রাজস্ব বৃদ্ধি
বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন এডিবি’র
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সংস্কার, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা; বিশেষ করে নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসাকে স্বল্প খরচে উদ্ভাবনী ব্যাংক অর্থায়নে সহায়তা করতে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির পর ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া সাসটেইনেবল ইকোনোমিক রিকভারি প্রোগ্রামের আওতায় এটি এডিবির দ্বিতীয় উপ-কর্মসূচি।
এডিবি’র দক্ষিণ এশিয়ার প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট আমিনুর রহমান বলেন, ‘এই উপ-কর্মসূচি বাংলাদেশকে রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে সক্ষম করবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোর সংস্কারকে আরও বৃদ্ধি করা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ী মূল্যের ঋণ পেতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
তিনি আরও বলেন, ‘লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাইজেশন বিষয়ে দৃঢ় লক্ষ্যসহ উপ-কর্মসূচিটি সরকারকে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সক্ষম করবে।’
এই কর্মসূচি নতুন আয়কর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আয়কর আদায় বৃদ্ধি, কর ফাঁকি কমানো, সম্মতি ও প্রয়োগ ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং দেশের করের পরিধি বিস্তৃত করবে।
এডিবি অনুসারে, ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট ও ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে এবং পাবলিক প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার নতুন চালু হওয়া ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন সহজতর করা হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল চ্যানেল ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ভাবনী অর্থায়ন সেবা চালুর জন্য নতুন প্যাকেজটি সহায়তা করবে।
এটি প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের সুবিধা দেয়। ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তা যাদের জমি বা সম্পত্তি নেই, তারাও তাদের লেনদেন প্রাপ্তি এবং অন্যান্য ধরনের অনির্ধারিত জামানত, যেমন ছোট সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন
লিঙ্গ সমতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচার করা এবং সরকারি বিনিয়োগ ও জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের এজেন্ডা মোকাবিলা করা এই নতুন কর্মসূচির কয়েকটি মূল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে ৩ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি
১ বছর আগে
সুন্দরবনের রাজস্ব বৃদ্ধিতে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা
সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। বনজীবীদের রাজস্বও বেড়েছে সমহারে। গোলপাতায়-কাঁকড়ার রাজস্ব বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। ভ্রমণ মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে ক্ষতির সম্মূখীন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে রাজস্ব বাড়ানোকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখে পর্যটন আগমণে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার পর্যটনে বিকাশের কথা বললেও হঠাৎ করে এই রাজস্ব বাড়ানোয় নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়বে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। এর ফলে সুন্দরবনের প্যাকেজ ভ্রমণের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া পূর্বের খরচ অনুযায়ী অগ্রিম বুকিং নেয়া পর্যটন ব্যবসায়ীদের পড়তে হবে চরম বিপাকে।
এদিকে,একই সাথে সুন্দরবনে পর্যটনের পাশাপাশি দুবলার চরে রাস মেলায় পুণ্যার্থী ও সুন্দরবনে সব ধরনের বনজীবীদের জন্যও নতুন রাজস্ব হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবল: ৬ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছে সনেট টেক্সটাইল
নতুন প্রজ্ঞাপনে ধার্য করা রাজস্বের তালিকা থেকে জানা যায়, গোলপাতা প্রতি কুইন্টাল ২৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভেটকি মাছের রাজস্ব প্রতি কুইন্টালে ১২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা ও কাঁকড়া কুইন্টাল প্রতি ২৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।
সুন্দরবনের সাধারণ জায়গাগুলোতে মাথাপিছু দেশি পর্যটকের ভ্রমণ ফি ছিল প্রতিদিনের জন্য ৭০ টাকা, সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। বিদেশি পর্যটকের আগে খরচ হত প্রতিদিন ১০০০ টাকা, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০০ টাকা।
২ বছর আগে