মণিরামপুর
মণিরামপুরে চায়ের দোকানে আগুনে নিহত ১
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে একটি চায়ের দোকানে আগুনে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ঝাঁপা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর পাশের একটি চায়ের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
নিহত কালিপদ বিশ্বাস (৪৮) উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ছেলে। এছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে অমিত নামে এক যুবকের হাত পুড়ে আহত হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত কালিপদ বিশ্বাস প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি প্রতি রাতে ওই দোকানের ভেতর কাঠের খাটের উপর ঘুমিয়ে থাকতেন। ওই চায়ের দোকানের ভেতর ফ্রিজ রয়েছে, যা বৈদ্যুতিক তার দিয়ে সংযোগ দেওয়া। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খাটের পাশে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতেন। এলাকাবাসীর ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা মশার কয়েলে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
যশোরের মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী দাউদ হোসেন বলেন, কালিপদ বিশ্বাস একজন প্রতিবন্ধী। তাকে স্থানীয় এলাকার মানুষ একটি চায়ের দোকান করে দিয়েছিল। তিনি সেই দোকানেই থাকতেন।
কীভাবে আগুন লেগেছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
১০ মাস আগে
মণিরামপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
যশোরের মণিরামপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে জাবের হোসেন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জাবের ওই গ্রামের সাহাবুর খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জাবেরের বাবা সাহাবুর খান জানান, সকালে জাবের বাড়িতে খেলছিল। একপর্যায়ে মা সোহাগী খাতুন ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। পরে বাড়ির অদূরে প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ খানের পুকুরে ছেলেকে ভাসতে দেখে তিনি চিৎকার দেন। পরে দ্রুত জাবেরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আলেক উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মা-শিশুর মৃত্যুহার কমাতে ৫০০ সরকারি স্বাস্থ্য ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা সেবা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
যশোরের মণিরামপুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
যশোরের মণিরামপুর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সাতনল জোড়া ব্রিজের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩০) উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের পাড়িয়াড়ি গ্রামের সাবেক মেম্বর নুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের শ্বশুর পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গামহিষদিয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মফিজুর রহমান বলেন, তার জামাতা জাহাঙ্গীর আলম ঢাকায় আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছুটি নিয়ে জাহাঙ্গীর বাড়িতে আসছিলেন। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তার সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। তখন জাহাঙ্গীর আলম গাড়িতে আছে বলে তাকে জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্রিজের নিচ থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘সকালে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর সাতনল এলাকার স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। তবে লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিয়ের তিন দিন পর গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ
১ বছর আগে
যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
যশোরে মমতাজ খাতুন (২৪) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মমতাজ খাতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের শিমুল হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয় বাজারে শিমুলের চায়ের দোকান রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
এলাকাবাসী জানান, ৮ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন মমতাজ ও শিমুল। তাদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গ্রামে অন্য নারীর প্রতি আগ্রহের বিষয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এদিকে, মমতাজ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
শিমুল হোসেন বলেন, ‘আমি বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে রাতের খাবার শেষে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে আমার মোবাইল ফোন ঘাটাঘাটি করেন মমতাজ খাতুন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটি ঘুম থেকে জেগে মাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখে আমাকে ডেকে তোলে। পরে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর লাশ নিচে নামাই।’
ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার বলেন, ‘স্বজনদের দাবি- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাই ময়নাতদন্তের জন্য আমরা লাশ মর্গে পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
১ বছর আগে
মণিরামপুরে বিদ্যালয়ের পলেস্তারা খসে ৩ শিক্ষার্থী আহত
যশোরের মণিরামপুরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার টেংরামারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রিপন বলেন, তখন ক্লাস নিচ্ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাদের প্রায় পাঁচ বর্গফুট জায়গার পলেস্তারা শব্দে খসে পড়ে। এসময় সবাই আতংকে কান্নাকাটি শুরু করে।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
তিনি আরও বলেন, পরে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা ছুটে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। এরমধ্যে পূর্ণা দাস, সোনালী আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস জখম হলে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
এছাড়া দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ায় তাৎক্ষণিকভাবে স্কুল ছুটি দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শম্পা রানী ঘোষ ও তাপসী রানী জানান, সকাল ১১ টায় ভবনের দোতলার শ্রেণিকক্ষে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জীবন ও জীবিকা বিষয়ে পাঠদান করছিলেন সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রিপন। এক পর্যায়ে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে তিন ছাত্রী পূর্ণা দাস, সোনালী আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস আহত হয়।
প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র দাস জানান, পুরাতন ভবনের দোতলার ছাদের এক অংশে ফাটল দেখা দেয়। তার ওপর পানি জমে থাকায় পলেস্তারা খসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অবশ্য তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ওই কক্ষের পশ্চিমপাশে শিক্ষার্থীদের বসতে নিষেধ করা হয়েছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, তিন ছাত্রী আহত হবার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এখন তারা সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাতে ৩ শিক্ষার্থী আহত
রাজধানীতে বিলবোর্ড ভেঙে জবি শিক্ষার্থী আহত
১ বছর আগে
যশোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যান খাবার দোকানে, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫
যশোরের মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যান খাবার দোকানে ঢুকে পড়ায় বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার বেগারীতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় আরও কয়েকজন আহত হন।
নিহতরা হলেন- মণিরামপুর উপজেলার টুনিয়াঘরা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫), তার ছেলে তাওসী (৭), জয়পুর গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে জিয়ারুল (৩৫), টুনিয়াঘরা গ্রামের বাবুর ছেলে তৌহিদুর রহমান (৩৫) ও মফিজ মীরের ছেলে মীর সামসুল (৫০)। দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি খাবার দোকানে ঢুকে পড়লে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার পরপরই যশোর-মণিরামপুর সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে কাভার্ডভ্যান চাপায় কলেজছাত্র নিহত
যশোর পুলিশের মুখপত্র জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপম কুমার সরকার জানান, সকালে একটি কাভার্ডভ্যান যশোর থেকে সাতক্ষীরা যাবার পথে দ্রুত গতিতে তালেব নামের এক ব্যক্তির খাবার দোকানে ঢুকে যায়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই কাভার্ডভ্যানের চালাক পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে হোটেলে নাস্তা করছিল তিনজন। আর দুই জন হোটেলের সামনে দাড়িয়ে ছিল। কাভার্ডভ্যানটি হোটেলে প্রবেশ করায় ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।
আরও পড়ুন: বকশীবাজারে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় যুবক নিহত
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, কাভার্ডভ্যানটি বেশ কয়েকটি দোকানে আঘাত করে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠাচ্ছে।
এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
২ বছর আগে
মণিরামপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোরের মণিরামপুর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমেনা খাতুন (২২) ওই গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
আমেনার ভাসুর রাজু ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে খাওয়ার সময় আরিফ ও তার স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন স্বামীকে খাওয়ার ঘরে রেখে নিজ ঘরে যান আমেনা। সেখানে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন,‘ স্বজনরা জানিয়েছেন, গৃহবধূ খুব জেদী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: মান্দায় মা-ছেলের লাশ উদ্ধার, শাশুড়ি আটক
নবাবগঞ্জে ব্রিজ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
মণিরামপুরে ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
যশোরের মণিরামপুরে ধানখেত থেকে জাহানারা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের সুন্দলপুর-জামলা রাস্তার পাশের একটি ধানখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নারী শ্যামকুড় ইউনিয়নের আগরহাটি গ্রামের মৃত এরশাদ বিশ্বাসের মেয়ে এবং জয়নগর গ্রামের মৃত লুৎফর বিশ্বাসের স্ত্রী।
স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রেখে গেছে।
এদিকে খবর পেয়ে মণিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তারা এবং মণিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আগরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন,মৃত জাহানারার বাবার বাড়ি আমার এলাকায়। মণিরামপুর বাজারের পাশে জয়নগরে তার স্বামীর বাড়ি। সকালে ধানখেতে ওই নারীর লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় ফোন দিলে পুলিশ আসে।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে ডুবে থাকা বাল্কহেড থেকে নিখোঁজ ক্রু সদস্যের লাশ উদ্ধার
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা জাহানারাকে মোটরসাইকেল থেকে সুন্দলপুর বাজারে নামতে দেখেছেন বলেও জানান ইউপি সদস্য।
জাহানারার মা রাশিদা বেগম বলেন, এক-দেড় মাস হবে মেয়ে আমাদের বাড়ি আসে না। কি করে তাও জানিনা। আজ কি ভাবে তার লাশ এখানে আসলো তা বলতে পারছি না।
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সমেন বিশ্বাস বলেন, লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার, ফার্মেসির মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
বগুড়ায় নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
মণিরামপুরে তক্ষক বিক্রি চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
যশোরের মণিরামপুরে অভিযান চালিয়ে তিনটি তক্ষক ও ৩০ হাজার টাকা জব্দ করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার বিপ্রোকোনা গ্রামের রেজাউল ইসলামের বাড়ির সামনে থেকে তক্ষকগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বিশ্বজিৎ মণ্ডল কেশবপুর উপজেলার মনোহরনগর গ্রামের বিকাশ মণ্ডলের ছেলে এবং আব্দুল খালেক ভোলার দৌলতখাঁ দক্ষিণ জয়নগরের ইউনুস আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় ডিবির এসআই রাজেশ কুমার দাস বাদী হয়ে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বিরল প্রজাতির তক্ষকসহ আটক ৪
মামলার বিবরণে জানা গেছে, শনিবার রাতে মণিরামপুরের বিপ্রোকোনা গ্রামের আমজেদ আলীর ছেলে রেজাউলসহ একটি চক্রের তক্ষক কেনাবেচা করার খবর পেয়ে রাত পৌনে ১০টায় সেখানে অভিযান চালায় ডিবি। এসময় রেজাউল পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন বিশ্বজিৎ ও আব্দুল খালেক। বিশ্বজিতের কাছ থেকে বাজারের ব্যাগে থাকা তিনটি তক্ষক ও আব্দুল খালেকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান তক্ষক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলার বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বিরল প্রজাতির প্রাণি তক্ষকসহ আটক ১
২ বছর আগে
পারিবারিক কলহের জেরে মণিরামপুরে যুবকের আত্মহত্যা
যশোর মণিরামপুরের সালামতপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে অভিমান করে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
৪ বছর আগে