সম্পৃক্ততা
'জেএমবি'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ হলো পিএফআই
জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে মুসলিম সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
পিএফআই- এর ছাত্র শাখা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য সম্মুখ সারির সংগঠনগুলোর ওপর তীব্র ক্র্যাকডাউনের এক সপ্তাহ পরে দেশটির জাতীয় সন্ত্রাস দমন তদন্ত সংস্থা অভিযান চালিয়ে দলটির সাথে যুক্ত ২৫০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছিল।
এর ফলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিএফআইকে একটি ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে যা ‘দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকর’। কারণ এটি দেশীয় স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্টের (সিমি) মতো নিষিদ্ধ এবং বিদেশি জেএমবি এবং ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: আড়াই বছর পর জকিগঞ্জ চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার
মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলছে, ‘পিএফআই এবং এর সহযোগী বা ফ্রন্টগুলো একটি আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে প্রকাশ্যে কাজ করে। তবে তারা গণতন্ত্রের ধারণাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কাজ করে সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে উগ্রবাদী করতে একটি গোপন এজেন্ডা অনুসরণ করছে।’
মন্ত্রণালয়ের মতে, বাইরে থেকে তহবিল এবং আদর্শিক সমর্থনের সঙ্গে এটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘জনসাধারণের মনে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে অতীতে পিএফআই সদস্যরা বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগণতান্ত্রিক’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করে, পিএফআই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৬ সালে নিবন্ধিত পিএফআই নিজেকে ‘একটি বেসরকারি সামাজিক সংস্থা হিসাবে বর্ণনা করে। যার বিবৃত উদ্দেশ্য হলো দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করা এবং নিপীড়ন ও শোষণের বিরোধিতা করা’।
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৮, আহত ২৫
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ৪ নারী
শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যায় ৩ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে: পুলিশ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যা মামলায় তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন কামরুল হোসেন (৩০)। কামরুল টিলারগাঁওয়ের গোলাপ মিয়ার ছেলে। তিনি আশপাশের এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এ ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপর বেলা ১১টায় অভিযুক্ত কামরুলকে সঙ্গে নিয়ে টিলারগাঁও এলাকায় তার বাড়িতে যায় পুলিশ। এ সময় কামরুলের ঘরের সানসেটের ভেতর থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র (চাকু) ও নিহত বুলবুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা জোর তদন্তে নামি। তদন্তের এক পর্যায়ে সন্দেহজনক তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করি। তার মধ্যে একজন খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরও দুজন জড়িত থাকার তথ্য দেন। এই তিনজনকে ব্যাপকভাবে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই।
আজবাহার আলী বলেন, গ্রেপ্তার কামরুলকে নিয়ে তার বাড়িতে আসলে তার দেখানো মতে বুলবুলের মুঠোফোন উদ্ধার ও খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে কেন বুলবুলকে হত্যা করেছে, তাদের কি উদ্দেশ্য ছিল, মূল মোটিভ ছিল কি, আরও কেউ জড়িত কি-না, কার সম্পৃক্ততা কতটুকু বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো হবে।
গত সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদ (২২)। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বন্ধুদের নিয়ে টিলায় বেড়াতে গিয়ে দুষ্কৃতকারীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে বুলবুল নিহত হন। বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণে বুলবুল মারা যান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটক ৩
আসিয়ানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ভৌগোলিকভাবে আসিয়ানের নিকটতম প্রতিবেশী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ‘দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আসিয়ানের পক্ষ থেকে আরও জোরালো সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো রোয়া দুতের্তেকে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অর্জনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই বিশ্ব নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সফল অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ও এর আশপাশের অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দুই নেতা আগামী ৫০ বছর বা তার পরেও দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের যৌথ যাত্রাকে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় শেখ হাসিনা ১৯৭২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশকে ফিলিপাইন সরকারের স্বীকৃতির কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ফিলিপাইনের বন্ধুপরায়ণ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ১৯৭৩ সালে টোকিও থেকে ফেরার পথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যানিলায় যাত্রাবিরতির কথাও আবেগভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই নেতা গত পাঁচ দশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদিসহ বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে যে দৃঢ়, সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার প্রশংসা করেন।
বন্ধুপরায়ণ দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই দুই নেতা।
অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র সচিব তেওডোরো এল লোকসিন জুনিয়র বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্তা বিনিময় করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা সাধারণ পরিষদ সভাপতির
মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেবে