সয়াবিন
সয়াবিনের খোলা তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাত তেলের
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়াতে পরিশোধনকারীদের দাবি জানানোর একদিন পরই এ দাম নির্ধারণ করা হলো।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেলের দাম পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে একজন ভোক্তাকে এখন পাঁচ লিটারের ভোজ্যতেলের বোতল কিনতে অতিরিক্ত ১৮ টাকা দিতে হবে অর্থাৎ ৮১৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আগে এর দাম ছিল ৮০০ টাকা।
আরও পড়ুন: খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে আরও ৬ মাস
অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৭ টাকা।
এর আগে গত বুধবার ভোজ্যতেল শোধনাগার কোম্পানিগুলো লিটারপ্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, গত দুই মাস ধরে যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানো হয়েছিল, তা গত সোমবার শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
৮ মাস আগে
হবিগঞ্জে ২১ শ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি
হবিগঞ্জের বাহুবল ও বানিয়চং উপজেলার শনিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১শ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে উদ্ধারকৃত তেল খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা ও বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ।
আরও পড়ুন: খুলনায় সয়াবিন ও পাম তেল জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোদামে অবৈধভাবে মজুদ করা ১৫শ লিটার তেল জব্দ করা হয়। এছাড়া বেশি দামে পণ্য বিক্রি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের কারণে মেসার্স শহীদ স্টোরকে ১২ হাজার, মেসার্স রউফ এন্টার প্রাইজকে পাঁচ হাজার টাকা, জিহাদ স্টোরকে ১০ হাজার ও মেসার্স সালমান স্টোরকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে তেল উদ্ধার, দেড় লাখ টাকা জরিমানা
এদিকে বানিযাচং উপজেলার বড় বাজার ও গানিংগঞ্জ বাজারে ৬শ লিটার সোয়াবিন তেল জব্দ করে তাৎক্ষণিক খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয়। বড় বাজারের ব্যবসায়ী হানু মিয়া, আমির হোসেন ও গানিংগঞ্জ বাজারের অর্জুন মোদকের গোদাম থেকে তেলগুলো জব্দ করা হয়।
২ বছর আগে
মানিকগঞ্জে তেল উদ্ধার, দেড় লাখ টাকা জরিমানা
মানিকগঞ্জে সিংগাইরে ধল্লা বাজারে তৃতীয় অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ১০ হাজার লিটার সয়াবিন উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। এই বাজারের আলতাফ স্টোরের মালিককে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৬৬০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ, ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা বাজারের শনিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আলতাফ স্টোরে বিপুল পরিমাণ তেলের অবৈধ মজুদের সন্ধান পাওয়া যায়। অবৈধভাবে ঈদের আগে মজুদ করা বিভিন্ন ব্যান্ডের ১,২ ও ৫ লিটারের বোতলজাত ৩ হাজার ৫শ লিটার তেল গুদামে পাওয়া যায়। এছাড়াও ৫ লিটারের বোতলজাত তেল খুলে ড্রামে ভরে সংরক্ষণ করা অবস্থায় প্রায় ছয় হাজার ৫০০ লিটার তেল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় সয়াবিন ও পাম তেল জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
তিনি জানান, দুই লিটারের বোতলজাত তেলের ৩৩৪ টাকা মূল্য থাকা সত্বেও ৩৮০ টাকায় ক্রেতাদের কাছে বিক্রয় করার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। পরে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত তেল উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
২ বছর আগে
খুলনায় সয়াবিন ও পাম তেল জব্দ, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
খুলনার তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন ও ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম তেল জব্দ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবরা সকাল সোয়া ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নাটোরে ২ হাজার ৩৫৯ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
র্যাব ৬ এর পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মজুদ ৭৩ হাজার ৩২ লিটার সয়াবিন ও এক লাখ ৭৩ হাজার ৬০৮ লিটার পাম ওয়েল জব্দ করা হয়েছে। পরে তিন প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
নাটোরে ২ হাজার ৩৫৯ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
নাটোর শহরে তেলের মজুদ বিরোধী অভিযানে পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৩৫৯ লিটার তেল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠাগুলোর মালিককে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, বুধবার রাতে র্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে নাটোর শহরের পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ৩৫৯ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে।
আরও পড়ুন: বৌভাতে ৫ লিটার সয়াবিন তেল উপহার!
তিনি বলেন, এসময় ওইসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে জব্দকৃত তেল প্রকাশ্যে ন্যায্য মূলে ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হয়।
২ বছর আগে
ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দিলো সরকার
বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে সয়াবিন ও পামতেলের দাম নতুন করে বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভোজ্যতেলের নতুন এ দাম শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটির আগে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিওভিএমএ) জমা দেয়া ভোজ্যতেলের দাম অনুমোদন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিভিওভিএমএ বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রায় ২৩ মিলিয়ন লিটার সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে
এর অর্থ হলো বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৪৪ টাকা বেড়েছে।
পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হবে ৯৯৫ টাকায় যা আগে বিক্রি হতো ৭৬০ টাকায়। শুক্রবার থেকে প্রতি লিটার পরিশোধিত পামতেল ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে।
২ বছর আগে
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হাইকোর্টে রিট
দেশের বাজারে খোলা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে রিটে। ওই রিটের শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার (৭ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রিট আবেদনটি উপস্থাপনের পর রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন। আদালতে আজ রিটটি উপস্থাপন করেন রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির।
রিট আবেদনে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী হলেন- অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি: নিরপেক্ষ তদন্তে ১০ আইনজীবীর রিট
বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এই তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী আজ রিট করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সনদ প্রদানের ক্ষমতা চেয়ে ৩ সংরক্ষিত কাউন্সিলরের রিট
লঞ্চ, জাহাজের ইঞ্জিনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট
২ বছর আগে