পাবলিক প্রাইভেট পারটনারশিপ অথরিটি অব বাংলাদেশ (পিপিপিএ বাংলাদেশ)
সিউলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বুধবার বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোরিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবলিক প্রাইভেট পারটনারশিপ অথরিটি অব বাংলাদেশ (পিপিপিএ বাংলাদেশ), কোরিয়া ওভারসিজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (কেআইএনডি) এবং রিপাবলিক অব কোরিয়া যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এ সভায় বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে যোগদান করেন।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কিছু বড় পরিসরের প্রকল্পে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সরকার এখন কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের বড় বড় অবকাঠামোগত বিনিয়োগ প্রকল্পে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পারটনারশিপ অথরিটি এরই মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকারি কর্মকর্তারাও তাদেরকে যথেষ্ট সাহায্য করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
পিপিপি অথরিটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজ বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পারটনারশিপ মডেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাজ করার উপযোগী প্রাযুক্তিক, আইনি, সামাজিক ও বাণিজ্যিক পরিবেশ এখন বাংলাদেশে রয়েছে।
এই সময় তিনি কেআইএনডি ও এমওএলআইটিকে এই আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করার জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার উল্লেখ করেন।
অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানান কেআইএনডি’র ডিরেক্টর সো ইয়ুং কিম।
কেআইএনডি’র প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মি. কাং লি মহামারির চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এই আয়োজন সম্পন্ন করতে পারার জন্য তার সন্তোষ এবং আনন্দ প্রকাশ করেন।
এমওএলআইটি’র ভাইস মিনিস্টার সেয়ং ওউন এউন বলেন, পিপিপি অথরিটি এবং কেআইএনডি’র মধ্যেকার চুক্তি দুই দেশের বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে। যার ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ পিপিপি প্লাটফর্মর মাধ্যমে রাস্তা, সেতু, রেলওয়ে ও ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের চারটি অবকাঠামোগত পরিকল্পনা নির্ধারিত হয়েছে।
মেঘনা সেতু নির্মাণে দুইদেশের মধ্যে পিপিপি প্রকল্পের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেতু নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়া এখন শেষের দিকে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ফের দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন চালু
সভায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় পূর্বাচল নিউ টাউন ইলেকট্রিকাল ডিস্ট্রিবিউশন লাইন প্রকল্পটিকে পিপিপি প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এছাড়াও সভায় আরও আটটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে চারটি প্রকল্প কোরিয়া এবং চারটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়।
পাবলিক প্রাইভেট পারটনারশিপ অথরিটি অব বাংলাদেশ’র সেক্রেটারি এবং সিইও সুলতানা আফরোজের নেতৃত্বে সভায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আমিন উল্লাহ নুরী, ডেসকো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. কাউসার আমীর আলী, বিদ্যৎ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন, পিপিপিএ অথরিটি বাংলাদেশের মহাপরিচালক আবুল বাশার প্রমুখ।
২ বছর আগে