনাহ।
শিক্ষা খাতের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যের সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই, নারী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, তারা সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যয়ের বিষয়ে সরকারের জোরালো নজরদারি রয়েছে এবং এর সুবিধা নিতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় এবং তার দেশই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম মুসলিম দেশ।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখি।
হাইকমিশনার ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের কথা স্মরণ করেন, যা সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি।
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
৬ মাস আগে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অতিমাত্রায় গুরুত্ব আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে
সিঙ্গাপুরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ইয়েও বলেছেন, বাংলাদেশ যদি অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায়, তাহলে রোহিঙ্গা ইস্যুকে আঞ্চলিক ব্লকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। কারণ এখানে মিয়ানমার পূর্ণ সদস্য।
ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা ইস্যুর গুরুত্বকে উপেক্ষা না করে এবং এটিকে প্রভাবশালী ইস্যুতে পরিণত হতে না দিয়ে, আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁয় 'বাংলাদেশ অ্যান্ড আসিয়ান ইন এ মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক ডিস্টিংগুইশড স্পিকার সিরিজের অংশ হিসেবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কসমস গ্রুপের জনকল্যাণমূলক সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
জর্জ ইয়েও বলেন, এখন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে একটি এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিতে চায়।
কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিলে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরা সম্ভব। এক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধা হবে বলেও মনে করেন না ইয়ো।
রোহিঙ্গা সংকটকে মানবিক ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে সিঙ্গাপুরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মূল প্রবন্ধে বলেন, 'এর কোনো সহজ সমাধান নেই। কারণ এসব সমস্যার শিকড় ইতিহাসের মধ্যেই রয়েছে এবং এর সমাধানও ইতিহাসের গভীরেই থাকতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পর আসিয়ান এর নিন্দা জানায়নি। কারণ তারা মনে করে এটি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা।
আসিয়ান তার সদস্য দেশগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না উল্লেখ তিনি আরও বলেন, ‘আসিয়ান রাখাইন রাজ্যের মানবিক ইস্যুটিকে রাজনৈতিক ইস্যু থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে অন্যদের এরকম সহানুভূতি নেই। মিয়ানমারের সঙ্গে লাওসের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুখ্য ইস্যু হলেও মিয়ানমারে এটি গৌণ ইস্যু।
বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে দেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন জর্জ ইয়ো।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি, প্রখ্যাত কূটনীতিক ও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
ড. চৌধুরী বলেন, আসিয়ান ও বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সময়োপযোগী এবং মূলত দুটি কারণে আলোচনার উপযুক্ত সময় এটি।
প্রথম কারণটি উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার দিকে নজর দেবে বাংলাদেশ; এর মধ্যে আসিয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, বিশেষ করে তারা আসিয়ান অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রশংসনীয় হিসেবে দেখছেন। ‘এটি এই অঞ্চলকে একক বাজার ও উৎপাদনের ভিত হিসেবে মনে করে। এটি এই অঞ্চলকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে, ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্পূর্ণরূপে যুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, আসিয়ান কানেক্টিভিটি সম্পর্কিত মহাপরিকল্পনাটিও প্রশংসনীয় লক্ষ্য। ‘তাই আঞ্চলিক সংলাপের অংশীদার হতে চাওয়া এবং সিঙ্গাপুরসহ বন্ধু দেশগুলোর সমর্থন চাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
ড. চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আসিয়ানের সদস্য দেশ মিয়ানমারে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। যেহেতু বিরোধী পক্ষগুলোর প্রধানরা বাংলাদেশকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে দেখছে, তাই বাংলাদেশেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার হুমকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
১০ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আসিয়ান আরও কাজ করুক: বাংলাদেশ
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে আসিয়ান চেয়ার আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
আসিয়ান চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত আলাউনকিও কিতিখোন শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
লাও পিডিআর ১ জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় কিতিখোনকে মিয়ানমারে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মিয়ানমারে বিশেষ দূতের এটাই প্রথম সফর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
সাক্ষাৎকালে বিশেষ দূত মিয়ানমারের এসএসি চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে জানান।
পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বিষয়ে আসিয়ান চেয়ারম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আলাউনকিও।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনকে অবহেলা করতে পারি না: ইউএসএইড
রাষ্ট্রদূত ও বিশেষ দূত ২০২৪ সাল জুড়ে এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
কিতিখোন একজন লাওসীয় কূটনীতিক যিনি ২০১৬-২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী এবং ১৯৯৩-২০০৭ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে লাও রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
১১ মাস আগে
আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপন ও দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ভিয়েতনামের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ড.যশোদা জীবন দেবনাথ।
ভিয়েতনামের ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট মান্যবর ভং দিন হুয়ে ।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
এফবিসিসিআই সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে আসিয়ান, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াসহ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিক এফটিএ ও পিটিএ চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।’
ড. দেবনাথ বলেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি আমরা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতেও আগ্রহী। আমাদের রপ্তানিকে বৈচিত্র্যময় করতে সরকার কাজ করছে। ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা আমাদের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করে এই যাত্রায় সহযোগী হতে পারে।
ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভং দিন হুয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতের পরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক অংশীদার। আমরা এই সম্পর্ককে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই) এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এদেশের সরকার ও এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এসময় এফবিসিসিআই নেতাদের ভিয়েতনামে ভ্রমণের আহ্বান জানান তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাতের পরে বিকেলে ‘ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার উন্নয়নে নীতি ও আইনবিষয়ক ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শমী কায়সার।
ভিয়েনতামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্ক ও ট্যুরিজমে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শমী কায়সার বলেন, ‘আমাদের এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্বের সেরা ১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে শীর্ষ ৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বিষয়গুলো ভেবে দেখতে পারেন ভিয়েননামের ব্যবসায়ীরা ।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅংকে, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, ইন্টারন্যাশনাল উইংয়ের প্রধান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এবং বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের টেমস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এফবিসিসিআই নেতা জীবন দেবনাথের ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চায় ঢাকা
জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছে পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্পকে সমর্থন করার এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনকারীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত হতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত মিয়ানমার বিষয়ক নিরাপত্তা পরিষদের আররিয়া-ফর্মুলা বৈঠকে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুক্তরাজ্যের আহ্বানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সাম্প্রতিক সংলাপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে জানান যে উভয় পক্ষ একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অধীনে একদল যাচাইকৃত মিয়ানমারের নাগরিক প্রথম ব্যাচে তাদের দেশে ফিরে যাবে। প্রত্যাবাসন অব্যাহত থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হবে।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ৫ মে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা দেখতে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল রাখাইন রাজ্যে গিয়েছিল।
পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় পরিবারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিপুল বিনিয়োগকারী দেশগুলোকে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে: মোমেন
রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানান, যাতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবর্তনকারীরা আরও নিপীড়নের সম্মুখীন না হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলোকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।’
এ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম
১ বছর আগে
অবিলম্বে ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা উদ্ধার করুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যদের আহ্বান
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যরা আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে নারী ও শিশুসহ ২০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছেন। যেটি প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের উপকূলে ভেসে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষের দিক থেকে নৌকাটি গভীর সাগরে পাড়ি জমায় এবং যাত্রার পর থেকে জাহাজে থাকা কয়েক ডজন লোক ইতোমধ্যেই মারা গেছে। অন্যদিকে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খাবার, পানীয় জল বা ওষুধ নেই।
আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) বোর্ড সদস্য ইভা সুন্দরী বলেন, আমরা জরুরি ভিত্তিতে আসিয়ান সদস্য দেশ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে তাদের মানবিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে এবং তাদের যথাযথভাবে অবতরণ করার অনুমতি দিয়ে নৌকাটি তাদের জল সীমায় প্রবেশ করলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, এটা লজ্জাজনক যে গুরুতর বিপদে পুরুষ, নারী ও শিশুদের নিয়ে নৌকাটিকে ভেসে থাকতে হচ্ছে। ওই মানুষগুলোকে অবহেলা করা মানবতার অবমাননার কম কিছু নয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী আরও দুটি নৌকা ভেসে বেড়াচ্ছে।
এদিকে, ১৫৪ শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে ৮ ডিসেম্বর ভিয়েতনামের একটি তেলবাহী জাহাজ উদ্ধার করে। তাদের মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১০৪ শরণার্থী বহনকারী আরেকটি নৌকাকে ১৮ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী উদ্ধার করে এবং তাদেরকে কানকেসান্তুরাই হারবারে অবতরণ করা হয়।
রোহিঙ্গারা তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে কর্তৃপক্ষ তাদের অধিকাংশকে রাষ্ট্রহীন করে দেয় এবং সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয় তারা।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে নৃশংস সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়। এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তাদের অনেকেই উন্নত জীবন খোঁজার জন্য অসাধু মানব পাচারকারীদের হাতে আত্মসমর্পণ করে আন্দামান সাগরের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে মালয়েশিয়ার মতো দেশে পাড়ি জমায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এপিএইচআর-এর চেয়ারপারসন ও মালয়েশিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য চার্লস সান্টিয়াগো বলেন, ‘সব সম্ভাবনা বিচারে এসব নৌকা উদ্ধারে বিলম্বের কারণে ইতোমধ্যেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও প্রাণহানি ঘটেছে। আর কোনো বিলম্ব অযৌক্তিক। সাগরে আটকে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি এই অবহেলা নতুন কিছু নয়। যেমনটি বছরের পর বছর ধরে চলছে এবং এর ফলে শত শত, এমনকি হাজার হাজার মৃত্যু হয়েছে। যা সহজেই প্রতিহত করা যেত যদি এই অঞ্চলের দেশগুলো প্রাথমিক মানবিক নীতিগুলি পূরণ করত।’
এপিএইচআর আসিয়ানকে সমুদ্রে আটকা পড়া শরণার্থীদের ইস্যুতে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করার লক্ষ্যে কার্যকরভাবে কাজ করা ও মানবিক নীতি অনুসারে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সমুদ্রে জীবন বাঁচানোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এপিএইচআর জানায় যে আসিয়ানের উচিত রোহিঙ্গাদের এত বছর ধরে এই ট্র্যাজেডির মূল কারণগুলোরও সমাধান করা। যার মধ্যে রয়েছে- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাসকারী শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া।
রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহি করতেও আসিয়ানকে সহায়তা করা উচিত, বিশেষ করে এখন যে সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গণহত্যামূলক সামরিক অভিযান শুরু করে,তারাই ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি অবৈধ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
এপিএইচআর বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোম্যা বলেন, ‘বহু বছর ধরে আসিয়ান ও বৃহত্তরভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘ সময় ধরে নির্বিকার রয়েছে, কারণ রোহিঙ্গা ট্রাজেডি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। যেসব দেশ মানবাধিকার রক্ষার দাবি করে, তাদের রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে; নতুবা এই মানবিক ট্রাজেডিগুলো বারবার পুনরাবৃত্তি হবে। সেইসঙ্গে আসিয়ান সদস্য দেশগুলো এই অঞ্চলে ও এর বাইরেও তাদের অংশীদারদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে, সমস্ত বৈষম্যমূলক আচরণের অবসান ঘটাবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে।’
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
আসিয়ান ঢাকা কমিটির ৫৫তম আসিয়ান দিবস উদযাপন
ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসে সোমবার অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) প্রতিষ্ঠার ৫৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে আসিয়ান ঢাকা কমিটি (এডিসি)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস ওসমান, ইন্দোনেশিয়ারর রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন, ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটের মিশন প্রধান শীলা পিল্লাই, ফিলিপাইনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ক্রিশ্চিয়ান হোপ ভি. রেয়েস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে আসিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল হয়, যা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর ভিত্তি করে আসিয়ান ঐক্য ও সম্প্রীতিকে প্রতিফলিত করে।
২ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছে ঢাকা
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে ফিলিপাইনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যালান এল ডেনিগা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতে এলে মন্ত্রী এ সমর্থন চান।
শাহরিয়ার আলম এসময় বাংলাদেশের স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর অতিরিক্ত ১১ লাখ লোক যে চাপ সৃষ্টি করছে তা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী মানবিক কারণে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই: প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ফিলিপাইনের সমর্থন চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে তাদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কিছু পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে: জাতিসংঘ
ফিলিপাইনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আলম তাকে বাংলাদেশে তার মিশন বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকায় থাকাকালীন বাংলাদেশ-ফিলিপাইন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফিলিপাইনের মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ, নার্সিং এবং স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত পরিষেবা খাত, পর্যটন শিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ শেয়ার করতে পারে।
এছাড়াও তিনি ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
২ বছর আগে
মিয়ানমার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, আসিয়ানকে সামরিক জান্তার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ানকে তাদের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্যরা।
জাকার্তা থেকে প্রাপ্ত এক বার্তা অনুসারে আসিয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ঘোষণা করেছেন তারা আসিয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে চান।
তারই ধারাবাহিকতায় আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমারের সংকটের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানব নিরাপত্তার অন্তর্নিহিত হুমকি মোকাবিলায় তাদের দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
১২-১৩ মে ওয়াশিংটন ডি.সিতে আসিয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসিয়ান-ইউএস-এর সাড়ে চার দশক উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মালয়েশিয়ার আইন প্রণেতা ও এপিএইচআর চেয়ারপারসন চার্লস সান্তিয়াগো বলেছেন, ‘ইউএস-আসিয়ান সম্পর্কের এই ৪৫তম বার্ষিকীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ান সরকারগুলোর জন্য তাদের সম্পর্কের একটি নতুন পর্যায় শুরু করার উপলক্ষ হোক যা সত্যিকার অর্থে মিয়ানমার বা অন্য যে কোনো দেশে জনগণের উপকার করবে এবং মানবাধিকার ও নৃশংসতা প্রতিরোধকে অন্যতম আলোচ্যসূচি হিসাবে বিবেচনা করবে।
সান্তিয়াগো বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লাখ লাখ মানুষের নিরাপত্তার জন্য মিয়ানমারের জান্তা যে হুমকি সৃষ্টি করেছে তা তারা আর উপেক্ষা করতে পারবে না।
মিয়ানমারের সামরিক শাসন চাপানোর জন্য দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্যাতনে হত্যা: মিয়ানমারে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের মতে, এগুলো যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে।
এপিএইচআর বলছে, গত বছর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ওপর আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আসছে।
এপিএইচআর আশা প্রকাশ করে বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মিন অং হ্লাইং এবং তার জান্তাকে চুক্তি মেনে চলতে ব্যর্থতার মূল্য দিতে সমন্বিত ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার উপযুক্ত সুযোগ প্রদান করবে আসন্ন সামিট।
এপিএইচআর বলেছে যে তারা এই সঙ্কট মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানকে তাদের নীতি প্রণয়ন ও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে: জাতিসংঘ
২ বছর আগে
আসিয়ান দেশগুলোর জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণনীতি পুনরায় চালু ইন্দোনেশিয়ার
আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা) সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত সফর নীতি পুনরায় চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।
মঙ্গলবার দেশটির আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির ইমিগ্রেশন ট্রাফিকের পরিচালক আমরান আরিস বলেন,‘এই নতুন নীতির মাধ্যমে আসিয়ানের অন্য নয়টি দেশের বিদেশিরা ভিসা-মুক্ত ভিজিট নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর লোকেদের শুধুমাত্র করোনা টিকা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে এবং ৪৮ ঘণ্টা আগে পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। এবং তাদের মোবাইল ফোনে পেডুলিলিংডুঙ্গি পরীক্ষা এবং ট্র্যাক অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
দেশটির জাকার্তা, মাকাসার, মেদান ও পেকানবারুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো আবার চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের আহ্বান আইনপ্রণেতাদের
২২ টি ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করলো ভারত
২ বছর আগে